Author

Topic: Working on Translating. Mods- Please don't delete this (Read 335 times)

hero member
Activity: 462
Merit: 767
Instant cryptocurrency exchange with own reserves!
লেখক: GazetaBitcoin
মেইন টপিক: A Declaration of the Independence of Cyberspace - We all should read it




এই টপিকটি আমার আগের টপিকগুলোর একটি সিক্যুয়াল -- ক্রিপ্টো নৈরাজ্যবাদী ফতোয়া - আমাদের সকলের পড়া উচিৎ এবং জুলিয়ানের জন্য ডাক || দ্যা উইকিলকস ম্যানিফেসতো - আমাদের সকলের পড়া উচিৎ



আরো একটা আর্টিকেল যা যেকোন বিটকয়েনার, স্বাধীনতাবাদী বা ক্রিপ্টো-নৈরাজ্যবাদীদের অবশ্যই জানা উচিত: জন পেরি বারলোর সাইবারস্পেসের স্বাধীনতার ঘোষণা। প্রবন্ধটা ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জন পেরি বারলো লিখেছেন, যা ইন্টারনেটে স্বাধীনতার জন্য একটা ভিত্তি ছিলো। আরেকজন আইকনিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন জন গিলমোর যিনি EFF এর সদস্য ছিলেন।

বারলোর ঘোষণাটা মূলত ১৯৯৬ সালের টেলিকমিউনিকেশন আইনের উত্তর হিসাবে দেয়া হয়েছিলো, যে আইন ১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাশ হয়েছিল। পুরো ডকুমেন্টটি সাইবারস্পেসের উপর সরকারের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে, সাইবারস্পেসে সরকারের উপস্থিতি থাকার অধিকারকে ডিনাই করে এবং সাইবার স্পেসের নাগরিকদেরকে সরকার শাসন করার অধিকারকে ডিনাই করে। ডকুমেন্টটি দ্রুত খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, ৪০,০০০ টিরও বেশি ওয়েবসাইট কপি করে এবং পাবলিশ করে।

সম্পূর্ণ ডিক্লেরেশনটি নীচে দেয়া হলো (টেক্সট ফরম্যাটিংটি আমার):

Quote
"ইন্ডাষ্ট্রিয়াল দুনিয়ার সরকার, আপনারা লোহা আর মাংসে গড়া দৈত্য, আমি সাইবারস্পেস থেকে এসেছি, যেটা মনের একটা নতুন বাড়ি। ভবিষ্যতের পক্ষ থেকে, আমি আপনাকে বলছি আমাদের অতীতকে একা ছেড়ে দিন। আমাদের মাঝে আপনাকে ডেকে আনা হয়নি। আমরা যেখানে একত্র হই সেখানে আপনাদের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।

আমাদের নির্বাচিত কোন সরকার নেই, বা আমাদের কোনো সরকার হওয়ার সম্ভাবনাও নেই, তাই আমি আপনাকে সম্বোধন করি তার চেয়ে বড় কোন কর্তৃত্ব নেই যার সাথে স্বাধীনতা নিজেই সবসময় কথা বলে। আমি ঘোষণা করছি যে দুনিয়াজুড়ে আমরা যে সামাজিক স্পেস তৈরি করছি তা স্বৈরাচারীতা থেকে স্বাভাবিকভাবেই স্বাধীন যা আপনারা আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে চান। আমাদেরকে শাসন করার মতো কোনো নৈতিক অধিকার আপনার নেই বা আপনার কাছে ব্যাবহার করার মতো কোনো পদ্ধতি নেই যেটা আমাদের সত্যিকারের ভয়ের কারণ হতে পারে।

সরকাররা জনগনের কাছ থেকে তাদের ন্যায্য ক্ষমতা অর্জন করে। আপনি আমাদের অনুরোধ করেননি বা আমাদের অনুরোধে আসেননি। আমরা আপনাকে আমন্ত্রণ করিনি। আপনি আমাদের চিনেন না, আপনি আমাদের পৃথিবী সম্পর্কেও জানেন না। সাইবারস্পেস আপনার সীমানার মধ্যে পড়ে না। ভাববেন না যে আপনি এটা তৈরি করতে পারবেন, যেন এটা একটা পাবলিক কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট। আপনি পারেন না। এটি প্রকৃতির একটা নিয়ম এবং এটা আমাদের সম্মিলিত কাজের মাধ্যমে এমনিতেই বৃদ্ধি পাবে।

আপনি আমাদের বিশিষ্ট এবং সমাবেশ এর মতো কনভারসেশনে ছিলেন না, বা আপনি আমাদের মারকেট প্লেসের সম্পত্তি তৈরি করেননি। আপনি আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের এথিকস্, বা অলিখিত কোডগুলো জানেন না যা অলরেডি আমাদের সোসাইটিকে আপনার চাপিয়ে দেওয়া যে কোনও আইন কার্যকর হওয়ার চেয়ে আরও বেশি শৃঙ্খলায় রেখেছে

আপনি দাবি করেন যে আমাদের মধ্যে কিছু সমস্যা আছে যা আপনাকে সমাধান করতে হবে। আপনি আমাদের জগতকে আক্রমণ করার একটা অজুহাত হিসাবে এই দাবি করছেন। আসলে এমন কোনো সমস্যা নেই। যেখানে সত্যিকারের দ্বন্দ্ব আছে, যেখানে ভুল আছে, আমরা নিজেরাই সেগুলো বের করবো এবং আমরা সেগুলোর সমাধান করব। আমরা আমাদের নিজস্ব সামাজিক নিয়ম তৈরি করেছি। এখানের শাসন ব্যাবস্থা হবে আমাদের নিয়ম অনুযায়ী, আপনার নিয়ম অনুযায়ী নয়। আমাদের দুনিয়া অন্যরকম।

সাইবারস্পেস কিছু লেনদেন, সম্পর্ক এবং চিন্তাভাবনা নিয়ে তৈরী, আমাদের যোগাযোগের ওয়েব একটা স্ট্যান্ডিং ওয়েভ এর মতো করে ডিজাইন করা। আমাদের জগৎটা এমন যেটা সবখানেই আছে আবার কোনোখানেই নেই, এ জগৎটা এমন না যেখানে মানুষের শরীর বসবাস করে।

আমরা এমন একটি দুনিয়া বানাচ্ছি যেখানে সব জাতি, অর্থনৈতিক শক্তি, সামরিক শক্তি বা জন্মসূত্রে পাওয়া বিশেষ সুবিধা বা কুসংস্কার ছাড়াই প্রবেশ করতে পারে।

আমরা এমন একটি দুনিয়া বানাচ্ছি যেখানে জোর করে চুপ করিয়ে দেয়ার ভয় ছাড়াই যে কেউ যে কোনো জায়গায় তার বিশ্বাস প্রকাশ করতে পারে, সেটা যতই একক বিশ্বাস হোক না কেন।

সম্পত্তি, অভিব্যক্তি, পরিচয়, আন্দোলন সম্পর্কে আপনার আইন আমাদের জন্য প্রযোজ্য না। এগুলি সবই কোনো কিছুর উপর ভিত্তি করে হয়, এবং এখানে এগুলোর কোন ভিত্তি নেই।

ইন্টারনেটে আমাদের পরিচয়ের কোন শরীর নেই, তাই আপনার মত, আমরা শারীরিক জবরদস্তির মতো আদেশ পেতে ও দিতে পারি না। আমরা বিশ্বাস করি যে নৈতিকতা, শিক্ষিত আত্মস্বার্থ এবং কমনওয়েলথ থেকে আমাদের প্রশাসনের উতপত্তি হবে। আমাদের আইডেনটিটি আপনার অনেক এড়িয়া জুড়ে ডিষ্ট্রিবিউট হতে পারে। একমাত্র আইন যা আমাদের সব সংস্কৃতি সাধারণভাবে স্বীকৃতি দেবে তা হল সুবর্ণ নিয়ম। আমরা আশা করি যে আমরা এই ভিত্তিতে আমাদের নির্দিষ্ট সমাধানগুলো করতে পারবো। কিন্তু আপনি যে সমাধান চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন আমরা তা গ্রহণ করতে পারি না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আপনি আজ একটা আইন বানিয়েছেন, টেলিকমিউনিকেশনস রিফর্ম অ্যাক্ট, যে আইন আপনার নিজের সংবিধানকে অস্বীকার করে এবং জেফারসন, ওয়াশিংটন, মিল, ম্যাডিসন, ডিটোকভিল এবং ব্র্যান্ডেসের স্বপ্নকে অপমান করে। এই স্বপ্নগুলো এখন আমাদের মধ্যে নতুন করে জন্ম নিতে হবে।

আপনি আপনার নিজের সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কিত, তারা এমন একটা দুনিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা যেখানে আপনি সবসময় অভিবাসী থাকবেন। যেহেতু আপনি তাদের ভয় পান, আপনি আপনার আমলাদেরকে পিতা মাতাদের মতো দায়িত্ব দিয়ে দেন যেটা আপনি নিজে করার বেলায় একজন কাপুরুষ। আমাদের পৃথিবীতে, মানবতার সমস্ত অনুভূতি , অবমাননা থেকে ফেরেশতাসুলভ পর্যন্ত, প্রতি বিটই কোনো অংশ বিহীন গ্লোবাল কনভারসেশন এর অংশ। আমরা ডানা ঝাপটানো বাতাস থেকে দম বন্ধ করা বাতাস আলাদা করতে পারবো না

চীন, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইতালি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আপনি সাইবারস্পেসের সীমানায় গার্ড পোস্ট লাগিয়ে স্বাধীনতার ভাইরাস থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। এগুলো অল্প সময়ের জন্য সংক্রামককে দূরে রাখতে পারবে, তবে এগুলো এমন একটা দুনিয়ায় কাজ করবে না যা খুব তাড়াতাড়ি বিট-বিয়ারিং মিডিয়াতে কম্বলের মতো হয়ে যাবে।

আপনার ক্রমবর্ধমান অবসোলেট ইনফরমেশন ইনডাষ্ট্রি আমেরিকা এবং অন্যান্য যায়গায় আইন পাসের প্রস্তাব দিয়ে নিজেদেরকে স্থায়ী করবে, যেগুলো আসলে সারা দুনিয়ায় নিজের বক্তব্যের মালিক বলে দাবি করে। এই আইনগুলোর ধারণাগুলো অন্য ইন্ডাষ্ট্রিয়াল প্রোডাক্ট হিসাবে ঘোষণা করবে, যা আসলে লোহার শুকরের চেয়ে আর ভালো কিছু না। আমাদের পৃথিবীতে, মানুষের মন যা কিছু সৃষ্টি করতে পারে তা বিনা মূল্যে রিপ্রডিউস এবং আনলিমিটেড ভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায়। চিন্তার বৈশ্বিক পরিবহণের জন্য আর আপনার কারখানার প্রয়োজন হচ্ছে না।

প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা এই প্রতিকূল এবং ঔপনিবেশিক সিদ্ধান্তগুলো আমাদের সেই আগের স্বাধীনতা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রেমিকদের মতো সেই অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে, যাদের দূরবর্তী, অজানা শক্তির অথরিটিকে দমন করতে হয়েছিল। আমরা আমাদের ভার্চুয়াল লাইফকে আপনার সার্বভৌমত্ব থেকে মুক্ত ঘোষনা করতেই হবে, যদিও আমরা আমাদের  উপর আপনার ফিজিক্যালি শাসনে আমরা সম্মত। আমরা প্ল্যানেটজুড়ে নিজেদের ছড়িয়ে দেব যাতে কেউ আমাদের চিন্তাকে আটকাতে না পারে।

আমরা সাইবারস্পেসে আমাদের মনের সভ্যতা তৈরি করব। আপনার সরকারগুলো আগে যে দুনিয়া বানিয়েছে তার চেয়ে এটা আরও মানবিক এবং ন্যায্য হোক।"

hero member
Activity: 462
Merit: 767
Instant cryptocurrency exchange with own reserves!
লেখক: GazetaBitcoin
মেইন টপিক: Governs' oppression of bitcoiners may turn against them




সরকার এক দশকের বেশি সময় ধরে বিটকয়েনারদেরকে অত্যাচার করছে। পৃথিবী জুড়ে সরকার রা বিটকয়েনারদের কে কোনো প্রকার সহযোগিতা না করেই তাদের কষ্ট উপার্জিত টাকা কেড়ে নিতে তাদের কাছ থেকে এক প্রকার চাদাবাজি শুরু করেছে এটা জেনে যে বিটকয়েনাররা ক্রিপ্টো ট্রানজেকশন থেকে সত্যিকারের ফিয়াট মানি আয় করে। মানুষ কাজ করে, কাজের জন্য বেতন পায়, কিন্তু রাষ্ট্র সেটার অংশ চায়।

সময়ের সাথে সাথে অত্যাচার আরো বাড়ছে। জনগণকে পে করার জন্য বাধ্য করার জন্য, বিশ্বব্যাপী সরকাররা এমন আইন প্রনয়ন করছে যা আগে ছিল না, যা কিছু ডিসেন্ট্রালাইজড থাকার কথা ছিলো সেগুলো সেন্ট্রালাইজড করার চেষ্টা করছে। আর মানুষ, লোভে পড়ে সরকারকে চাদাবাজি করতে আরো সহযোগিতা করছে।

নিজেদের ঘর গরম রাখার জন্য এবং খাবার রান্নার জন্য প্রমিথিউস মানুষকে আগুন আবিস্কার করে দিয়েছিল, কিন্তু মানুষ সেটা ব্যাবহার করেছে প্রতিবেশীদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার জন্য। একইভাবে, কোন তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন করার জন্য, এবং মানুষকে সরকার এবং ব্যাংকের চাপিয়ে দেওয়া দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সাতোশি জনগণকে বিনামূল্যে বিটকয়েন দিয়েছিল। কিন্তু মানুষ তাদের লোভে সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ তৈরি করেছে।

কিছু সুবিধাবাদী লোক মনে করেছিল যে তারা সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ চালিয়ে বড়লোক হবেন। তাদের মধ্যে একজন চার্লি শ্রেম (ইয়াঙ্কি (বিটইন্সট্যান্ট))। তিনি একজন তরুণ উদ্যমী, যিনি কলেজে পড়ার সময়ে বিটকয়েন এডপ্ট করেছেন। পরে তিনি BitInstant চালু করেন, যা প্রথম ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জগুলির মধ্যে একটা এবং এক সময় পুরো  বিটকয়েন লেনদেনের প্রায় ৩০% সেখানেই হতো। পরবর্তীতে লাইসেন্সবিহীন মানি ট্রান্সফার ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য তাকে জেল খাটতে হয়। তাকে "বিটকয়েনের প্রথম অপরাধী"ও বলা হয়।

শ্রেমের কেস এর পর থেকে, বিটকয়েনারদের সাথে প্রশাসন আরও কঠোর হতে শুরু করে। ২০১৮ সালের এর একটা আর্টিকেল এ জানানো হয়েছে যে "তথাকথিত "বিটকয়েন মাভেন", যিনি লাইসেন্সবিহীন বিটকয়েন-ফর-ক্যাশ এক্সচেঞ্জ ব্যবসা এবং বিটকয়েন লন্ডারিং করার কথা স্বীকার করেছেন [...] তাকে আজ ১২ মাস এবং এক দিনের ফেডারেল কারাগারে সাজা দেওয়া হয়েছে, $20,000" জরিমানা এবং ৩ বছরের সুপারভাইজ্ড রিলিজ দেয়া হয়েছে।



ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এর পরিমান বেড়েছে এবং তাদের ইউজাররাও বিটকয়েনের মূল নীতি : পিয়ার-টু-পিয়ার/এননিমিটি/ছদ্মনাম/থার্ড পার্টি থেকে মুক্তি না বুঝেই এর বিরুদ্ধে কাজ করছে। ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের সাথে নতুন আইনও বের হয়েছে, এবং তারা তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে KYC তথ্য কালেক্ট করতে এক্সচেঞ্জকে বাধ্য করছে।

মানুষের লোভ তাদের কে কোথায় নিচ্ছে:

- এক্সচেঞ্জে তাদের টাকা রেখে ঝুকি নিচ্ছে, যেখানে তাদের প্রাইভেট কি নিজেদের কাছে নেই
- তাদের টাকার ঝুকি নিচ্ছে, যেখানে অনেক এক্সচেঞ্জ হ্যাক হয়েছে
- তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের ঝুঁকি নিচ্ছে, যেখানে অনেক এক্সচেঞ্জ হ্যাক হয়েছে এবং হ্যাকাররা গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করেছে এমনকি ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করেছে (যা এই লোকেদের জন্য আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলেছে, কারণ আপনি হয়তো জানেন না কখন একজন ক্রিমিনাল ডার্ক ওয়েব থেকে 1$ দিয়ে আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য কেনার পরে আপনার দরজায় উপস্থিত হবে এবং আপনার ঘরে ডাকাতি করবে)
- তাদের টাকার ঝুকি নিচ্ছে, যেখানে অনেক এক্সচেন্জ সহজেই তাদের একাউন্ট ফ্রিজ করে দিচ্ছে
- তাদের টাকার ঝুকি নিচ্ছে, যেখানে অনেক ব্যাংক তাদের টাকা ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেন থেকে এসেছে এটা জানার পর একাউন্ট ফ্রিজ করে দিচ্ছে।
- তাদের টাকার এবং তাদের স্বাধীনতার ঝুঁকি নিচ্ছে, যদি তারা সরকারের জারি করা নতুন আইন না মানে।

তবুও, মাত্র কয়েকজন তাদের শিক্ষা পেয়েছে। সম্ভবত যারা জ্ঞানী ছিল এবং যাদেরকে উপরে উল্লেখ করা কমপক্ষে একটা পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে।

সময়ের সাথে সাথে, "ক্রিপ্টো আইন" আরও কঠিন এবং আরও জটিল হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে, আরও হাস্যকর বা আরও প্রশ্ন তৈরী করে যার উত্তর কেউ দেয়নি।

উদাহরণস্বরূপ, রোমানিয়াতে, প্রথম ক্রিপ্টো আইন ২০১৯ সালে জারি করা হয়েছিল কিন্তু, ততক্ষণ পর্যন্ত, আপনি ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার মতো ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন, যদিও কোন আইনি কাঠামো ছিল না, এমনকি ক্রিপ্টো লেনদেন থেকে আসা ফিয়াট মানি ঘোষণা না দেয়ার কারনে জেল জরিমানার ব্যাবস্থাও ছিলো। হিসাবরক্ষকরা জানতো না কিভাবে তাদের গ্রাহকদের এই আয় ঘোষণা করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষ জানতো না কিভাবে জনগণের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আইন জারি হওয়ার পরে, ২০১৯ সালের প্রথম দিকে, বিটকয়েনারদের তাদের আগের বছরে যে লাভ হয়েছিল তার জন্য ১০% ট্যাক্স দিতে হয়েছিল। এবং, যদি তাদের প্রফিট ১২ টা মিনিমাম বেতনের চেয়ে বেশি হয়, তবে তাদের ১২ টি ন্যূনতম বেতনের পরিমাণের ১০% ট্যাক্স প্রদান করার কথা ছিল। এই সেকেন্ডারি ট্যাক্স দেওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য। আগের বছরে যাদের লস ছিল তাদের কিছুই দিতে হয়নি।

তারপরও আইনটি পরিষ্কার না। একজন মাইনার কি করবে? যদি সে আগের বছরে লাভ করে থাকেন কিন্তু যে হার্ডওয়্যার সরঞ্জামগুলি তিনি কিনেছিলেন যেগুলোর টাকা এখনো পরিশোধ হয়নি, মাইনার কি লাভে নাকি লসে? এবং সেসব মাইনারদের কি হবে যাদের কাছে তাদের হার্ডওয়্যার সরঞ্জামের বিল/চালান নেই? কেউ জানে না।

ভবিষ্যতে নতুন ট্যাক্স আসতে পারে। আরো জটিল, আরো হাস্যকর।

যাই হোক না কেন, বিটকয়েন এমন কিছুর জন্য পরিকল্পনা করা হয়নি। এটা জনগণকে আরও কষ্ট দেয়ার জন্য বানানো হয়নি, বা রাষ্ট্রকে তার ভাগ না দিলে তাদের জেলে নেওয়ার জন্য না, এমন একটা ভাগ যেটার জন্য রাষ্ট্র কোনো অবদান রাখে নি। যা হওয়া উচিত, সবকিছুই তার উল্টো পথে আছে

সরকার এবং ব্যাংকগুলোকে অপ্রাসংগিক বানানোর বদলে, মিডলম্যান কে ইকুয়েশন থেকে বের করে দেওয়ার বদলে, মানুষের ব্যাবহার এসব প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছে। এবং এখন, এ এনটিটিগুলোই উল্টো লড়াই করছে, মানুষকে আরও বেশি নিপীড়ন করছে। অথরিটির জবাবদিহি করতে প্রস্তুত থাকার জন্য সব এক্সচেঞ্জ ইউজারদের তথ্য সংগ্রহ করছে। বিটকয়েনাররা ক্রিপ্টো এক্সচেন্জগুলো হাসিমুখে ব্যাবহার করছে -- কেউ জানে না কেনো -- ফ্রিতে এবং নিজের ইচ্ছায় তাদের টাকা ও ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দিচ্ছে। তারা আবারো হুকুমের গোলাম হয়ে ওঠার করার জন্য, ইউজার রা তাদের অ্যাকাউন্টগুলিকে এক্সচেঞ্জ এর সাথে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কানেকটেড করছে, এভাবে ব্যাংকগুলোকে ও তাদের  ইচ্ছামতো ফান্ড ফ্রিজ করতে দিচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষকে তাদের তথ্য দিচ্ছে।

তারপর অনেকে তাদের ক্রিপ্টো একটিভিটি থেকে কিছু ফিয়াট মানি পেয়ে এবং খুব জটিল আইন না বুঝেই তারা কর্তৃপক্ষের সামনে বোকা হাঁস হয়ে বসে



যাইহোক, আমি বিশ্বাস করি যে একটা লিমিট এই সব বন্ধ করে দেবে। বিটকয়েনের এই সমস্ত ভুল ব্যবহার, সকল প্রশাসন এবং ব্যাংকের চাঁদাবাজি, ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের সকল অপব্যবহার।

এবং এমন সীমায় পৌঁছে যাবে যখন অনেক মানুষ তাদের লোভে, তাদের নির্বোধতায়, তাদের মূর্খতায় ভুগবে। যখন তাদের অনেকেরই ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকবে এবং যখন তাদের অনেকের বেশ পরিমাণে জেল খাটতে হবে। শুধুমাত্র একটা কঠোর দুর্ভোগ মানুষের চোখ খুলতে পারবে।

এবং, যখন এগুলো হবে, বিটকয়েনাররা তখন এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করা বন্ধ করবে। তারা ক্রিপ্টো একটিভিটি থেকে পাওয়া তাদের ফিয়াট ইনকাম ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা বন্ধ করবে। এমনকি কেউ কেউ ফিয়াট মানি ব্যাবহার করা বন্ধ করে দিবে। যদি এর সব কিছু হয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত মানুষ বিটকয়েন ব্যবহার শুরু করবে যেভাবে সাতোশি তাদের জন্য তৈরি করেছে: তাদের নিজের সুবিধার জন্য, সরকার এবং ব্যাংক কে অপ্রাসঙ্গিক বানানোর জন্য, যে কোনও মিডলম্যান কে বাদ দেয়ার জন্য, তাদের ফিনান্সিয়াল লেনদেন গোপন করার জন্য, তাদের নিজের ব্যাংক হওয়ার জন্য, এক্সচেন্জকে নিজের প্রাইভেট কি হোল্ড করার পরিবর্তে নিজেই হোল্ড করার জন্য।

এবং, যখন এগুলো হবে, সরকারের করা আগের সব অত্যাচার তাদের বিরুদ্ধে কাজ করতে শুরু করবে। তারা অন্য কোনো শিকার ধরতে পারবে না কারণ তাদের আগের শিকাররা এখন জানে কিভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হয় এবং কিভাবে বিটকয়েন সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয়। যখন এগুলো হবে, শিকারটি নিজেই শিকারী হয়ে উঠবে।

আমি জানি না এই সব বাস্তব  হওয়ার আগ পর্যন্ত কতো সময় চলে যাবে। কিন্তু আমি মনে করি যে, আজ বা কাল, মানুষ বুঝতে পারবে যে তারা যথেষ্ট কষ্ট পেয়েছে এবং তারা বলবে: "যথেষ্ট!"। এবং তারা তাদের চোখ খুলবে এবং বুঝতে পারবে কিভাবে বিটকয়েন ব্যবহার করতে হয়। রাষ্ট্রের স্বার্থে না, নিজেদের স্বার্থে!
hero member
Activity: 462
Merit: 767
Instant cryptocurrency exchange with own reserves!
লেখক: GazetaBitcoin
মেইন টপিক: The call for Julian Assange || The WikiLeaks Manifesto - We all should read it




অনেকেই হয়তো জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের নাম শুনেছেন, কিন্তু খুব কম লোকই জানেন যে তিনি কে, উনি কি করেছিলেন বা এখন উনি কি করেন। এগুলো থেকেও কম জানেন, কেন তিনি ক্রিপ্টো স্পেসে একজন আইডল ব্যক্তিত্ব।

এই টপিকটা একটা সাহায্যের ডাক, এজন্য আমি এটা বিগিনার এবং হেল্প বোর্ডে পোস্ট করছি৷ এটা জুলিয়ানকে সাহায্য করার জন্য একটা ডাক!

আমি অনেকদিন ধরেই এই টপিকটা লেখার পরিকল্পনা করছিলাম, কিন্তু বিভিন্ন কারণে (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সময়ের অভাব) আমি এটা দেড়ি করেছি। যাইহোক, সাম্প্রতিক প্রেসের প্রতি এক আরেকটা অসম্মান (একভাবে বা অন্যভাবে) আমাকে এই থ্রেডটি লিখতে সংকল্পিত করেছে। এর পিছনের কারণ যদিও কম গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ হল জুলিয়ানের সাহায্য প্রয়োজন।



এই টপিকের শেষ অংশ একটা সতর্কতামূলক কথা: "আমাদের সকলের সাইফারপাংকসের কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা উচিত!"

সাইফারপাংকস গ্রুপ টা প্রাথমিকভাবে ১৯৯২ সালে "দ্য সাইফারপাঙ্ক ম্যানিফেস্টো" এর লেখক এরিক হিউজেস, জন গিলমোর এবং "দ্য ক্রিপ্টো অ্যানার্কিস্ট ম্যানিফেস্টো" এর লেখক টিমোথি মে দের নিয়ে তৈরী হয়েছিল। গিলমোরের অফিসে একটা পুরাতন মিটিং থেকে সাইফারপাংকস মেইলিং লিস্ট নামে একটা মেইলিং লিস্টের জন্ম হয়েছিল।

কিছু সময়ের মধ্যে, নাগরিকদের উপর নজরদারি করা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাইফারপাংকস এর লড়াইয়ে অন্যরাও যোগ দেয়। তারা অবশেষে ১০০০ জনেরও বেশি কনট্রিবিউটরে পৌছায়।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ১৯৯৫ থেকে ২০০২ অব্দি দলের অংশ ছিলেন। তার ব্রিলিয়েন্ট মন অন্যরা সহজেই খেয়াল করেছিল। যদিও মে, হিউজ বা গিলমোর "মানুষের জন্য অ্যালগরিদম", ডিজিটাল নগদ এবং ক্রিপ্টোগ্রাফিতে জনসাধারণের অ্যাক্সেসের উপর বেশি মনোযোগ দিতেন (এমন একটা যুগে যখন এনএসএ তার বিরুদ্ধে সমস্ত ক্ষমতা দিয়ে লড়াই করছে), অ্যাসাঞ্জের একটা ভিন্ন নীতি ছিল: "তথ্যের স্বাধীনতা একটা সম্মানিত উদার ভ্যালু"

দ্যা উইকিলিকস ম্যানিফেস্টো, একটি নথি যা কম পরিচিত, দুর্ভাগ্যক্রমে, এটাতে জুলিয়ানের জ্ঞানের অন্যান্য কথাও আছে: "শুধুমাত্র প্রকাশিত অন্যায়ের উত্তর দেওয়া যায়; মানুষকে বুদ্ধিমান কিছু হতে হলে আসলে কী ঘটছে তাকে তা জানতে হবে"।

১৪৪৮ সালে গুটেনবার্গের প্রিন্টিং প্রেসের উত্থানের পর থেকে, যেটা প্রিন্টিং রেভুলেশন নিয়ে এসছিলো, ক্লাসিপাইড ডকুমেন্ট এর উপর ধনীদের ক্ষমতা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে। এটা তথ্য ডিসেন্ট্রালাইজেশনের প্রথম রূপগুলোর মধ্যে একটা ছিল। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এটাকে সম্পূর্ণ নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন।

এবং ২০০৬ সালে উইকিলিকস চালু হওয়ার পরে এটা ঘটে।

"আমি এটা মনে করে বড় হয়েছি যে আমি যে বিশ্বে বাস করেছি যেখানে মানুষ একে অপরের সাথে গোপনীয়তার সাথে যোগাযোগ করার এক ধরণের স্বাধীনতা উপভোগ করেছে, কোনো মনিটরিং করা ছাড়াই, কোনো বিবেচনা করা বা বিশ্লেষণ করা ছাড়াই বা ঐসব শ্যাডি পরিসংখ্যান বা সিস্টেম দিয়ে বিচার করা হয় না , যে কোন সময় তারা এমন কিছু বলে যা পাবলিকলি ছড়িয়ে পড়ে।" - এডওয়ার্ড স্নোডেন

স্নোডেনের সাথে একইরকম চিন্তা শেয়ার করে; এবং বেশি কিছু: প্রশাসনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার পরে কোথায় স্থায়ী হবে এবং কোথায় স্থায়ী হবে না তা সুপারিশ করে তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন; অ্যাসাঞ্জ বিশ্বের বিভিন্ন যায়গা থেকে হাজার হাজার ক্লাসিফাইড ইনফরমেশন প্রকাশ করেছেন।

কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারে, বিটকয়েনের সাথে তার সম্পর্ক কি?

মার্কিন সরকার উইকিলিকসের অ্যাকাউন্টগুলোর উপর একটা ফিনান্সিয়াল ব্লক দেয়ার পরে, জুলিয়ান বিটকয়েনের সম্ভাবনা বুঝতে শুরু করেছিলেন এবং অনুদানের জন্য একটা মেথড হিসাবে নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি একসেপ্ট করার কথা জানান। আইডিয়াটা সেই সময়ে বিটকয়েনটকে আগুন ধরিয়ে দেয়:

"ব্রিং ইট অন", RHorning জোর দিয়েছিলেন।

যাইহোক, অ্যাসাঞ্জ অব্যাহত ছিলেন, বিটকয়েনের ছদ্মনামী আবিস্কারক, ""সাতোশি নাকামোতো,” বলেছেন: “নো, ডোন্ট ব্রিং ইট অন"। প্রজেক্ট টা আস্তে আস্তে বড় করতে হবে যেনো সফ্টওয়্যারটাকে এই পথ ধরে শক্তিশালী করা যায়। আমি উইকিলিকসের কাছে এই আবেদন করছি বিটকয়েন ব্যবহার করার চেষ্টা না করার জন্য। বিটকয়েন এটার শুরুর দিকে এবং কমিউনিটি খুব ছোট। আপনি পকেট চেন্জ এর চেয়ে বেশি কিছু পাওয়ার জন্য দাঁড়াতে পারবেন না এবং আপনি যে হিট আনবেন তা সম্ভবত এই পর্যায়ে আমাদেরকে ধ্বংস করে দিবে।” [...] ছয় দিন পরে, ১২ ডিসেম্বর ২০১০-এ, ফেমাস ভাবে সাতোশি বিটকয়েন কমিউনিটি থেকে উধাও হয়ে যায়, কিন্তু এই মেসেজটি পোস্ট করার আগে না: “অন্য কোনো প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ভালো হতো। উইকিলিকস ভিমরুলের বাসায় লাথি মেরেছে, এবং ঝাঁকটি আমাদের দিকে তেড়ে আসছে।”"

সাতোশির প্রতি এবং তার কাজের প্রতি সম্মানের গভীর নিদর্শন হিসাবে, অ্যাসাঞ্জ যেমন বলেছেন (আগের মেনশন করা লিংকে), "উইকিলিকস সাতোশির এনালাইসিস পড়েছে এবং তার সাথে একমত হয়েছে, এবং কারেন্সিটা আরো প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিটকয়েন ডোনেশন চ্যানেল চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উইকিলিকসের বিটকয়েন ডোনেশনের এড্রেস বিটকয়েনের প্রথম চালু করা হয়েছিল ১৪ জুন ২০১১ তে বড় পাম্প এর পরে।"

একটা সম্মানের প্রকাশ যা আজকাল খুব দূর্লভ

কিন্তু জুলিয়ানের বিটকয়েনের উপর ভরশা করা শুধুমাত্র উইকিলিকসকে সাহায্য করেনি: বরং বিটকয়েনকে আরও জনপ্রিয় হতে সাহায্য করেছে; এটা সাতোশির সৃষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে; এটা সাতোশির খোলা পথে আরও বেশি মানুষকে নিয়ে আসে।

এরপর যা ঘটেছিল তা উল্লেখ করা ইতিহাসের চেয়ে ভালো জানা আছে। মার্কিন সরকার ২০১১ সালে অ্যাসাঞ্জকে খুঁজতে শুরু করে, এবং প্রতিক্রিয়া হিসাবে, জুলিয়ান লন্ডন থেকে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় চেয়ে নিজেকে সাহায্য করেন। তার অনুরোধ ২০১২ সালে অনুমোদন করা হয়েছিল। তবে, দূতাবাসে থাকা তার জন্য সহজ ছিল না - অন্যদের মধ্যে, তিনি ২০১৯ (!) পর্যন্ত দূতাবাসের বাইরে তার পা রাখেনি, প্রায় একজন বন্দী হিসাবে জীবনযাপন করেছেন। যৌন হয়রানির একটা মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ, যা সুইডিশ সরকার বছরের পর বছর বাদ দিয়েছিল এবং উইকিলিকসের জন্য তার ক্রমাগত কাজ করার মধ্যেও অ্যাসাঞ্জ তার নৈতিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার এড়াতে তার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল, ভালভাবে সচেতন ছিলেন নয়তো এর অর্থ হবে মৃত্যুদণ্ড না হলে অন্তত ১৭৫ বছর জেল

দুর্ভাগ্যবশত, ২০১৯ সালে ইকুয়েডর তাকে আশ্রয় দেয়া বন্ধ করে দেয়, কমবেশি হাস্যকর কারণে, তবে এটা প্রায় স্পষ্ট যে সিদ্ধান্তটা নিতে অন্য কোনো গোপন সংস্থা বা অন্যান্য সরকার থেকে কোন ভাবে বাধ্য করা হয়েছিল।

এই থ্রেডটা লেখার সময়, জুলিয়ানের প্রত্যর্পণের জন্য বিচার শুরু হয়েছে। বিচার চলাকালে তিনি কারাগারে অবস্থান করছেন।

যেমনটা আমি ইদানিং বলছিলাম, আগের একটা টপিকে,

বাকস্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ, গোপনীয়তার জন্য এবং শাসনব্যবস্থাকে অপ্রাসঙ্গিক হিসাবে উপস্থাপনের লড়াই অনেক আগে শুরু হয়েছিল। এটা এখন আমাদের হাতে।

জুলিয়ানকে সাহায্য করাও আমাদের হাতে। আর তাকে সাহায্য করা মানে তথ্যের স্বাধীনতায় সাহায্য করা!

এই সাহায্য কিভাবে অফার করবেন আমি সেটা বলতে চাচ্ছি না। আমি নিশ্চিত সবাই জানে, বা, অন্তত, এই সম্পর্কে একটা ধারনা আছে।

বিতর্ক এবং কিছু করার সময় আছে। বিতর্ক এখন শেষ।



উল্লেখ্য বিষয়:

আমি উল্লেখিত বিষয়গুলোও পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি:
- নিলস মেলজারের দ্য ট্রায়াল অফ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ: নির্যাতনের গল্প - উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আইনি নির্যাতনের মর্মান্তিক গল্প এবং ভবিষ্যতের হুইসেলব্লোয়ারদের জন্য বিপজ্জনক প্রভাব
- রবার্ট ম্যানের আর্ট দ্য সাইফারপাঙ্ক রেভুলোশনারি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
- দ্য মোস্ট ডেঞ্জারাস ম্যান ইন দ্য ওয়ার্ল্ড: দ্য ইনসাইড স্টোরি অন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অ্যান্ড উইকিলিকস, লিখেছেন অ্যান্ড্রু ফাউলার
- জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের লেখা, সাইফারপাঙ্কস: ফ্রিডম অ্যান্ড দ্য ফিউচার অফ দ্য ইন্টারনেট। বইটা জুলিয়ান, জ্যাকব অ্যাপেলবাম (টর ডেভেলপার) এবং জেরেমি জিমারম্যান (লা কোয়াড্রেচার ডু নেট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা) মধ্যে একটি আলোচনা সম্পর্কে
- সুয়েলেট ড্রেফাস এবং জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এর, আন্ডারগ্রাউন্ড। এটি ১৯৮০-এর দশক থেকে অস্ট্রেলিয়ান হ্যাকার এবং ফ্রেকারদের উত্থান সম্পর্কে একটাআকর্ষণীয় বই, যার মধ্যে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের প্রথম দিকের একটিভিটি আছে, তিনি সেই সময়ে মেন্ডাক্স নামে পরিচিত ছিল
- জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এর, হোয়েন গুগল মিট উইকিলিকস
- জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এর, দ্যা আনঅথোরাইজ্ড অটোবায়োগ্রাফি

পাশাপাশি, উল্লেখিত মুভিগুলো অবশ্যই দেখার বিষয় ক্যাটাগরির একটা অংশ:

ইথাকা - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যর্পণ থেকে বাচতে জুলিয়ানের সংগ্রাম দেখানো একটা তথ্যচিত্র
মিডিয়াস্তান: এ্যা উইকিলিকস রোড মুভি - উইকিলিকসের একটা নিজস্ব ডকুমেন্টারি - সম্পূর্ণ চলচ্চিত্র
রিস্ক - একটি উইকিলিকস ডকুমেন্টারি, লরা পোইট্রাস (জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের একজন বন্ধু) এর পরিচালিত - সম্পূর্ণ চলচ্চিত্র
দ্য ফিফথ এস্টেট - উইকিলিকস সম্পর্কে একটা দুর্দান্ত চলচ্চিত্র
উই স্টিল সিক্রেটস: দ্য স্টোরি অফ উইকিলিকস - উইকিলিকস নিয়ে আরেকটা ডকুমেন্টারি
আন্ডারগ্রাউন্ড: দ্য জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ স্টোরি - জুলিয়ানকে নিয়ে আরেকটা মুভি, যা তার ক্যরিয়ারের প্রথম দিকটা ফুটিয়ে তোলে।
hero member
Activity: 462
Merit: 767
Instant cryptocurrency exchange with own reserves!
লেখক: GazetaBitcoin
মেইন টপিক: The Crypto Anarchist Manifesto - We all should read it




বিটমুভার এর টপিকের পরে, আরেকটি পড়তেই হবে এমন আর্টিকেল হলো টিম মে এর লেখা, দ্যা ক্রিপ্টো এনারকিস্ট ম্যানিফেস্টো

রচনাটা প্রথম প্রকাশ করা হয়েছিল ১৯৮৮ সালে (এরিক হিউজের আর্টিকেল এ সাইফারপাঙ্ক ম্যানিফেস্টো এর চেয়ে ৪ বছর আগে), ক্রিপ্টো '৮৮ সম্মেলনে এবং এটা কিছু দিক নিয়ে টিম মে-এর অসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে যা ৩০ বছর পর বাস্তবে পরিণত হয়েছে।

এই পান্ডুলিপিতে ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং রেপুটেশন সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে প্রযুক্তি কীভাবে শাসন, ট্যাক্স বা অর্থনৈতিক কন্ট্রোল কিভাবে পৃথিবীকে পরিবর্তন করবে তার বিস্তারিত  বর্ননা করা হয়েছে:

"কম্পিউটার প্রযুক্তি কোনো ব্যাক্তি বা গ্রুপকে সম্পূর্ণ এননিমাস ভাবে একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ এবং যোগাযোগ করার ক্ষমতা প্রদানের দ্বারপ্রান্তে আছে। দুই জন মানুষ কারো সত্যিকারের নাম না জেনে বা লিগ্যাল নাম না জেনে মেসেজ আদান-প্রদান করতে পারে, ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে এবং দামাদামি করে ইলেকট্রিক চুক্তি করতে পারে। এনক্রিপ্ট করা প্যাকেট এবং টেম্পার-প্রুফ বক্সগুলোর রি-রাউটিং করে যা যে কোনও টেম্পারিংয়ের বিপরীতে প্রায় নিখুঁত নিশ্চয়তার সাথে ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকলগুলো ব্যাবহার করে যাতে নেটওয়ার্কগুলোতে হওয়া যোগাযোগ গুলো ট্রেস করা না যায়। রেপুটেশন হবে প্রধান গুরুত্ব, এমনকি আজকের দিনের ক্রেডিট রেটিং এর চেয়েও লেনদেনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ডেভেলপমেন্টগুলো সম্পূর্ণভাবে সরকারী রেগুলেশন পরিবর্তন করবে, ট্যাক্স এবং অর্থনৈতিক ইনট্যারেকশন নিয়ন্ত্রণ করার এবিলিটি, তথ্য গোপন রাখার এবিলিটি এবং এমনকি বিশ্বাস এবং রেপুটেশন সিষ্টেমকেও পরিবর্তন করবে।"।

সাইন্স-ফিকশনে জুলস ভার্নের দৃষ্টি ভঙ্গির সাথে মে'র ক্রিপ্টোতে দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই প্রশংসা করা যেতে পারে।

তিনি অনেক বাস্তব প্রযুক্তিগত ডেভেলপমেন্ট প্রকাশ করেছে, মাত্র কয়েকটি শব্দের মাধ্যমে, যেমন স্মার্ট কনট্রাক্ট, টর, বিটকয়েন টেকনোলোজি বা রেপুটেশন সিষ্টেম (যেমন, মেরিট এবং ট্রাস্ট সিস্টেম বিটকয়েনটক-এ ব্যাবহার করা হয়েছে)।

"ট্রু নেম" এর রেফারেন্স টা ভার্নর ভিঞ্জের উপন্যাস "ট্রু নেমস" (১৯৮১) থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারে, যা একটা শিল্পের চমৎকার অংশ।

তিনি কালো বাজারের আবির্ভাব এবং জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছানো বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের লড়াইয়ের পূর্বাভাস দেখেছিলেন:

”রাষ্ট্র অবশ্যই জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগে, ড্রাগ ডিলার এবং ট্যাক্স ফাঁকিবাজরা প্রযুক্তির ব্যবহার করবে এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বাড়বে এই ভয় উল্লেখ করে প্রযুক্তির অগ্রগতিকে স্লো বা বন্ধ করার চেষ্টা করবে। এই উদ্বেগের অনেকগুলো আসলে সঠিক হবে; ক্রিপ্টো নৈরাজ্য জাতীয় গোপনীয়তা গুলোকে কোনো বাধা ছাড়াই ট্রেড করার সুযোগ করে দিবে এবং অবৈধ এবং চুরি করা জিনিস গুলো লেনদেনের সুযোগ করে দিবে। একটি এননিমাস কম্পিউটারাইজড মার্কেট গুপ্তহত্যা এবং চাঁদাবাজির মতো জঘন্য মার্কেট তৈরি করতে পারে৷ বিভিন্ন অপরাধীরা এবং বিদেশী উপাদান ক্রিপ্টোনেটের একটিভ ইউজার হবে৷ কিন্তু ক্রিপ্টো নৈরাজ্যের বিস্তার থামবে না।"।

রচনাটি শেষ হচ্ছে ”জেগে ওঠো, তোমার আর কিছুই হারানোর নেই কাঁটাতারের বেড়া ছাড়া!”। কাঁটাতারের বেড়া আমেরিকানদের জন্য পরিচিত। এটা তাদের ইতিহাসের একটি অংশ: পশ্চিমা অঞ্চলগুলো কাঁটাতার দিয়ে বেড়া দেয়া ছিল এবং রাখালরা তারগুলো কাটছিল, যারা স্বাধীনতা চায়। এটা শাসকদের দুর্নীতি ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আহবান। গোপন এজন্সিগুলোর বিরুদ্ধেও যারা তথ্য বন্ধ করতে চেয়েছে।

আমাদের সকলের উচিত সাইফারপাংক এর কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা!
hero member
Activity: 462
Merit: 767
Instant cryptocurrency exchange with own reserves!
লেখক: GazetaBitcoin
মেইন টপিক: Cryptocurrency vs digital money issued by the State




একটা ভূত আধুনিক বিশ্বকে তাড়া করছে, ক্রিপ্টো নৈরাজ্যের ভূত - টিম মে

আমি এই টপিকটি আমার অন্য একটি টপিক এর ”দ্বিতীয় পার্ট” হিসেবে শুরু করছি - সরকার ট্রেডারদের পেছনে লেগেছে! আংশিকভাবে, এই থ্রেডটি পড়ে (এর টাইটেল) ইনফ্লুয়েন্স হয়ে: বিশ্বের সরকারগুলো কেনো ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করছে না?

সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করতে চায় না; অন্তত ডিসেন্ট্রালাইজ্ড গুলো না। কারণ তাদের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে - ব্যক্তিগত তথ্য থেকে ডেটা এবং টাকা। সরকারের ইস্যু করা আই ডি ছাড়া আপনি কিছুই করতে পারবেন না - আপনি স্কুলে যেতে পারবেন না, আপনি গাড়ি চালাতে পারবেন না, আপনি বিয়ে করতে পারবেন না এবং আরো অনেক কিছুই করতে পারবে না। সরকারের তার সকল নাগরিকের আর্থিক ইনফরমেশন সহ সকল তথ্য দরকার। এ কারণে সরকার যতটা সম্ভব নগদ টাকা উঠিয়ে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডে নিয়ে আসছে। ক্যাশ টাকা ট্র্যাক করা কঠিন, যেখানে ডিজিটাল লেনদেনগুলো ব্যাংক সব সময় সংরক্ষন করে, যারা আসলে সরকারের হাত, চাইলেই কতৃপক্ষকে মানুষের সকল তথ্য দিয়ে দেয়।

ক্রিপ্টোর হাইপ বুঝতে পেরে, বুঝতে পেরেছে যে মানুষ ডিজিটাল কারেন্সির দিকে ঝুকছে, সরকার তার নাগরিকদের একই সুবিধা দেয়ার উদ্দ্যেশ্যে বড় বা ছোট আকারে ব্যাবস্থা গ্রহন করা শুরু করছে। কিন্তু ডিসেন্ট্রালাইজ্ড ক্রিপ্টোকারেন্সি না, যেগুলো এননিমাস বা ছদ্মনামী - তারা সেন্ট্রালাইজ্ড ক্রিপ্টোকারেন্সি অফার করতে চায়, এক ধরনের টাকা যা ট্র্যাক করা যাবে, যা আপনার রিয়েল নামের সাথে সম্পৃক্ত এবং যার দাম ফ্রি মারকেট এর পরিবর্তে সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে৷ যেমন ধরুন ভেনিজুয়েলার পেট্রো, রাশিয়ার ক্রিপ্টোরুবেল, জাপানের জে-কয়েন, চীন ইত্যাদি।

অবশ্যই সরকারের ইস্যু করা ডিজিটাল কারেন্সি ক্রিপ্টোকারেন্সির সম্পূর্ণ বিপরীত এবং এদের মধ্যে ভেদাভেদ অনেক বেশী, যা সবগুলো গননা করাও কঠিন:
- ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো হলো ব্যাংক এবং সরকারের দাসত্ব থেকে মানুষকে মানুষকে স্বাধীনতা দেয়ার জন্য, মধ্যাস্থতাকারী কে উঠিয়ে দিয়ে পিয়ার টু পিয়ার ট্রান্সফারকে সহজ করার জন্য; সরকারের ইস্যু করা ডিজিটাল কারেন্সি বিশ্যস্ত তৃতীয় পক্ষ (ব্যাংক) এর ওপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে, এগুলো মানুষকে কৃতদাস বানানোর জন্য বানানো জন্য , তাদেরকে স্বাধীনতার মোহ দেয়ার জন্য করা হয়েছে, প্রকৃত পক্ষে তারা নির্যাতিত;
- ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো এননিমিটি / ছদ্মনামি প্রোভাইড করছে এবং ইউজাররা সেগুলোর প্রকৃত মালিক, কারণ তারা তাদের প্রাইভেট কী নিজের কাছে রাখছে; সরকারের বানানো ডিজিটাল মুদ্রা মানুষকে প্রাইভেট কী অফার করবে না, সেগুলো ট্র্যাক করা যাবে এবং সম্ভবত, মাইনিং করা যাবে না (এর পরিবর্তে, এটা ব্যাংক এর হাতে থাকবে);
- মুদ্রাস্ফীতি এড়াতে (বেশিরভাগ) ক্রিপ্টোকারেন্সিতে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক কয়েন থাকে; সরকারের বানানো ডিজিটাল মুদ্রার কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকবে না, কারণ সরকার ইনফ্লাসন চাইছে এবং ডিফ্লা্শন না, কারণ ইনফ্লাসন হল একটা পরোক্ষ ট্যাক্স যা অনেক মানুষ না জেনেই সাপোর্ট করছে। পরোক্ষ ট্যাক্স আরোপের তুলনায় জনগণকে প্রত্যক্ষ ট্যাক্স দিতে বাধ্য করা কঠিন; যদি পরোক্ষ ট্যাক্সও আদায় না হয়, সরকারের কাজ সহজ হয়ে যায়;
- ক্রিপ্টোকারেন্সির মান ট্রেডিং মারকেট এর মাধ্যমে নির্ধারিত হয় (বা, অন্তত, এভাবেই হওয়া উচিত; এখন হোয়েলদের নিয়ে না ভাবি); সরকারের কারেন্সির মান দেশ প্রতিষ্ঠিত করে।

এবং তালিকা আরো বড় হতে পারে।

প্রকৃতপক্ষে, রাষ্ট্রের বানানো ডিজিটাল কারেন্সি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে একমাত্র মিল হল উভয়ই ফিয়াট অর্থ থেকে মুক্তি পেতে চায়। কিন্তু, স্পষ্টতই, সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে: ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো আসল সিস্টেমকে পরিবর্তন করতে চায়, যা গোড়াতেই দূর্নীতিগ্রস্থ, যেখানে সরকার সিস্টেমটা রাখতে চায়, কিন্তু একটি ভিন্ন ফিনান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে, যা মানুষকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের ভুল ধারণা দিবে।

ক্রিপ্টো নৈরাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা, সাইফারপাংক রা এই ভবিষ্যৎ অনেক আগেই দেখেছে। আপনি যদি তাদের কেউ হয়ে থাকেন যারা সরকারের দুর্নীতিগ্রস্ত ফিয়াট মুদ্রা রিজেক্ট করেছেন, তাহলে সরকারের বানানো ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করে নিজেকে প্রতারিত হতে দেবেন না!

উঠে পড়ুন, আপনার কাঁটাতারের বেড়া ছাড়া আপনার হারানোর কিছু নেই! (টিম মে, দ্যা ক্রিপ্টো এনারকিস্ট ম্যানিফেসটো, ১৯৮৮)

[চলবে]
hero member
Activity: 462
Merit: 767
Instant cryptocurrency exchange with own reserves!
লেখক: GazetaBitcoin
মেইন টপিক: Governs are coming for traders!




এটা কোনো রসিকতা না।
আমি ইদানিং আমার এক আইনজীবি বন্ধুর সাথে কথা বলেছি, সে আমাকে একটা পরিস্থিতির কথা বলেছে (রোমানিয়ার সরকার ট্রেডারদেরকে তাড়া করার ব্যাপারে)। আরো স্পষ্ট করে বললে, প্রশাসন তার কিছু ক্লাইন্ট কে তদন্ত করছে, যাদেরকে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিছু বড় অংকের টাকা ট্রান্সফার করার ব্যাখ্যা দিতে হবে।

ট্রেডার রা আইনজীবীর কাছে এসেছিলো কারণ তারা জানেন না কীভাবে তাদের ট্রেডিং ইনকাম কে ন্যায়সংগত প্রমান করবে। এবং আইনজীবী আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে আমি তাকে কোনভাবে সাহায্য করতে পারবো কি না।

মূলত, রোমানিয়ায়, এই বছর ৩০/২৯১০ আইন পাস হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এ আইন প্রফিটের ওপর ট্যাক্স দেয়ার ব্যাপারে, ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ের প্রফিট সহ, কিন্তু আইন প্রয়োগকারী শুধু মাত্র যারা ট্যাক্স দিচ্ছে না তাদের পেছনে নয়, বরং তাদের পিছনেও যাদের ব্যাংক একাউন্টে বড় এমাউন্ট এর টাকা ট্রান্সফার হয়েছে।

আমি আমার বন্ধুকে বলেছি সে তার ক্লাইন্টদেরকে বলতে যে তারা যে সমস্ত ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের সাথে কাজ করে সেগুলি থেকে যেকোন সম্ভাব্য ডাটা কালেক্ট করতে, যাতে কেনার মূল্য প্রমাণ করা যায়, এবং বিক্রয় মূল্যও প্রমান করা যায়। আরেকটি আইডিয়া ছিল সরাসরি এক্সচেঞ্জের সাথে যোগাযোগ করা, যারা কোম্পানি হিসাবে কাজ করে এবং যারা আইন অনুযায়ী মানি প্রসেসর হিসাবে কাজ করার অনুমতি আছে, এবং তাদেরকে লেনদেনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা। যদি সম্ভব হয়, স্ট্যাম্প করা যেহেতু এক্সচেন্জগুলো কেওয়াইসি এবং এএমএল ব্যাবহার করে, প্রয়োজন অনুযায়ী অফিসিয়াল কাগজপত্রও দেওয়া উচিত।

আমার বন্ধু আমাকে সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে বললো সে এই উপায়গুলো ট্রাই করবে।

TL;DR: সরকার আসছে! সাবধান!
আমি কখনই সেন্ট্রালাইজ্ড ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের ফ্যান ছিলাম না, কারণ তারা বিটকয়েনের পেছনের আইডিয়ার ঠিক বিপরীতকে এডাপ্ট করে: ডিসেন্ট্রালাইজেশন এবং ছদ্মনাম। এবং যদি সবাই ফিয়াট টাকার পরিবর্তে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে (অর্থাৎ সকল "ক্রিপ্টোনিয়ান" শুধুমাত্র ক্রিপ্টো-টু-ক্রিপ্টো লেনদেন করে), তাহলে সেখানে কোনো কর যোগ্য ইনকাম থাকবে না। কিন্তু কেউ (বা, প্রায় কেউই) এইভাবে কাজ করে না। তবে যা অবশিষ্ট থাকে তা হল, সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জগুলি বিশ্বস্ত থার্ড পার্টির আইডিয়াটা রেখেছে, যে টা সাতোশি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে চেয়েছিলেন। এবং, যদি এটা যেভাবে ব্যবহার করার জন্য বানানো হয়েছে সেভাবে ব্যবহার করা হয়, বিটকয়েন প্রকৃতপক্ষে সকল বিশ্বস্ত থার্ড পার্টি নির্মূল করবে।

বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরা সুবিধার জন্য সেন্ট্রালাইজ্ড ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে যায়, কারণ তারা ঝুঁকিগুলি বোঝে না বা তাদের অল্টারনেটিভ সম্পর্কে ধারনা না থাকার কারণে৷
১. সুবিধাটা বুঝলাম। মূলত, আপনার একটা ওয়ালেটে আপনার ফান্ড আছে (প্রকৃতপক্ষে আপনি যেটার মালিক না, কারণ এক্সচেন্জ এই টাকার প্রকৃত মালিক) এবং আপনি যে কোনো সময় সেটা অ্যাক্সেস করতে পারেন। এবং আপনি যখন চান লেনদেন করতে পারেন।

২. ঝুঁকি, তবে, একাধিক। "আপনার" এক্সচেঞ্জ ওয়ালেট আসলে আপনার না, এটা এক্সচেঞ্জের। কেন? কারণ আপনার কাছে প্রাইভেট কী নেই। দেখেন Mt. Gox, Binance (দুইবার), Criptsy, Cyptopia, Bitfinex ইত্যাদির সাথে কি ঘটেছে৷ যদি এক্সচেঞ্জের মালিক এক্সিট স্ক্যাম এর সিদ্ধান্ত নেয় তাহলেও একই ঘঠনা ঘটে৷ প্রাইভেট কী না থাকলে, আপনি ফান্ড এর মালিক না।

আরেকটি ঝুঁকি নির্ধারিত হয়েছে যে সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেঞ্জগুলি ব্যাংক হিসাবে কাজ করে এবং গ্রাহকদের ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ করে, সরকারের মাধ্যমে KYC এবং AML (নো ইউর কাস্টমার এবং অ্যান্টি মানি লন্ডারিং) পদ্ধতি প্রয়োগ করতে বাধ্য করা হয়। এবং ব্যক্তিগত তথ্যের জন্য সরকার সবচেয়ে ক্ষুধার্ত একটি এনটিটি। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া, আপনার নিজের গোপনীয়তা/এনোনিমিটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন হওয়া আপনাকে ফ্রাইং প্যানে নিয়ে ওঠাবে, আজ বা কাল, যারা এই "সার্ভিস গুলি" ব্যবহার করেছে, যেমনটা Coinbase ক্লায়েন্টদের সাথে ঘটেছে। যদি ইউজারদের কাছে সমস্ত লেনদেনের প্রমাণ থাকে এবং যদি তারা তাদের ট্যাক্স পরিশোধ করে থাকে, তাহলে তারা ঠিক আছে। এছাড়াও, যারা বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করেছে, তাদের সাথেও সবকিছু ঠিকঠাক হওয়া উচিত, যারা কোনও লাভ করে নি, তবে এই প্রমাণগুলিও কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা উচিত। যাইহোক, এমনকি "আইন মেনে চলা নাগরিক" অবশ্যই কর্তৃপক্ষের তদন্ত করা পছন্দ করবে না।

মেইন সমস্যা হল যাদের কাছে এই ধরনের কোনো প্রমাণ নেই এবং যারা ট্যাক্স দেয় না তাদের নিয়ে। এরা, সরকারের কাছে অপরাধী হিসেবে গন্য হবে, কর ফাঁকিবাজ হিসেবে।

আমি ভালো একটি প্রশ্নে একমত যে "যদি দেশ ক্রিপ্টোকারেন্সিকে টাকা হিসাবে গ্রহণ না করে, তাহলে কেন এটাতে ট্যাক্স আরোপ করে?"। উত্তরটা এরকম: কারণ এটা ইনকাম জেনারেট করে। এমন ও হতে পারে, যদি গাছের পাতা কেনা বেচা করা যেতো, তবে পাতা বিক্রির লাভের ওপর ও ট্যাক্স দিতে হবে।

এভাবে, আমরা প্রশ্ন শুনতে পারি "কিভাবে আমরা আমাদের গোপনীয়তা রক্ষা করব?"।

৩. ক্রিপ্টোতে নতুনরা সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেঞ্জের দিকে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো বিকল্প ব্যাবস্থা সম্পর্কে না জানা। কিন্তু বিকল্প আছে।
একটা প্রথম সমাধান পিয়ার-টু-পিয়ার ডিসেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেঞ্জ, যেখানে লেনদেনগুলি সরাসরি ইউজারদের মধ্যে সম্পাদিত হয়, তারা সম্পূর্ণ এননিমাস, এবং এক্সচেন্জের ভূমিকা ইউজারদের তাদের টাকা / প্রাইভেট কি জমা না রেখে শুধুমাত্র একজন আরেক জনের সাথে যোগাযোগ করতে সহায়তা করা।
এছাড়াও, ক্যাশ-ইন/ক্যাশ-আউট বিটকয়েন এটিএম আরেকটি বিকল্প হতে পারে। কারণ এই ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই। যদিও, এই টার্মিনালগুলি ক্রিপ্টো কেনা/বেচার জন্য ফ্রেন্ডলি প্রাইস দেয় না। তবে গোপনীয়তার একটা মূল্য আছে।
ফাইনালি, আপনি আপনার পরিচিত লোকদের সাথে পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন করতে পারেন, বা অনেক ভালো রেপুটেশন যাদের আছে এই ক্ষেত্রে, এবং সেইসাথে যাদেরকে আপনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না তাদের সাথে অ্যামাজন / আলি এক্সপ্রেস লেনদেনের মতো করে লেনদেন করতে পারেন।

ওপরের সকল সাজেশন তাদের জন্য যারা ক্রিপ্টো থেকে ফিয়াট মানি এক্সচেন্জ করতে চায়। যাইহোক, লেনদেন সম্পূর্ণরূপে ক্রিপ্টো-থেকে-ক্রিপ্টো হলেও, এনোনিমিটি আরও ভালভাবে মেনটেইন করা যায়। এছাড়া, উপরের সবগুলোর একটাও কিভাবে ট্যাক্স ফাকি দেয় তা রেফার করে না। প্রত্যেক নাগরিককে তার ট্যাক্স দেয়া উচিৎ। কিন্তু সেন্ট্রালাইজড ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের সাথে কাজ করা শুধু ইউজারদের সরকারের কাছে এক্সপোজ করে না, বরং তাদের ফান্ডকেও বিপদগ্রস্থ করে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সেন্ট্রালাইজেড ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের অবদান স্বীকার করে আমি এখানে শেষ করছি। তাদেরকে ছাড়া, সম্ভবত, খুব কম লোক বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে জানতে পারতো। ইকো সিষ্টেম এ এক্সচেন্জ এর বিপুল অবদান ছিলো এবং আছে। কিন্তু তবুও, তারা অনেক কুসংস্কার আনতে পারে। এখন, যারা এগুলো ব্যাবহার করবে, তারা কিভাবে কাজ করে জেনে ব্যাবহার করতে পারে।

এডিট: এই টপিকটি লেখা শেষ করার পরেই সরকার ট্রেডারদের পেছনে লাগার আরেকটি উদাহারন মনে পড়লো।

এছাড়াও রোমানিয়াতে, প্রথম ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ BTCxChange বন্ধ হওয়ার পরে, এর মালিক কোম্পানিটা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার জন্য কাগজপত্র তৈরি করেছিলেন। কার্যত, এই ক্ষেত্রে, সাইটটি (অপারেশন) বন্ধ হয়ে আছে, কিন্তু কোম্পানি সম্পূর্ন ভাবে বন্ধ হওয়ার আগ অব্দি রেজিষ্ট্রিতে থাকে।

বন্ধ হওয়া BTCxChange এর মালিক ম্যাক্স নিকুলা রিসেন্টলি বলেছেন যে আজও, এক্সচেঞ্জ সাইটটা বন্ধ করার ১.৫ বছর পরেও, তিনি কোম্পানিটি সম্পূর্ন ভাবে বন্ধ করতে পারেনি কারণ ANAF (IRS-এর রোমানিয়ান ভার্শন) তিনি এক্সচেন্জ বন্ধ করার অনুরোধ করার পর একটি তদন্ত শুরু করেছে। যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো তাকে কর্তৃপক্ষকে তার সমস্ত গ্রাহকদের নাম এবং ডেটা সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, যা কয়েনবেসেও ঘটেছিল। এই ক্ষেত্রে, কোম্পানিকে চালু রাখার জন্য গ্রাহকদের তথ্য প্রকাশ করতে রিকোয়েষ্ট বাধ্য করা হয়েছিল, এখন কোম্পানি (এখনও) বন্ধ করার জন্যও এই তথ্য দিতে হবে।

Coinbase-এর তুলনায় আরও চমকপ্রদ ব্যাপার হলো যে, যেখানে আদালতের সিদ্ধান্ত ব্যাবহার করা হয়েছে, BTCxChange-এর ক্ষেত্রে ANAF শুধুমাত্র একটা আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে। ম্যাক্স নিকুলা বলেছিলো যে সাইটটি বন্ধ করার পরে তিনি গ্রাহকদের কোনো তথ্য রাখেননি, তাই তদন্ত এখনও চলছে, কোম্পানি এখনও বন্ধ হয়নি, তবে এটা অন্য গল্প।

যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল কয়েনবেসের ইতিহাস বারবার ঘটছে এবং আমি মনে করি যে বিশ্বব্যাপী আরও শত শত একই রকম ঘটনা আছে।

এডিট ২: কেওয়াইসি রিলেটেড আরও বিপদ জানার জন্য দয়া করে এই টপিক টি পড়ুন যা এই টপিকের সমপূরক: কেন কেওয়াইসি অত্যন্ত বিপজ্জনক – এবং ইউজলেস।
hero member
Activity: 462
Merit: 767
Instant cryptocurrency exchange with own reserves!
জনগণের লোভের কোন লিমিট নেই এবং, যদিও উপরের উদাহরণগুলি কাউকে সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ ব্যাবহার না করানোর জন্য যথেষ্ঠ কনভিন্সসিভ, তবুও এটা হয়ে ওঠে না। মানুষ শুধুমাত্র সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ ব্যবহারের মতো ঘৃণ্য কাজে সীমাবদ্ধনা; তারা এটাকে অনেক ওপরে নিয়ে গেছে, এবং আর্থিক লেনদেনে ব্যাংকে সম্পৃক্ত করে আরও বিভৎস ভাবে বিটকয়েন ব্যবহার করেছে! মানে তারা সেইসব বিশ্বস্ত থার্ড পার্টিগুলো জড়িয়েছে যেগুলোকে সাতোশি সমীকরণ থেকে বের করে দিতে চেয়েছিল। বিটকয়েনকে এক্সচেঞ্জের সাথে এবং ব্যাংক এর সাথে একত্রিত করে, মানুষ যতটা সম্ভব নিজের ক্ষতি করার জন্য কঠোর লড়াই করছে।

উপরের মতই, এইগুলি পড়ার পরে, কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারে: "ব্যাংক ব্যবহার করলে সমস্যা কী? তারা আমার টাকা রাখে এবং আমার হাতে টাকা আছে এবং আমি তা দিয়ে যা খুশি করতে পারি!”।

আবারো, শেষ কথাটি একটি বিরাট মিথ্যা।

প্রথমত, ব্যাংক আপনার টাকা রাখে না, তারা আরও বেশি টাকা পাওয়ার জন্য সেটাকে ব্যবহার করে। তাদের রিজার্ভের মধ্যে একটি ফ্রাকশন রাখা উচিত কিন্তু, অনেক সময়, তারা সেই ফ্রাকশনটিও রাখে না। এই ব্যাপারটা সাতোশি খেয়াল করেছিল এবং সম্ভবত এটাও অন্য একটি কারণ যা তাকে বিটকয়েন তৈরি করতে বদ্ধপরিকর করেছিল।

Quote
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কে অবশ্যই বিশ্বস্ত হতে হবে যাতে মুদ্রার অবমূল্যায়ন না হয়, তবে ফিয়াট মুদ্রার ইতিহাস সেই বিশ্বাস নষ্ট করায় পরিপূর্ণ।  আমাদের টাকা রাখার জন্য এবং ইলেকট্রনিকভাবে তা স্থানান্তর করার জন্য ব্যাংকগুলিকে বিশ্বস্ত হতে হবে, কিন্তু তারা তা রিজার্ভের সামান্য অংশের সাথে ক্রেডিট বাবল ওয়েভ করে লোন দেয়।  আমাদের প্রাইভেসি দিয়ে তাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে, তাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে যে আইডেন্টিটি চোরেরা আমাদের একাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলবে না।

দ্বিতীয়ত, ব্যাংক গ্রাহকদের তাদের ইচ্ছামতো টাকা ব্যবহার করতে দেয় না। যদি গ্রাহকরা খুব বেশি পরিমাণে ডিপোজিট করে (আগের লেনদেনের তুলনায়), ব্যাংক অ্যাকাউন্ট গুলি ফ্রিজ করে দিতে পারে, গ্রাহকদের সেই সমস্ত টাকা কোথা থেকে এসেছে তা প্রমান দিতে বাধ্য করে৷ গ্রাহকরা খুব বড় লেনদেন গ্রহণ করলে একই ঘঠনা ঘটে। যারা বিশ্বাস করে যে তারা তাদের টাকা তাদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারে তারা আসলে ভুল। সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জের মতোই, গ্রাহকরা একবার তাদের টাকা ব্যাংকে জমা দিলে, তারাও ব্যাংককে টাকার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দিয়ে দেয়।

তৃতীয়ত, ব্যাংক তাদের গ্রাহককে অথরিটির কাছে ধরিয়ে দিতে পারে। এবং আবার: যদি ব্যাংকের চোখে কোনও লেনদেন সন্দেহজনক বলে মনে হয়, সাধারণত একটি বড় অঙ্কের লেনদেন হয়, তবে ব্যাংক শুধু অ্যাকাউন্টটি ফ্রিজ করে না, বরং অথরিটিকেও জানায়। এবং, এই ক্ষেত্রে, গ্রাহক আরও খারাপ কিছুর মুখোমুখি হবে, অথরিটির সামনে তার টাকার উৎসের প্রমান দিতে বাধ্য হচ্ছে!

অবশ্যই, যদি ব্যক্তি টাকার মূল উৎস্য প্রমান করতে না পারে তবে টাকা বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। ব্যাংকগুলো সরকারের লম্বা হাতের মতো কাজ করে এবং তারা গ্রাহকদের ব্যাপারে চিন্তা করে না; তারা শুধুমাত্র তাদের নিজস্ব সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়ে চিন্তা করে, একই সাথে সরকারের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখে।

চতুর্থত, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের ইনিশিয়েট করা লেনদেনগুলিকে ডিনাই করতে পারে, যেমন তাদের খুশি, বা শর্তাবলীর উপর ভিত্তি করে, যা গ্রাহকের স্বাক্ষরকরা একটা চুক্তিপত্রে উল্লেখ্ ছিলো, কিন্তু সাধারণত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় কেউ সেই এক ডজন পৃষ্ঠা পড়ে না। এবং, যেহেতু বেশিরভাগ ব্যাংক ক্রিপ্টোর সাথে সহায়ক নয়, ক্রিপ্টো ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই এক্সপোজ হয়ে যায়।

পঞ্চমত, কিছু ব্যক্তি কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস ব্যাবহার করে যেমন Revolut, এটা ভেবে যে তারা ক্রিপ্টোর মালিক। বাস্তবে, তারা ১টিও সাতোশিরও মালিক নয়! কারণ Revolut ক্রিপ্টো অধিকারভোগ এলাউ করে না, কিন্তু CFD এলাউ করে। তারা আপনার কাছে ইলিউশন সেল করে যে আপনি ক্রিপ্টোর মালিক, কিন্তু আপনি নন। eToro এর ক্ষেত্রেও একই।

ষষ্ঠত, সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেঞ্জের মতো, ব্যাংক এর গ্রাহকরা সম্ভাব্য সকল উপায়ে টাকা খরচ করবে: তারা অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য, টাকা জমা করার জন্য, টাকা উত্তোলনের জন্য, টাকা ট্রান্সপার করার জন্য, অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করার জন্য, একাউন্ট এডমিনিষ্ট্রেশনের জন্য ফিস প্রদান করবে। অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ইস্যু করার জন্য ইত্যাদির জন্যও টাকা খরচ করবে।

সপ্তম, ব্যাংকগুলোও দেউলিয়া হতে পারে, তারা কেলেঙ্কারী করে বেরিয়ে যেতে পারে এবং তারা গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য হারিয়ে ফেলতে পারে। অবশ্যই এই ঘটনাগুলি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে প্রায়শই হয় না, তবে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেও পারে। এগুলো অতীতেও ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটতে থাকবে।

এবং, আমি এখন অব্দি যা যা বলেছি তা নিয়ে আপনার সন্দেহ থাকলে, নীচের স্ক্রিনশটটি প্রমাণ করে যে রোমানিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকদের সাথে কি আচরণ করে:

ছবির সোর্স: ফেইসবুক

বাংলায় অনুবাদিত, এটার অর্থ নিম্নরুপ:

Quote
ব্যাংকের গ্রাহকদের সাথে ব্যাংকের যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক, ব্যাঙ্ককে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও মোকাবিলা, সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং সমগ্র গ্রাহকদের পোর্টফোলিও জন্য সাধারণ ব্যবসায়িক শর্তাবলী (GBC) অনুসরণ করার উদ্দেশ্যে তাদের গ্রাহকদের জানা সম্পর্কিত আইনগুলি অনুসরণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

জিবিসি-এর মতে, ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফ রোমানিয়ার রেগুলেশন 2/2019 এবং আইন 129/2019 অনুসারে, ব্যাংক যে সমস্ত ডকুমেন্ট দেয়ার অনুরোধ করবে, তা প্রদান করা গ্রাহকের দ্বায়িত্য, যেগুলি রেকর্ডকৃত লেনদেন এর প্রকৃতি এবং কারন যাচাইকরা এবং ক্লারিফাই করা প্রয়োজন। এই নথির মাধ্যমে, আমরা আপনাকে জানাচ্ছি যে, আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে হওয়া লেনদেনগুলি বিশ্লেষণ করার পরে, আমরা এই লেনদেনের টাইপোলজি ব্রেক আর্ট নির্ধারণ করেছি। GBC এর 23.1 অনুযায়ী, যা নিম্নোক্ত বলা হয়: "ব্যাংক সম্ভাব্য ঝুঁকি শনাক্ত করলে বা ব্যাংকিং কার্যক্রমে জড়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জোরপূর্বক কিছু অনুরোধ করলে, ব্যাংক এই অধিকার সংরক্ষণ করে যে জুয়া খেলা, পর্নোগ্রাফির মতো সারভিস, (ভিডিওচ্যাট বা একইরকম সারভিসগুলি সহ), অস্ত্র/গোলাবারুদ আনা আইন এ বর্ণিত শর্তগুলি না মেনে লেনদেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি রিলেটেড লেনদেন এর সাথে যুক্ত লেনদেন এলাউ না করার অধিকার রাখে৷



নিচে আপনি উপরোক্ত ব্যাংকের একজন গ্রাহকের রিএকশন পড়তে পারেন। আপনি হয়তো হাসতে পারেন, তবে সিচুয়েশনটা গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত:

ছবির সোর্স: ফেইসবুক

বাংলায় অনুবাদিত, এটার অর্থ নিম্নরুপ:

Quote
বিষয়: আমি আমার নিজের টাকা দিয়ে কি করছি তা ব্যাখ্যার [...] স্বাক্ষরিত যুক্তি

আমি [...] ব্যাংক এর একজন গ্রাহক হওয়ার কারণে, আমি এই নথিতে স্বাক্ষর করছি যা ব্যাংক বাধ্য করেছে, যা কিছু ইন্টারনাল রেগুলেশনকে আমনত্রন করে যা আমার বিরুদ্ধে নয়, যেনো আমি আমার নিজের টাকা দিয়ে যা করছি, তা ব্যাঙ্কের সামনে টাকার উৎসের প্রমাণ করতে আমাকে বাধ্য করার জন্য।
এটি গ্রীষ্মকাল এবং ছুটির সময়কাল, এটি একটি পোস্ট-কোয়ারান্টাইন পিরিয়ডও বিবেচনা করা যায়, যে সময়ে আমি খুব মজা করতে চাই। মজা করার জন্য, আমি হল্যান্ডে যাবো, যেখানে পতিতাবৃত্তি বৈধ, কিছু বেশ্যাকে ফু*ক করার জন্য। সম্ভবত, হল্যান্ডে যাওয়ার পথে, আমি অস্ট্রিয়া এবং জার্মানিতে একই কাজ করব।
তারপরে, হল্যান্ডে থাকাকালীন, যেখানে ড্রাগ বৈধ, আমি কিছু গাঁজা এবং সিদ্ধি ধূমপান করতে চাই, তবে আমি কিছু শুমও ট্রাই করব।
আমি শুনেছি হল্যান্ডে তাদের কিছু ভালো মারিজুয়ানা কেক আছে, এবং আমি আপনাকে সেগুলি ট্রাই করার পরামর্শও দিচ্ছি, হয়তো ঘুম থেকে উঠে মানুষকে জোর করে, স্টুপিড প্রসেস এর ভিত্তিতে, মানুষ নিজের টাকা দিয়ে কি করছে তা জানার জন্য ‍স্টুপিড কিছু কাগজে স্বাক্ষর করানো বন্ধ করুন
অবশ্যই, যদি আমার কাছে টয়লেট পেপার না থাকে, আমার কাছে এত টাকা আছে, তাহলে হয়তো শিখ করে আমি কয়েকশ ইউরো দিয়ে পাছা মুছবো যেমন ধনী ব্যক্তিরা করেন।
বাকি টাকাটা রাখবো আমার বন্ধুদের ধার দেওয়ার জন্য এবং আজাইড়া খরচ করার জন্য, যেটার জন্য আমি পরে আফসোস করব।





উপরে উল্লেখিত সবকিছুই আপনাকে সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেঞ্জ এবং ব্যাংক গুলির সাথে একসাথে বিটকয়েন ব্যবহার করার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাবতে বাধ্য করবে৷ সাবধান! আপনি শুধু নিজের ক্ষতি করবেন এবং হয়তো আপনি অপূরণীয় কুসংস্কারকে উস্কে দেবেন। আমাকে কি এমটি. গক্স এক্সচেন্জ সম্পর্কেও বলতে হবে যারা ৮৫০,০০০ বিটকয়েন খুইয়েছে Huh আমার কি ডজন (শতশত?) হ্যাকড হওয়া এক্সচেঞ্জের কথা উল্লেখ করা উচিত এবং লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের কথা বলা উচিত যারা তাদের টাকা খুইয়েছে? আমি কি হাজার হাজার কেস উল্লেখ করব যেখানে ব্যাংক তার গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে? হ্যাকাররা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়ার পর কতজনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে, কতজনকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে, কতজনের সাথে চাঁদাবাজি করেছিলো, কতজনকে হ্যাকাররা মুক্তিপণ দিতে বাধ্য করেছে তা কি আমি উল্লেখ করব?

আপনি কি এভাবে বাচতে চান? যদি না হয়, তাহলে সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেঞ্জ এবং ব্যাংক এর সাথে একসাথে বিটকয়েন ব্যবহার বন্ধ করুন! ক্রিপ্টো ক্যাশ-ইন/ক্যাশ-আউট এটিএম ব্যবহার করুন, যা আপনাকে এনোনিমিটি অফার করে। ডিসেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করুন, যারা গ্রাহকদের টাকার একটি পয়সাও ধরে না এবং শুধুমাত্র ইউজারদের একে অপরের সাথে কানেক্ট করার জন্য কাজ করে। পিয়ার-টু-পিয়ার ট্রান্সফার ব্যবহার করুন। এমন ক্রিপ্টো ওয়ালেট ব্যবহার করুন যেখানে এননিমাস এক্সচেঞ্জ এমবেড করা আছে, যা আপনাকে এক ক্রিপ্টো থেকে অন্য ক্রিপ্টোকে এক্সচেন্জ করতে দেয়। আপনার পরিচয় গোপন রাখার জন্য এবং আর্থিক গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য যেকোনো পদ্ধতি ব্যবহার করুন। এটা আপনার নিজের ভালোর জন্যই।



এই রচনাটি আমার শিক্ষামূলক আর্টিকেলের একটি অংশ। আমি আপনাদের সকলকে নিম্নলিখিত রচনাগুলি পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি:

- বিটকয়েন: সাইফারপাঙ্কসদের স্বপ্ন
- Governs are coming for traders!
- Cryptocurrency vs digital money issued by the state
- The Crypto Anarchist Manifesto - We all should read it
- শাসকরা যুগ যুগ ধরে তথ্য ও স্বাধীনতায় জনসাধ
- Phil Zimmermann's thoughts about PGP - We all should read them
- When the govern wants to hold your private keys
- The call for Julian Assange || The WikiLeaks Manifesto - We all should read it




hero member
Activity: 462
Merit: 767
Instant cryptocurrency exchange with own reserves!
লেখক: GazetaBitcoin
মেইন টপিক: 12 years later and people still don't know to use Bitcoin nor what it's good for




বিটকয়েন চালু হওয়ার ১২ বছর পার হয়ে গেছে। এখনও, বেশিরভাগ লোকের কোন ধারণা নেই যে এটা কীভাবে ব্যবহার করা উচিত, বা বিটকয়েন কেনো ভাল। ইউজারদের অধিকাংশই এর ন্যাচার গুলিয়ে ফেলে, বিটকয়েনকে ব্যাংক এবং সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেঞ্জের সাথে ব্যবহার করে, এর স্বাধীনতাবাদী এবং ক্রিপ্টো-নৈরাজ্যমূলক ভিত্তি সম্পর্কে কোন ধারনা নেই। এটা না বুঝেই যে বিটকয়েন এখানে তাদেরকে ব্যাংক এবং সরকার থেকে অধীনতা এড়াতে সাহায্য করছে, মানুষ নিজেদের দাসত্ব করার জন্য সবকিছুই করছে, ধনীদের জন্য একটি সহজ কাজ যার জন্য তারা হাজার হাজার বছর ধরে নিপীড়ন করে আসছে।

১২ বছর আগে সাতশী মাবনতার কাছে অতি মূল্যবান একটা টুল নিয়ে আসে, যেটা তাদের মুক্ত করেছিলো। চলুন দেখা যাক কিভাবে তিনি তার আবিস্কার বর্ণনা করেছেন:

Quote
ইলেকট্রনিক ক্যাশের পিউর পিয়ার-টু-পিয়ার ভার্শন যা দিয়ে কোনো ফিনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে না গিয়ে সরাসরি একজনের কাছ থেকে অন্যজনের কাছে অনলাইন পেমেন্ট পাঠানো যাবে



ইন্টারনেটে ব্যাবসায় ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্রক্রিয়া করার জন্য বিশ্বস্ত থার্ড পার্টি হিসাবে কাজ করে এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর প্রায় একচেটিয়াভাবে নির্ভর করে।  যদিও সিস্টেমটি বেশিরভাগ লেনদেনের জন্য যথেষ্ট ভাল কাজ করে, এটা এখনও বিশ্বাস-ভিত্তিক মডেলের অন্তর্নিহিত দুর্বলতাতে ভুগছে।
সম্পূর্ণভাবে নন-রিভারসিবল লেনদেন আসলে সম্ভব নয়, যেহেতু আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি মধ্যস্থতাকারী ডিসপুট এভোয়েড করতে পারে না।  মধ্যস্থতার খরচ লেনদেনের খরচ বাড়ায়, ন্যূনতম লেনদেনের আকারকে লিমিট করে এবং ছোট ক্যাজুয়াল লেনদেনের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়, এবং নন-রিভারসিবল সারভিসের জন্য নন-রিভারসিবল পেমেন্ট করার এবিলিটির ক্ষেত্রে একটি অনেক খরচ আছে।  রিভারসাল সম্ভাবনার সাথে, বিশ্বাসের প্রয়োজন ছড়িয়ে পড়ে।

[...]

যা প্রয়োজন তা হল বিশ্বাসের পরিবর্তে ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রুফ এর উপর ভিত্তি করে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম, যে কোনো দুই ইচ্ছুক পক্ষকে কোনো বিশ্বস্ত তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন ছাড়াই একে অপরের সাথে সরাসরি লেনদেন করা যায়।  যে লেনদেনগুলি কম্পিউটেশনালি রিভার্স করা অসম্ভব যা বিক্রেতাদের প্রতারণা থেকে রক্ষা করবে৷ [...]

তিনি এমন একটি পদ্ধতির প্রস্তাব করেছেন যার মাধ্যমে লোকজন সরাসরি লেনদেন করতে পারবে, পিয়ার-টু-পিয়ার, কোনো থার্ড পার্টি কে এড়িয়ে, সেটা যাই হোক না কেন - সরকার, ব্যাংক অথবা অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী।

সাতোশি বিটকয়েন আবিস্কার করেছিলেন এবং এটি বিনামূল্যে দিয়েছিলেন মানুষের আর্থিক স্বাধীনতা পেতে সাহায্য করার জন্য, কিন্তু মানুষ, বিনিময়ে, সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ বানিয়েছে, নিজেদেরকে দুঃখী দাস হিসেবে থাকতে "সহায়তা" করেছে। এটা এমন একটি জিনিস যা আমাকে অন্যান্য স্মরণীয় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা মানুষকে সাহায্য করার জন্য ছিল, কিন্তু অবিলম্বে তা আবিস্কারের পরে অন্যরা উপস্থিত হয়েছিল এবং তাদের অস্ত্র তৈরি করেছিল। দৃশ্যত, যদি মানুসের ক্ষতি করার জন্য কেউ না থাকে, তবে মানুষ নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করার জন্য বেছে নেয়।



এগুলো পড়ার পর অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন: “সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ ব্যবহার করলে সমস্যা কি? তারা আমার টাকা রাখে এবং আমার হাতে টাকা আছে এবং আমি তা দিয়ে যা খুশি করতে পারি!”।

শেষ কথাটি একটি বিরাট মিথ্যা। এটি একটি বিপরীতালঙ্কার, যার অর্থ এমন অভিব্যাক্তি যা নিজেকেই অস্বীকার করে। এটা “আমি স্বাস্থ্যকর ভাবে ধুমপান করছি” বলার মতো।

মানুষের লোভের কখনোই কোনো সীমা ছিল না। বিটকয়েন তাদেরকে স্বাধীন করার জন্য এসছিল, কিন্তু তারা শুধু বুঝতে পেরেছে যে বিটকয়েন তাদের ধনী বানাতে এসছে। লোভ মানুষকে সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ করতে বাধ্য করে। বিটকয়েন ব্যবহার করার পরিবর্তে, পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন যা ট্রেডিশনাল মানিকে রেন্ডার করবে এবং সরকারের শাসন কে অপ্রাসংগিক বানিয়ে দেবে, মানুষ এমন ঘৃন্য ভাবে এমন কিছুকে সেন্ট্রালাইজ্ড করতে চাইছে যেটা জন্ম থেকেই ডিসেন্ট্রালাইজ্ড।

কেউ কেউ অন্যদের চেয়ে স্মার্ট ছিল, কিন্তু লোভীও ছিল, এবং তারাও তাদের জ্ঞান এবং অন্যদের লোভের সদ্ব্যবহার করেছে এই সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ তৈরি করার জন্য, যেখানে মানুষ তাদের টাকা ডিপোজিট করার জন্য তাড়াহুড়ো করে - যেহেতু টাকা জমা হয়েছে, সেগুলো এক্সচেন্জ এর টাকা হয়ে গেছে। মানুষ ধনী হওয়ার আশা করে, না বুঝেই যে তারা সব রাস্তা হারাচ্ছে। পরিস্থিতি নাটকীয়, কারণ তারা শুধু টাকাই হারায় না, বরং আরও অনেক কিছু...

টাকার চেয়ে বেশি আর কি হতে পারে? তারা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য হারাচ্ছে - যে উপহার তারা জন্মের সময় পেয়েছিল তা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ছিল যতক্ষণ না সে আর ব্যক্তিগত রাখতে চায় না। এবং একবার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ হয়ে গেলে, এটা আর কখনও ব্যক্তিগত হবে না। কয়জন নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছে যে "ব্যক্তিগত মানে কি?"। লোভ তাদের অন্ধ করে দিয়েছে, প্রফিট করার এবং রাতারাতি ধনী হওয়ার আশায়, মানুষ আনন্দের সাথে সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেঞ্জের দিকে ছুটে যাচ্ছে, অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কোনো দিকেই খেয়াল করছে না। মানে তারা এক্সচেঞ্জে তাদের সমস্ত ব্যক্তিগত ডেটা অফার করেছে। কিছু এক্সচেঞ্জ সেই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বিনামূল্যে কিছু ৫-১০-২০$ পরিমাণ অফার করে। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন এক্সচেঞ্জগুলি এই টাকা বিনামূল্যে দেয়? আপনি কি নিজেকে বলছেন যে "আমাকে একজন ক্লায়েন্ট হিসাবে পেয়ে এক্সচেঞ্জগুলি সম্মানিত, সে কারণেই"? সত্যি না। এই টাকা এক্সচেঞ্জের জন্য কিছুই না, কারণ তারা ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা প্রফিট করবে। কথায় আছে যে যখন কিছু বিনামূল্যে হয়, সেখানে আপনিই পন্য, যেমন ফেসবুক। এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে, পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ: যদি আপনাকে একজন ইউজার হওয়ার জন্য টাকা দেয়া হয়, তাহলে আপনার সাথে ঘটতে পারে এমন সবচেয়ে খারাপ জিনিসটা ভাবেন!

সবচেয়ে খারাপ কি ঘটতে পারে?

প্রথমত, এক্সচেন্জ কখনোই লস করে না। হাউস সবসময় জিতে। এবং কাষ্টমার রা সবসময় লস করে। BTC এর দাম বাড়লে ইউজাররা খুশি হয়, আশা করে তারা কিছু লাভ করবে। ইউজার রা কষ্ট পায় যখন BTC ক্রাশ করে, কারণ তারাও লস করে। অনেকে তাদের বিটকয়েন বিক্রি করে যদিও তারা জানে যে তারা লস করছে, কিন্তু তারা আরও বেশি লস না করার উদ্দেশে বিক্রি করে। তারা বুঝতে পারে না যে যতক্ষণ তারা তাদের বিটকয়েন বিক্রি করছে না, ততক্ষণ তারা কিছুই লস করছে না। কিন্তু এক্সচেন্জ কি করছে? তারা লাভ করে যখন বিটকয়েন বেড়ে যায়, কারণ তারা ইউজারদের কাছ থেকে ফি ইনকাম করে। বিটকয়েনের দাম কমে গেলেও তারা লাভ করে, কারণ তারা তখন ফি পাচ্ছে। ইউজার রা যখন এক্সচেঞ্জ থেকে তাদের টাকা উত্তোলন করে, তখন তারা আরও টাকা লস করে। এখানে আমি নেটওয়ার্ক ফি সম্পর্কে কথা বলছি না, বরং এক্সচেন্জ এর ফি। অন্য কথায়, মানুষ ক্রমাগত এক্সচেন্জ এর সুবিধা এবং তাদের নিজেদের দারিদ্র্যের জন্য নিজেরাই অবদান রাখছে। এছাড়াও, আপনারা কয়জন খেয়াল করেছেন যে, কয়েনবেস বা বিনান্সের মতো বড় বড় এক্সচেঞ্জগুলি সবসময় "টেকনিক্যাল সমস্যার" সম্মুখীন হয়, যখন বিটকয়েনের দাম বেড়ে যায় বা ক্র্যাশ করে ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের প্ল্যাটফর্মগুলি বন্ধ করে দেয়? এটা কি এমন কাকতালীয় হতে পারে যে প্রতিবার মারকেট এ ক্র্যাশ বা বা আপ হলে, একটি টেকনিক্যাল সমস্যা শুধুমাত্র এক্সচেঞ্জগুলিকে বন্ধ করে দেয় যতক্ষণ না বিটকয়েনের দাম আগের যায়গায় ফিরে আসে? এক্সচেঞ্জের মুখপাত্রদের দেওয়া ব্যাখ্যা দুঃখজনক এবং হাস্যকর। এটা স্পষ্ট যে, যেহেতু এই নোংরা কাজ গুলি বছরের পর বছর ধরে করা হচ্ছে, এক্সচেঞ্জগুলি এইসব মুহুর্তে বন্ধ হয়ে যায়, এইভাবে বিটকয়েন খুব বেশি বেড়ে গেলেও মানুষ লাভবান হবে না এবং দাম কমে গেলেও বিটকয়েন কেনার জন্য নানন সিমাবদ্ধতা তৈরী করে।

দ্বিতীয়ত, আমি উপরে বলেছিলাম যে, মানুষ ইচ্ছা করে কেওয়াইসি নামক একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য হারাচ্ছে। এক্সচেঞ্জগুলি তাদের গ্রাহকদের বা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কে চিন্তা করে না। তারা শুধু আরও বেশি টাকা ইনকাম করতে চায়। এগুলি হ্যাকারদের মাধ্যমে হ্যাক হয়ে যেতে পারে যারা টাকা চুরির পাশাপাশি ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্যও চুরি করে, এটা একটা অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ, যা আরও বেশি টাকায় পরিণত হতে পারে, বিশেষ করে যখন এটা ডার্ক নেট-এ বিক্রি করা হয়। একটি CNBC এর একটা আর্টিকেলে বলা হয়েছে হ্যাকাররা কীভাবে ব্যক্তিগত তথ্য ১ ডলার প্রতি পিস বিক্রি করে (ইউজারদের প্রকৃত ঠিকানা, তাদের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, তাদের আইডির কপি ইত্যাদি তথ্য এর মধ্যে রয়েছে।): হ্যাকাররা আপনার ডেটা বিক্রি করছে 'ডার্ক ওয়েব'... মাত্র ১ ডলারে। ফোরাম এ একটি কুখ্যাত সিমিলার কেস হলো রোমানিয়ান bekli23 কেস, যিনি আসলে পুরানো BTC ওয়ালেটগুলি ডিক্রিপ্ট করার ভান করে ইউজারদেরকে তাদের আইডি এবং অন্যান্য বিল হাতে রেখে তাদের সাথে ছবি পাঠাতে বলেছিলেন। মূলত, তিনি কোনও ওয়ালেট ডিক্রিপ্ট করেননি। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত তথ্য কালেক্ট করার চেষ্টা করেছিলেন, সম্ভবত, ডার্ক নেট-এ বিক্রি করার জন্য, হাস্যকর মূল্যে ১ ডলার প্রতি পিস!

কিছু ক্ষেত্রে, এক্সচেঞ্জগুলো ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করে! এবং আমি ছোট, কুখ্যাত এক্সচেন্জ এর কথা বলছি না, বরং বড়গুলোর কথা বলছি। কয়েনবেস সবচেয়ে বড় এক্সচেঞ্জগুলির মধ্যে একটি এবং তবুও তারা ইউজারদের ব্যক্তিগত ডেটা বিক্রি করে ধরা পড়েছিল! ২০১৯ সালের একটা আর্টিকেল এ, Coinbase স্বীকার করে যে তাদের প্রাক্তন ডেটা সরবরাহকারীরা গ্রাহকদের ডেটা বিক্রি করেছে। ক্রিস্টিন স্যান্ডলার, এক্সচেঞ্জের একজন নির্বাহী বর্ণনা করে, স্বীকার করেছেন যে কীভাবে কোম্পানি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করেছে৷ এই উদাহরণ থাকার পরেও, আপনি কি মনে করেন যে অন্যান্য এক্সচেঞ্জ একই জিনিস করছে না? তারা এখনো ধরা পড়েনি বলে?

তৃতীয়ত, এক্সচেঞ্জ গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য সরাসরি অথরিটির কাছে অফার করে। আপনি কি আশা করছিলেন যে সরকার আপনার এবং আপনার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানবে না - অন্তত আপনার ক্রিপ্টো লেনদেন (এটি ভেবে যে তারা আপনার সমস্ত ফিয়াট মানির লেনদেন জানে)? সেন্ট্রারাইজ্ড এক্সচেন্জ ব্যবহার এটা নিশ্চিত যে সরকার আপনার উপর নজর রাখবে! আবার, কয়েনবেসের সাথে জড়িত একটি উদাহরণ: ফোর্বস এর একটি আর্টিকেল, কয়েনবেস গ্রাহকদেরকে জানিয়েছে যে তারা আদালতের আদেশকৃত ডেটা চালু করবে, বর্ণনা করে যে কীভাবে এই এক্সচেন্জ গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য IRS-কে দিয়েছে৷ মনে করবেন না এটা একটি মাত্র কেস ছিল। এই ধরনের প্র্যাকটিস সব এক্সচেন্জ করে, সকল দেশেই।

চতুর্থত, একটা সেন্ট্রালাইজ্ এক্সচেঞ্জ গ্রাহকদের প্রাইভেট কি অফার করে না, যার অর্থ ইউজারদের তাদের নিজস্ব টাকা নিয়ন্ত্রণ করার টুল গুলোতে অ্যাক্সেস নেই। ওয়ালেটের প্রাইভেট কি এক্সচেঞ্জের হাতে থাকে, এখানে ইউজাররা স্বীকার করে যে তারা যখন এক্সচেঞ্জে ডিপোজিট করে তখন তারা তাদের টাকার উপর মালিকানার অধিকার হারিয়ে ফেলে। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে বিটকয়েন প্রচারক আন্দ্রেয়াস আন্তোনোপুলোস বলেন "নট ইউর কী, নট ইউর বিটকয়েন"। এটাকে আরও স্পষ্ট করার জন্য, কয়েনবেসের বিরুদ্ধে একটি মামলায় (এই এক্সচেন্জটা সবচেয়ে নেতিবাচক উদাহরণ বলে মনে হয়), অভিযুক্ত ব্যক্তি বিচারে হেরেছেন এবং বিচারক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন নট ইউর কী, নট ইউর বিটকয়েন

পঞ্চমত, এক্সচেঞ্জ হ্যাকারদের দ্বারা হ্যাক হতে পারে (এবং আপনি টাকা হারাবেন)

ষষ্ঠত, এক্সচেঞ্জগুলি আপনার অ্যাকাউন্টগুলিকে ফ্রিজ করার জন্য আপত্তিজনকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে (এবং আপনি টাকা হারাবেন)

সপ্তম, এক্সচেঞ্জ স্ক্যাম করে পালাতে পারে (এবং আপনি টাকা হারাবেন)

এই কারণে আপনার সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ এড়িয়ে চলা উচিত। এই কারণেই বিটকয়েন এই ধরনের দানবদের সাথে একত্রে ব্যবহার করা উচিত না, যারা শুধু গ্রাহকদের পক্ষপাতিত্ব করে কাজ করছে! এইভাবে সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেঞ্জের গ্রাহকরা তাদের টাকা হারাবে। তারা যা কিছুই করতে চায় না কেনো। এবং এভাবেই, টাকার পাশাপাশি, তারা তাদের ব্যক্তিগত তথ্যও হারাবে, খারাপ কেউ এগুলো চুরির ঝুকি নিচ্ছে, যা তাদের বিশাল ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়: ক্রিমিনালরা একবার কারও ব্যক্তিগত তথ্য পেয়ে গেলে, তারা তাকে ”ভিজিট” করতে পারে। তাকে ছিনতাই করতে পারে, তারা তার বাড়িতে ভাঙচুর করতে পারে, তারা তার মালামাল চুরি করতে পারে এমনকি তারা তার জীবনের হুমকিও দিতে পারে!


hero member
Activity: 462
Merit: 767
Instant cryptocurrency exchange with own reserves!


সাতোশী, সর্বশেষ (?) সাইফারপাঙ্ক

দ্যা টাইমস, ৩ জানুয়ারী, ২০০৯, লন্ডন ইস্যু, সকালের ইডিশন || ছবির সোর্স: TheTimes03Jan2009.com

"প্রচলিত মুদ্রার মূল সমস্যা হল এটিকে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজন বিশ্বাস।  কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে অবশ্যই বিশ্বস্ত হতে হবে যাতে মুদ্রার অবমাননা না হয়, তবে ফিয়াট মুদ্রার ইতিহাস সেই বিশ্বাসের নষ্ট করায় পরিপূর্ণ।  আমাদের টাকা রাখার জন্য ব্যাংকগুলিকে বিশ্বস্ত হতে হবে এবং ইলেকট্রনিকভাবে তা স্থানান্তর করার জন্য, কিন্তু তারা তা রিজার্ভের সামান্য অংশের সাথে ক্রেডিট বাবল ওয়েভ করে লোন দেয়। আমাদের প্রাইভেসি দিয়ে তাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে, তাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে যে আইডেন্টিটি চোরেরা আমাদের একাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলবে না" -- সাতোশী নাকামতো

রা জানুয়ারী, ২০০৯-এর সকালে সাতোশি নাকামোতোর ছবি। তিনি নীচের কিয়স্ক থেকে দ্য টাইমস পত্রিকাটি কিনেছিলেন। তার বাড়িতে ফিরে, তিনি একটি গরম কফি পান করছেন এবং মূল শিরোনাম পড়ছেন: "চ্যান্সেলর অন ব্রিঙ্ক অফ সেকেন্ড বেলআউট ফর ব্যাংকস"। তখনও জেনেসিস ব্লক খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষায়। তার কি চিন্তা থাকতে পারে? হয়তো তিনি নিজের জন্য ফিসফিস করে বলেছিলেন "এটা এখন অতিরিক্ত হচ্ছে! সরকার যে কোনও সম্ভাব্য সীমা অতিক্রম করেছে! কিন্তু বিটকয়েন এখন এখানে..."।

কেউ জানে না সেদিন তিনি কি ভাবছিলেন। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে ৩রা জানুয়ারী, ২০০৯-এ, বিটকয়েনের জেনেসিস ব্লক মাইনিং করা হয়েছিল। এবং টাইমস থেকে মূল আর্টিকেলের শিরোনাম দিয়ে স্ট্যাম্প করা হয়েছিল।

বিটকয়েনের কাজ প্রায় ২ বছর আগে, ২০০৭ সালে শুরু হয়েছিল। সাতোশি, যিনি সাইফারপাঙ্কস মেইলিং তালিকাতেও যোগ দিয়েছে, ই-গোল্ড এবং এর মালিকদের সাথে যা ঘটেছে তা অবশ্যই তাকে সহায়তা করেছে। রাষ্ট্র তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ছিল প্রাইভেট মানির ব্যাপারে। অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট খারাপ ছিল, কারণ বিশ্ব একটি বিশাল সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল। হতে পারে বিটকয়েন সাতোশির ব্যক্তিগত স্বপ্ন ছিল। অথবা হয়তো বিশ্ব প্রেক্ষাপট তাকে তার আবিস্কারে কাজ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করেছে। সত্য যাই হোক না কেন, সত্য হল যে তিনি সাইফারপাঙ্কসের এই স্বপ্ন অনুসরণ করেছিলেন, এ স্বপ্ন স্বাধীনতাবাদী পূর্বসূরিরা ভাগ করেছিলো।

একটি স্বাধীনতাবাদী এবং ক্রিপ্টো-অরাজক মতাদর্শের উপর ভিত্তি করে, তার পূর্বসূরিদের ধারণা অনুসরণ করে, সাতোশি নাকামোতো "একটি নতুন ইলেকট্রনিক ক্যাশ ব্যবস্থা তৈরি করেন যা সম্পূর্ণরূপে পিয়ার-টু-পিয়ার, কোন বিশ্বস্ত থার্ড পার্টি ছাড়াই"। এই সিস্টেমটি "অনলাইন পেমেন্ট কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যাওয়ার ঝামেলা ছাড়াই সরাসরি একজনের কাছ থেকে অন্যজনের কাছে পাঠানোর একসেস দেবে৷ ডিজিটাল সিগনেচার সমাধানের অংশ প্রদান করে, তবে মূল সুবিধাগুলি হারিয়ে যায় যদি একটি বিশ্বস্ত পক্ষের ডাবল-স্পেন্ডিং রোধ করার জন্য প্রয়োজন হয়।"

অন্য কথায়, বিটকয়েন ছিল প্রাইভেট মানির প্রথম ইলেট্রনিক রূপ, যা অবশেষে মানুষকে সরকারী নজরদারি থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল, কারণ টাকা সরাসরি ব্যক্তির মধ্যে স্থানান্তর করা যেতে পারে, কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই - যেমন ব্যাংকগুলো, যারা সরকারের লম্বা হাত হিসাবে কাজ করে।

বিটকয়েন জেনেসিস ব্লক || ছবি সোর্স: রেডিট

সাতোশির স্বাধীনতাবাদ তার অনেক কথায় বিদ্যমান।

“প্রথাগত ব্যাংকিং সিস্টেম গ্রাহকের এবং তৃতীয় পক্ষের তথ্যের অ্যাক্সেস সীমিত করে প্রাইভেসির একটি স্তর অর্জন করে থাকে। সমস্ত লেনদেন ঘোষণা করার প্রয়োজনীয়তা এই পদ্ধতিকে বাদ দেয়, তবে পাবলিক কীগুলি এননিমাস রেখে প্রাইভেসি এখনো অন্য জায়গায় তথ্যের প্রবাহকে ভেঙে দিয়ে বজায় রাখা যেতে পারে। জনসাধারণ দেখতে পারে যে কেউ অন্য কাউকে একটি পরিমাণ পাঠাচ্ছে, কিন্তু তথ্য ছাড়াই লেনদেনটি কারও সাথে লিঙ্ক করছে। এটা স্টক এক্সচেঞ্জ এর প্রকাশিত তথ্যের স্তরের মতো, যেখানে পৃথক ট্রেডের সময় এবং আকার, 'টেপ', পাবলিক করা হয়, তবে পার্টিগুলো কে ছিল বলা হয় না।"

এই বিষয়ে আরেকটি ভাল উদাহরণ দ্য ভার্জ থেকে ২০১৫ সালের একটি আর্টিকেলে দেওয়া হয়েছে, যা মার্টি মালমির সাথে তার প্রথম আলোচনাকে তুলে ধরা হয়, যিনি পরে BitcoinTalk-এর এডমিনিষ্ট্রেটর হবে। মার্টিও নৈরাজ্যবাদী মতামতের একজন ব্যক্তি ছিলেন, কারণ তিনি রাষ্ট্রবিরোধী anti-state.org ফোরামের সদস্য ছিলেন। আর্টিকেলে ছিলো:

"সাতোশি নাকামোতোকে তার প্রথম ইমেইলে, ২০০৯ সালের মে মাসে, মার্টি তার সার্ভিসগুলো অফার করেছিলেন: তিনি লিখেছেন "আমি বিটকয়েনের সাথে সাহায্য করতে চাই, যদি আমি কিছু করতে পারি,"।

সাতোশির সাথে যোগাযোগের আগে, মার্টি বিটকয়েন সম্পর্কে anti-state.org-এ লিখেছিলেন, একটি ডেডিকেটেড ফোরাম যা নৈরাজ্যবাদী সমাজের সম্ভাবনার জন্য শুধুমাত্র মারকেট অরগানাইজ করেছে। স্ক্রিন নাম ট্রিকস্টার ব্যবহার করে, মার্টি বিটকয়েন ধারণার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছেন এবং চিন্তা করার জন্য বলেছেন: "এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন? আমি বাস্তবিক কিছুর চিন্তাভাবনা নিয়ে সত্যিই উত্তেজিত যেটা সত্যিই আমাদের জীবনে স্বাধীনতার কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। :-)"

মার্টি সাতোশিকে তার প্রথম ইমেইলে এই পোস্টের একটি লিঙ্ক পাঠিয়েচিলো এবং সাতোশি দ্রুত সেটা পড়ে এবং রেসপন্স করে।

"বিটকয়েন সম্পর্কে আপনার আন্ডারস্টান্ডিং রয়েছে," সাতোশি ফিরতি লিখেছিলেন।"

সাতোশির উত্তর তার ভিশন সম্পর্কে একদম স্পষ্ট। এবং তার দেয়া শিক্ষা কখনই ভুলে যাওয়া উচিত নয়।

তার সম্পর্কেও একই কথা সত্য যখন আমরা সাইফারপাঙ্কের ইন্টারেষ্টের বিষয়গুলি শেয়ার করার কথা বলি - তিনি বিটকয়েনের দেওয়া প্রাইভেসি মানুষকে বিনামূল্যে অ্যাক্সেস দিয়েছেন। তার প্রোটোকল ব্যাবহার করে বিনামূল্যে এবং সহজভাবে ক্রিপ্টোগ্রাফিক কীগুলির অ্যাক্সেস করা যায়। বিটকয়েন ফ্রি মারকেট কে পুরোপুরি পরিবর্তন করার কথা ছিল (এবং সেটা সফল হয়েছে)। শেষ পর্যন্ত, এটা একটা নাগরিক অবাধ্যতা ছিল। সরকারি টাকার যায়গায় নিয়ে নেওয়ার একটি পদ্ধতি - ট্রেসেবল মানি, ইনফ্লাটেড মানি, টাকা যা দিনে দিনে তার মূল্য কমে, কারণ সরকারি প্রিন্টাররা অবিরত নতুন টাকা বানাচ্ছে।

তিনি মানুষকে আবার মুক্ত হতে সাহায্য করতে চেয়েছেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে বিটকয়েনের মাধ্যমে। কোনো ব্যাংক বা কোনো সরকার কমবেশি অত্যাধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণকে তাদের টাকা থেকে আর "দুধ" দোয়াতে পারবে না, যেমন তাদের টাকা ট্রান্সফার করার জন্য টেক্স, তাদের মালামাল বিক্রির জন্য টেক্স, তাদের কর্মক্ষমতা বিক্রি করার জন্য টেক্স। বিটকয়েন যে কারো জন্য ফ্রি এবং স্বাধীনতা এর মধ্যেই আছে; আপনি যদি আপনার গোপনীয়তার এবং টাকার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে চান তবে আপনাকে যা করতে হবে তা হল বিটকয়েনকে গ্রহন করতে হবে।

বিটকয়েন বহু বছর ধরে, একাধিক অকেশনে, টিম মে পূর্বাভাস দিয়েচিলেন। উদাহরণস্বরূপ, তার ১৯৯৪ আর্টিকেলে ক্রিপ্টো নৈরাজ্য এবং ভার্চুয়াল কমিউনিটিতে তিনি বলেছিলেন "প্রযুক্তি জিনকে বোতল থেকে বের করে দিয়েছে৷ ক্রিপ্টো নৈরাজ্য মানুষের তাদের ফিজিক্যাল প্রতিবেশীদের এবং সরকারের জুলুম থেকে মুক্ত করছে—যারা জানে না তারা ইন্টারনেট-এ তারা কে। স্বাধীনতাবাদীদের জন্য, শক্তিশালী ক্রিপ্টো এমন উপায় দিয়েছে যার মাধ্যমে সরকারকে এভয়েড করা হবে"।

বিটকয়েন সত্য এবং এটােএখানে থাকবে। আকাশ ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে ১৯৭৯ সাল থেকে এবং তখন থেকে ক্রমাগত ভেঙ্গে পড়ছে। সরকার যুদ্ধে হেরে গেছে। স্বাধীনতা এখন আমাদের হাতে



এটা আমার ১০০০তম পোষ্ট।

এবং এটি সাইফারপাঙ্কস, ইতিহাস এবং ক্রিপ্টো-নৈরাজ্য সম্পর্কিত আমার আগের লেখার একটি সিক্যুয়াল। সাইফারপাঙ্কের উদ্দীপনা আমাদের অনেকের মধ্যেই বেঁচে আছে। এটাকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদের কর্তব্য। স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া আমাদের কর্তব্য!

রেফারেন্স:
- 12 years later and people still don't know to use Bitcoin nor what it's good for
- Governs are coming for traders!
- Cryptocurrency vs digital money issued by the state
- The Crypto Anarchist Manifesto - We all should read it
- শাসকরা যুগ যুগ ধরে তথ্য ও স্বাধীনতায় জনসাধারণের এক্সেস লিমিট করতে চাইছে
- Phil Zimmermann's thoughts about PGP - We all should read them
- When the govern wants to hold your private keys
- The call for Julian Assange || The WikiLeaks Manifesto - We all should read it



hero member
Activity: 462
Merit: 767
Instant cryptocurrency exchange with own reserves!
"সাইফারপাঙ্কস কোড লেখে", এরিক হিউজের "এ সাইফারপাঙ্কস ম্যানিফেস্টো" এ জোর দিয়ে লেখেন, আরেকটি বিশেষ লেখা যা ইতিহাসের একটি অংশকে উপস্থাপন করে। এবং কোডের মাধ্যমে, তারা মানুষের প্রাইভেসি দিতে চেয়েছিল। তারা চেয়েছিল ক্রিপ্টোগ্রাফিতে জনসাধারণের অবাধ অ্যাক্সেস থাকুক। আগ্রহের অন্যান্য বিষয় ছিল অনলাইন এনোনিমিটি, গেম থিওরি, নিরাপদ ফাইল শেয়ারিং, রেপুটেশন সিস্টেম, ফ্রি মারকেট এবং নাগরিক অবাধ্যতা। স্টিভেন লেভি, উপরে উল্লেখ ওয়্যার্ড আর্টিকেলের লেখক, তাদের একটি বিদেশী ভাষায় অনুবাদ করা অসম্ভব একটি শব্দ দিয়ে বলেছেন: "টেকি-কাম-সিভিল লিবার্টারিয়ানস"।

সাইফারপাঙ্কদের আরেকটি বড় ইচ্ছা ছিল ইলেকট্রনিক ক্যাশ তৈরি করা। এক প্রকার আনট্রেসবল টাকা যা মানুষের আর্থিক জীবনের উপর সরকারি নজরদারি বন্ধ করতে পারে।

সময়ের সাথে সাথে, এই মতাদর্শ ভাগ করে নেওয়া অনেক উদ্যমী ব্যাক্তি এই কমিউনিটিকে মেনে চলে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে, আমরা পিজিপির উদ্ভাবক ফিলিপ জিমারম্যান, উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, টর এর ডেভেলপার ডেভেলপার জ্যাকব অ্যাপেলবাম, এবং হাল ফিনি, পিজিপি 2.0 এর ডেভেলপার এবং রিইউজেবল প্রুফ-অফ-ওয়ার্কের কথা উল্লেখ করতে পারি। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সাইফারপাঙ্কগুলু এখানে পাওয়া যাবে।

ডিজিক্যাশ
এই ক্রিপ্টোগ্রাফারদের মধ্যে কিছু তাদের এই স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করেছিল: ইলেকট্রনিক ক্যাশ। এবং তাদের একজন আদর্শ ছিল: ডঃ ডেভিড চাউমের ডিজিক্যাশ। ডেভিড চাউমের কাজ সাইফারপাঙ্কস কমিউনিটির জন্য একটি অনুপ্রেরণার প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাকে সাইফারপাঙ্কসের দাদা বলা যেতে পারে। তার লেখাগুলি (যেমন "আনট্রেস যোগ্য ইলেকট্রনিক মেইল, রিটার্ন অ্যাড্রেসেস এবং ডিজিটাল ছদ্মনাম", "আনট্রেসযোগ্য পেমেন্ট এর জন্য ব্লাইন্ড সিগনেচার" বা "বিগ ব্রাদার অবসোলেট করার জন্য আইডেন্টিফিকেশন কার্ড কম্পিউটার ছাড়া নিরাপত্তা") প্রমাণ করে যে তিনি তার সময়ের চেয়ে এগিয়ে চিন্তা করছেন। ১৯৮৯ সালে তিনি ইতিমধ্যেই ইলেকট্রনিক মানি কোম্পানি ডিজিক্যাশ ইনকর্পোরেটেড চালু করে ফেলেছিলেন। কোম্পানিটি জনসাধারণের কাছে ইক্যাশ পেমেন্ট সিস্টেম এবং সাইবারবাক্স কয়েন অফার করেছিল, যা ব্লাইন্ড সিগনেচার বেইস্ড ছিল। প্রস্তাবটি প্রকৃতপক্ষে বাস্তব বিশ্বের পেমেন্ট এ প্রয়োগ করা হয়েছিল, যা সেন্ট লুইস, ডয়েচে ব্যাংক, ক্রেডিট সুইস, নর্স্ক ব্যাংক এবং ব্যাংক অস্ট্রিয়ার মার্ক টোয়েন ব্যাংকের মতো বেশ কয়েকটি ব্যাংক একসেপ্ট করেছিলো। অন্যান্য বড় প্লেয়াররা চাউমের সৃষ্টিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে: ভিসা, নেটস্কেপ, এবিএন আমরো ব্যাংক, সিটিব্যাঙ্ক এবং আইএনজি ব্যাংক। এমনকি বিল গেটস Windows '95 এ ডিজিক্যাশ এম্বেড করার চেষ্টা করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত, এই সর্বশেষ উল্লিখিত প্লেয়াররা কখনই চাউমের সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি। শেষ পর্যন্ত, ১৯৯৮ সালে, ডিজিক্যাশ ইনস. দেউলিয়া হয়ে যায়। মানুষ সিস্টেম ব্যবহার করার জন্য আকৃষ্ট ছিল না। চাউমের প্রস্তাবও তার সময়ের চেয়ে এগিয়ে ছিল।

সাইফারপাঙ্কস আরও ভেবেছিল যে ডিজিক্যাশ ইনক এর ব্যর্থতার কারন নির্ধারিত হয়েছিল যে এটি একটি সেন্ট্রাল অথরিটি পরিচালনা করে। সাফল্যের চাবিকাঠি ছিল টাকার সম্পূর্ণ ডিসেন্টালাইজ্ড রূপ।

ই-গোল্ড
গোল্ড অ্যান্ড সিলভার রিজার্ভ ইনকর্পোরেটেড কোম্পানি ১৯৯৬-২০০৯-এর মধ্যে একই ধরনের ব্যবসা গড়ে তুলেছিল। এই কোম্পানিটি ই-গোল্ড লিমিটেড নামে একটি সাবসিডিয়ারি চালু করেছিল ইলেকট্রনিক গোল্ড পরিচালনার জন্য। ব্যবহারকারীরা গ্রাম বা ট্রয় আউন্স ইউনিটে তাদের মধ্যে দূরবর্তীভাবে স্বর্ণ স্থানান্তর করতে পারতো। প্রায় ৫ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর শীর্ষে থাকা ব্যবসাটি উন্নতি লাভ করছিল। অনেক এক্সচেঞ্জ এই ইলেকট্রনিক স্বর্ণ গ্রহণ করেছে এবং ইউজার রা তাদের ফোনের মাধ্যমেও এটা ট্রান্সপার করতে পারে। যাইহোক, ২০০৭ সালে মালিকদের লাইসেন্স ছাড়াই অর্থ পরিচালনার জন্য মার্কিন সরকার অভিযুক্ত করেছিল। মালিকরা দোষ স্বীকার করেছে এবং তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে (২০০৮ সালে); লেনদেন বন্ধ ছিল। তারা সহজ শাস্তি পেয়েছে স্বীকার করার জন্য যে তারা আইন ভঙ্গ করেছে এবং তাদের একটি মানি অপারেটিং লাইসেন্স প্রয়োজন। যাইহোক, মার্কিন আইন অনুসারে, তারা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের এই ধরনের লাইসেন্স পাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং ই-গোল্ডের অস্তিত্ব বন্ধ হয়ে গেছে।

হ্যাশক্যাশ

ছবি সোর্স: সাইফারপাঙ্কস মেইলিং লিস্ট

১৯৯৭ সালে, ডাঃ অ্যাডাম ব্যাক হ্যাশক্যাশ নামে মেইলিং তালিকায় একটি প্রস্তাব নিয়ে আসেন। এটি একটি যুগ ছিল যখন ইন্টারনেট স্প্যাম (বিশেষ করে ইমেল স্প্যাম) একটি গুরুতর সমস্যা হতে শুরু করেছিল। সমস্যাটি বড় কোম্পানির রাডারে এসেছিল, ১৯৯২ সালে IBM প্রথম স্টেপ গ্রহন করেছিলো একটা প্রস্তাবের মাধমে যেটার নাম প্রাইসিং ভায়া প্রসেসিং অথবা কমবাটিং জাংক মেইল । আইবিএম গবেষকদের প্রস্তাবের নাম ভবিষ্যতে কোথাও প্রুফ-অফ-ওয়ার্ক হিসেবে রাখা হবে।

অ্যাডাম ব্যাক এর আবিস্কার আইবিএম প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে ছিল না; যাইহোক, এটার মধ্যে অনেক জিনিস কমন ছিলো। হ্যাশক্যাশ এর কনসেপ্ট টি প্রতিটি ইমেইলে খরচের উপর ভিত্তি করে যা ইমে্ইল স্প্যাম এবং DDos আক্রমণগুলিকে সীমিত করার জন্য একটি প্রুফ-অফ-ওয়ার্ক পদ্ধতি তৈরী করে যা শেষ পর্যন্ত স্প্যামটিকে ব্যবহার করার জন্য খুব ব্যয়বহুল করে তুলবে। পরবর্তীতে, হ্যাশক্যাশ বিটকয়েনের ইঞ্জিনের একটি অংশ হয়ে উঠবে, এটি বিটকয়েনের হোয়াইট পেপারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও, অ্যাডাম ব্যাক তাদের ইলেকট্রনিক মানি প্রস্তাবের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়ার পর, সাতোশি নাকামোতোকে ওয়েই দাইকেে উপদেশ করার জন্য পরিচিত। বিটকয়েনের ব্যাপারে সাতোশির সাথে ব্যক্তিগতভাবে মাত্র দু'জন ব্যক্তি যোগাযোগ করেছিলেন: প্রথমজন হলেন অ্যাডাম ব্যাক; দ্বিতীয়টি হল ওয়েই দাই।

বি-মানি

ওয়েই দাই এর রেয়ার ছবি, যেটা হয়তো (অথবা না) তার ছবি; WeiDai.com এর ষ্টেটমেন্ট অনুযায়ী, "দয়া করে নোট করবেন এটা লেখা অব্দি, ইন্টারনেটে আমার যে কোনো কথিত ছবি আসলে ওয়েই ডাই নামে অন্য লোকজনের" || ছবির সোর্স: steemit.com

১৯৯৮ সালে, আরেকটি উল্লেখযোগ্য সাইফারপাঙ্ক একটি ইলেকট্রনিক মানির প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল: ওয়েই দাই বি-মানি চালু করেছিল। খসড়াটিও প্রুফ-অফ-ওয়ার্কের উপর ভিত্তি করে এবং এটি দুটি সংস্করণে উপস্থাপিত করা হয়েচিল। দুর্ভাগ্যবশত, বি-মানি সিবিল আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং ওয়েই দাই তার কাজ শেষ করেনি। প্রস্তাবটি কখনই বাস্তবায়িত হয়নি।

এবং তিনি কখনই তার উদ্ভাবন শেষ করেননি কারণ তিনি আর বি-মানির উপযোগিতা বা ক্রিপ্টো-নৈরাজ্যের মতাদর্শকে বিশ্বাস করেন নি। LessWrong ফোরামে পরবর্তী আলোচনায়, তিনি স্বীকার করেছেন: "আমি বি-মানি কোড আপ করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নিইনি। এর একটি অংশ ছিল কারণ বি-মানি তখনও সম্পূর্ণ ব্যবহারিক নকশা ছিল না, কিন্তু আমি ডিজাইনের কাজ করা চালিয়ে যাইনি কারণ আমি বি-মানি লেখা শেষ করার সময় ক্রিপ্টোঅ্যানার্কিতে কিছুটা মোহগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম, এবং আমি আন্দাজ করিনি যে এটির মতো একটি সিস্টেম, একবার বাস্তবায়িত হলে, এত মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে এবং হার্ডকোর সাইফারপাঙ্কগুলির একটি ছোট গ্রুপের বাইরে ব্যবহার করতে পারে"। তিনি অ্যাডাম ব্যাক এবং অন্য সাইফারপাঙ্কদের কাছে পাঠানো একটি আলোচনায় এই অভিযোগটি দ্বিগুণ হয়েছিল, প্রমাণ করে যে তিনি বি-মানির ব্যবহারিক প্রয়োগে বিশ্বাস করেন না: "আমি মনে করি বি-মানি সর্বাধিক একটি বিশেষ মুদ্রা/চুক্তি প্রয়োগের ব্যবস্থা হবে, যারা সরকারী স্পনসরকৃতদের ব্যবহার করতে চায় না বা করতে পারে না তাদের সেবা করবে"।

যাইহোক, যদিও ওয়েই দাই তার আবিষ্কারকে খুব বেশি বিশ্বাস করেননি, অন্য কেউ করেছিলেন। এক দশক পরে, অ্যাডাম ব্যাকের পরামর্শ অনুসরণ করে, সাতোশি নাকামোতো বিটকয়েন নামে তার ইলেকট্রনিক ক্যাশ প্রস্তাবটি দেখার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করেন। তারা তিনটি ইমে্ইল বিনিময় করেছে। প্রথমটিতে, ২২শে আগস্ট, ২০০৮, সাতোশি লিখেছেন:

"আমি আপনার বি-মানি পেজটি পড়তে খুব আগ্রহী ছিলাম।  আমি একটি পেপার প্রকাশ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি যা আপনার ধারণাগুলিকে একটি সম্পূর্ণ কাজের সিস্টেমে প্রসারিত করবে।  অ্যাডাম ব্যাক (hashcash.org) মিলগুলি লক্ষ্য করেছে এবং আমাকে আপনার সাইট দেখিয়েছে।

আমার পেপারে উদ্ধৃতির জন্য আপনার বি-মানি পেপার প্রকাশনার বছরটি আমাকে খুঁজে বের করতে হবে।  এটা দেখতে হবে:
[১] W. Dai, "বি-মানি," http://www.weidai.com/bmoney.txt, (২০০৬?)।

আপনি http://www.upload.ae/file/6157/ecash-pdf.html থেকে একটি প্রি-রিলিজ ড্রাফ্ট ডাউনলোড করতে পারেন৷  আপনি আগ্রহী বলে মনে করেন এমন অন্য কাউকে এটি ফরোয়ার্ড করতে পারেন নির্দ্বিধায়।"

ওয়েই দাই এই ইমেলের উত্তর দিয়েছেন। সে লিখেছিলো:

"হাই সাতোশি। ১৯৯৮ সালে সাইফারপাঙ্কস মেইলিং লিস্টে বি-মানি ঘোষণা করা হয়েছিল। এখানে আর্কাইভ করা পোস্ট: http://cypherpunks.venona.com/date/1998/11/msg00941.html

http://cypherpunks.venona.com/date/1998/12/msg00194.html এ এটির কিছু আলোচনা রয়েছে।

আপনার পেপার সম্পর্কে আমাকে জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আমি এটা দেখবো এবং আমার কোন মন্তব্য বা প্রশ্ন থাকলে আপনাকে জানাব।"

কিন্তু ওয়েই দাই সাতোশির খসড়া বিশ্লেষণ করেননি বা তিনি সাতোশির কাছে কোনো রেসপন্স নিয়ে ফিরে আসেননি। তিনি ১০শে জানুয়ারী, ২০০৯-এ সাতোশির কাছ থেকে আরেকটি ইমেইল পেয়েছিলেন, তাকে জানিয়েছিলেন যে বিটকয়েন পুরোপুরি কাজ করছে:

"আমি আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম, আমি কয়েক মাস আগে আপনাকে যে কাগজটি পাঠিয়েছিলাম তার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন প্রকাশ করেছি, বিটকয়েন v0.1।  বিস্তারিত, ডাউনলোড এবং স্ক্রিনশটগুলি www.bitcoin.org এ রয়েছে

আমি মনে করি এটি আপনার বি-মানি পেপারে সমাধান করার জন্য সেট করা প্রায় সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করেছে।

সিস্টেমটি সম্পূর্ন ডিসেন্ট্রালাইজড, কোনো প্রকার সার্ভার অথবা বিশ্বস্ত পার্টি ছাড়াই।  নেটওয়ার্ক অবকাঠামো এসক্রো লেনদেন এবং চুক্তির সম্পূর্ণ পরিসরকে সাপোর্ট করতে পারে, তবে আপাতত টাকা এবং লেনদেনের মূল বিষয়গুলির উপর ফোকাস করা হচ্ছে।"

ওয়েই দাই সাতোশির সাথে যোগাযোগ রাখেননি যার কারণ শুধু তিনিই জানতেন। হতে পারে তিনি বিটকয়েনের পোটেনশিয়ালের উপর আস্থা রাখেননি বা হয়ত তিনি একটি স্থিতিশীল মান ছাড়া একটি মুদ্রার সাথে একমত না। এটা নিশ্চিত যে কয়েক বছর পরে তিনি তার কাজের জন্য অনুশোচনা করেছিলেন:

"আমি বিটকয়েনকে তার আর্থিক নীতির ক্ষেত্রে ব্যর্থ বলে বিবেচনা করব (কারণ এটা উচ্চ দামের ভলাটিলিটি তৈরী করে যা এর ইউজারদের উপর একটি বড় খরচ চাপিয়ে দেয়, যাদের হয়তো অবাঞ্ছিত ঝুঁকি নিতে হয় বা মুদ্রা ব্যবহার করার জন্য ব্যয়বহুল হেজিং করতে হয়) (এটি আংশিকভাবে আমার দোষ হতে পারে কারণ যখন সাতোশি আমাকে তার খসড়া পেপারে মন্তব্য জানতে চেয়েছিল, আমি কখনই তাকে উত্তর দেইনি। অন্যথায় সম্ভবত আমি তাকে (বা তাদের) "অর্থের নির্দিষ্ট সরবরাহ" ধারণা থেকে নিরুৎসাহিত করতে পারতাম। )"

যদিও সেই সময়ে না জেনেও, ওয়েই দাই বিটকয়েন চালু করার আগে ব্যক্তিগতভাবে সাতোশি নাকামোতোর সাথে যোগাযোগ করা দুজন ব্যক্তির একজন হিসাবে ইতিহাসে রয়ে গেছে।

বিট গোল্ড
আরেকজন বিশিষ্ট সাইফারপাঙ্ক যিনি ইলেকট্রনিক মানির একটি ব্যক্তিগত ফর্মের জন্য একটি সমাধানের চেষ্টা করেছিল তিনি হলেন নিক সাজাবো। তিনি এই ধারণার সাথে পরিচিত ছিলেন, তিনি অতীতে ডিজিক্যাশে ডাঃ চাউমের সাথে কাজ করেছিলেন। ২০০৫ সালে, তিনি বিট গোল্ড নামে একটি প্রপোজাল নিয়ে জনসমক্ষে আসেন। কিন্তু তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে প্রস্তাবটি তৈরি করেছিলেন। হোয়ইট পেপার অনুযায়ী, তার আবিস্কারের জন্য "বেঞ্চমার্ক ফাংশন, পাশাপাশি ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং প্রতিলিপির কৌশলগুলি ব্যবহার করার কথা ছিল, একটি অভিনব আর্থিক ব্যবস্থা, বিট গোল্ড, যা শুধুমাত্র অর্থপ্রদান হিসাবে কাজ করে না, বরং আরো বিশ্বস্ত কর্তৃপক্ষের থেকে স্বাধীন মূল্যের দীর্ঘমেয়াদী স্টোর হিসেবেও কাজ করে।" এই প্রপোজাল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত সাজাবো এর ব্লগে পাওয়া যাবে।

বিট গোল্ড পুনঃব্যবহারযোগ্য প্রুফ-অফ-ওয়ার্ক ব্যবহার করছিল কিন্তু এটাও বি-মানির মতো সিবিল আক্রমণের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কনসেপ্টটি কখনই একটি বাস্তব অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে চালু হয়নি এবং এটা একটি ব্লগ পোস্ট হিসাবে ইতিহাসে রয়ে গেছে, কারণ এটা বাস্তব পরিবেশে কাজ করার জন্য অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল। যাইহোক, বিট গোল্ডের পিছনের মূল ধারণাগুলি সাতোশিকে তার মাস্টারপিস - বিটকয়েনের জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত করেছিল।
hero member
Activity: 462
Merit: 767
Instant cryptocurrency exchange with own reserves!
লেখক: GazetaBitcoin
মেইন টপিক: Bitcoin: The dream of Cypherpunks, libertarians and crypto-anarchists




ছবিটি রোমানরা টেক্স পে করার উদাহারন|| ছবি সোর্স: historyhit.com

শাসকরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের উপর অত্যাচার করে আসছে। ২০০০ বছর আগে রোমান সাম্রাজ্যের সময় এই ধরনের নিপীড়নের প্রথম উত্থ্যান হয়েছিল। সেই সময় চলে গেছে, কিন্তু এই অভ্যাস রয়ে গেছে। পদ্ধতি গুলো বিভিন্ন রকম, প্রত্যক্ষ কর, পরোক্ষ কর, মুদ্রাস্ফীতি, তথ্য একসেস এ সেন্সরিং, ​​অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা, দাসত্ব, অন্যায্য বিচার, ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ এবং সৎ লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার। যাইহোক, এগুলি সবই একটি লক্ষ করে: ক্ষমতা ধনীদের হাতে থাকতে হবে, অন্যদিকে গরীবদের ধনীদের সুবিধার জন্য কাজ করতে হবে। মানুষ পাল্টা লড়াই করেছিল, তবে বেশিরভাগ সময় খালি হাতে ফেরতে এসেছিল। প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা এই মহাকাব্যিক যুদ্ধটি Murray Rothbard "স্বাধীনতা এবং ক্ষমতার মধ্যে চিরন্তন যুদ্ধ" হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জনের একটি উপায় ছিল ব্যক্তিগত অর্থের মাধ্যমে, কিন্তু শাসকরা এই ধরনের প্রতিযোগিতার সাথে একমত নয়। এবং রোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকেই মুদ্রা তৈরির উপর শাসকদের একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে। যাইহোক, ব্যক্তিগত অর্থের জন্য মানুষের আকাঙ্ক্ষা কয়েক শতাব্দী আগে শুরু হয়েছিল এবং ইতিহাস আমাদের বলে যে অনেক সময়ে ব্যক্তিগত অর্থ বিভিন্ন আকারে বিদ্যমান ছিল।

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং দার্শনিক ফ্রেডরিখ অগাস্ট ফন হায়েক, ১৯৭৪ সালে অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী, তার মাস্টারপিস টাকার অব্যক্তকরণ: দ্য আর্গুমেন্ট রিফাইন্ড-এ একটি বৈধ বিতর্ক উত্থাপন করেছিলেন: "[...] ভেবে পাই না মানুষকে কেন এতদিন ধরে সরকারগুলো দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে একচেটিয়া ক্ষমতা প্রয়োগ করে যা তাদের শোষণ ও প্রতারণার জন্য নিয়মিত ব্যবহার করা হতো।" আরেকজন প্রতীকী ব্যক্তিত্ব যিনি ব্যক্তিগত টাকার প্রয়োজন বজায় রেখেছিল তিনি হলেন মারে রথবার্ড।

১৭০০ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ব্যক্তিগত মুদ্রা প্রচারিত হয়েছিল। মার্কিন ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তিগত মুদ্রা হল হিগলি কপার মুদ্রা, যা হিগলি পরিবারের দ্বারা ১৭৩৭ সালে তৈরি করা হয়েছিল। সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় হল বেচটলার স্বর্ণমুদ্রা (প্রথম ১৮৩১ সালে জারি করা হয়েছিল), যা রাষ্ট্র কর্তৃক জারি করা মুদ্রার চেয়ে বেশি বিশুদ্ধতার জন্য পরিচিত। সান ফ্রান্সিসকো কোম্পানি মোফ্যাট অ্যান্ড কোও সোনার ভিড়ের সময় ইতিহাসের একটি পৃষ্ঠা লিখেছিল, তার টাকশাল মুদ্রা দিয়ে। সবচেয়ে কাঙ্খিত মুদ্রাগুলির মধ্যে একটি ছিল ব্রাশার ডবলুন, যা ১৭৮৭ সালে ইফ্রাইম ব্রাশার দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। উল্লেখ করার মতো অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত টাকশাল মুদ্রা: মর্গান ডলার, সেন্ট-গাউডেন্স ডাবল ঈগল, বারবার কোয়ার্টার। অবশ্যই, সরকার ব্যক্তিগত টাকশালগুলির সাথে একমত ছিল না তবে যা নিশ্চিত, তা হল বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত টাকশাল অর্থের অস্তিত্ব ছিল। এই মুদ্রাগুলি ব্যাপক পরিসরে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলি বন্ধ করার জন্য রাষ্ট্রের চেষ্টা যাই হোক না কেন।



স্বাধীনতাবাদ এবং নৈরাজ্যবাদ

মারে রথবার্ড || ছবি সোর্স: fee.org

আমি নৈরাজ্যবাদী সমাজকে এমন এক হিসাবে সংজ্ঞায়িত করি যেখানে কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তির সম্পত্তির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আগ্রাসনের কোনও আইনি সম্ভাবনা নেই” -- মারে রথবার্ড

বছরের পর বছর পার হয়ে গেছে এবং রাষ্ট্র যে কোনও ভাবে ব্যক্তিগত মুদ্রা ব্যান করে চলেছে। নিপীড়ন আরও জোরালো হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার জন্য মানুষের আকাঙ্ক্ষাও শক্তিশালী হয়ে ওঠেছে। অতীতে, তারা এই ধারণাগুলি উদারনীতির মাধ্যমে প্রকাশ করতেন, যা পরবর্তীতে উদারতাবাদে বিকশিত হয়। ১৮তম এবং ১৯তম শতকের মধ্যে স্বাধীনতাবাদের প্রথম স্তর গুলো দেখা দেয়। আধুনিক স্বাধীনতাবাদ, ১৯৫০ সাল থেকে শুরু হয়েছিল যা মারে রথবার্ড, মিল্টন ফ্রাইডম্যান বা হায়েক র মতো মহান মানুষদের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। রথবার্ড এর মতে, "স্বাধীনতাবাদী একটি কেন্দ্রীয় স্বতঃসিদ্ধের উপর নির্ভর করে: যা কোনও মানুষ বা দল অন্য কারও ব্যক্তি বা সম্পত্তির বিরুদ্ধে আগ্রাসন করতে পারে না। এটিকে "অনাগ্রাসন স্বতঃসিদ্ধ" বলা যেতে পারে। অন্য কারোর ব্যক্তি বা সম্পত্তির বিরুদ্ধে শারীরিক সহিংসতার ব্যবহার বা হুমকি কে "আগ্রাসন" হিসাবে বলা হয় । আগ্রাসন তাই আক্রমণের সমার্থক"। সর্বোপরি, আমরা বলতে পারি যে স্বাধীনতাবাদ ব্যক্তি অধিকার, শাসনের সীমাবদ্ধতা, ফ্রি মারকেট এ উৎসাহ এবং শান্তির উপর ফোকাস করে।

স্বাধীনতাবাদের একটি বিশেষ দিক হল নৈরাজ্যবাদ। যদিও এই আন্দোলনটি আরও উগ্র, তবুও এটি ব্যক্তিমুখী। মূলত, নৈরাজ্যবাদ একটি শাসন-মুক্ত সমাজ, স্বাধীন ব্যক্তি, যা আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত নয়, মুক্ত চুক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। "নৈরাজ্য" শব্দটির অর্থ "সরকারের অনুপস্থিতি"। যাইহোক, নৈরাজ্যবাদকে সহিংসতার সাথে যুক্ত করা উচিত না: এটা কখনই সহিংসতার বিষয়ে ছিল না এবং হবেও না। এই বিষয়ে একটি দুর্দান্ত ব্যাখ্যা দিয়েছেন কানাডিয়ান তাত্ত্বিক এ এল সাসান ব্রাউন: "যদিও নৈরাজ্যবাদের জনপ্রিয় মিনিং হচ্ছে একটি সহিংস, রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনের। নৈরাজ্যবাদ সরকারী ক্ষমতার সরল বিরোধিতার চেয়ে অনেক বেশি সূক্ষ্ম। নৈরাজ্যবাদীরা এই ধারণার বিরোধিতা করে যে ক্ষমতা এবং আধিপত্য সমাজের জন্য প্রয়োজনীয়। পরিবর্তে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংগঠনের আরও সমবায়, বিরোধী স্তরবিন্যাস এর পক্ষে”।



ক্রিপ্টো যুদ্ধ

ইউএস আইন অনুসারে মিনিশন টি-শার্ট, যা অ্যাডাম ব্যাক বানিয়েছেন || ছবির সোর্স: টুইটার

"যদি প্রাইভেসি বেআইনি করা হয় তবে শুধুমাত্র বেয়াইনিদেরই প্রাইভেসি থাকবে" -- ফিল জিমারম্যান

আমরা ১৯৫০ সালকে পিছনে ফেলে প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করেছি: ইন্টারনেটের পূর্বপুরুষ আরপানেটের জন্ম ১৯৬৭ সালে; মাইক্রোপ্রসেসরগুলি মোর এর সূত্রের উপর ভিত্তি করে বিকশিত হচ্ছে; ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) ১৯৭৫ সালে চালু হয়; ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ১৯৮৯ সালে চালু হয়। Friedman এর ব্রিলিয়ান্ট মাথা থেকেই ক্রিপ্টোগ্রাফি বিকাশ লাভ করেছিল। কিন্তু এই সমস্ত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন জনসাধারণের জন্য ছিল না (এখনও): রাষ্ট্র অত্যাচারের জন্য একটি নতুন উপায় পেয়েছে, সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো - নজরদারি। যা ছিল মানুষের গোপনীয়তা হানী করার জন্য একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যদি কোনো ব্যক্তি জানালা দিয়ে তার প্রতিবেশীর ওপর নজরদারী করে তাহলে সে আদালতের মুখোমুখি হতে পারে; যদি সরকার গোটা জাতির ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করে তাহলে কোন সমস্যা নেই। যদি একজন সাধারণ ব্যক্তি অন্য কারো আর্থিক লেনদেন খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন তবে তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে; রাষ্ট্র যদি প্রত্যেক ব্যক্তির সমস্ত আর্থিক লেনদেন খুঁজে বের করতে চায় তবে কোন সমস্যা নেই।

প্রযুক্তি সরকারকে একটি দুর্দান্ত অস্ত্র সরবরাহ করেছে এবং তারা সর্বোচ্চ ক্যাপাসিটিতে ব্যাবহার শুরু করে, প্রধানত NSA এর মতো সংস্থাগুলির মাধ্যমে সম্পূর্ণ ক্ষমতায় এটি ব্যবহার করা শুরু করে। নাগরিক সম্পর্কে তথ্যের জন্য স্থায়ী ক্ষুধা সরকারের বড় ডেটার জন্য ক্ষুধায় পরিণত হয়েছে: প্রতিটি ব্যক্তি সরকারের জারি করা নথি দ্বারা শর্তযুক্ত। আপনি গভর্নমেন্ট-ইস্যু করা আইডি ছাড়া জন্ম দিতে পারবেন না, আপনি গভর্নমেন্ট-ইস্যু করা আইডি ছাড়া বিয়ে করতে পারবেন না, গভর্নমেন্ট-ইস্যু করা আইডি ছাড়া আপনি মরতেও পারবেন না, আপনি গভর্নমেন্ট-ইস্যু করা আইডি ছাড়া আপনার পরিচয় প্রমাণ করতে পারবেন না, গভর্নমেন্ট-ইস্যু করা আইডি ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেন না ইত্যাদি। এবং এই সমস্ত তথ্য ডেটাবেসে রেকর্ড করা হয়, যা রাষ্ট্রের বিভিন্ন হাত দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়; শেষ পর্যন্ত, সকলেই রাষ্ট্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

এই কঠিন সময়ে, ১৯৭৫ সালে, হুইটফিল্ড ডিফি পাবলিক-কী ক্রিপ্টোগ্রাফি আবিস্কার করেন, যা জনসাধারণের কাছে অসাধারন হাতিয়ার নিয়ে আসে। জনগণের ব্যক্তিগত কী গুলিকে "নিরাপদ রাখতে" সহায়তার প্রস্তাব দেয় সরকার। যা কখনোই হয়নি এবং তখন থেকেই ক্রিপ্টো যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ১৯৭৭ সালে RSA এনক্রিপশন অ্যালগরিদম উদ্ভাবন করেছিলেন রন রিভেস্ট, আদি শামির এবং লিওনার্ড অ্যাডলেম্যান; অ্যালগরিদম টি পাবলিক-কী ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করছিল। এনএসএর পরবর্তী পদক্ষেপ ছিল ডিফির উদ্ভাবন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে এনক্রিপশন অ্যালগরিদম রপ্তানিতে পাবলিক অ্যাক্সেস নিষিদ্ধ করা। NSA পরিচালক ববি ইনম্যান উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন কারণ মানুষ এনক্রিপশন প্রযুক্তি অ্যাক্সেস করতে পারে যা সেই সময় পর্যন্ত, শুধুমাত্র এজেন্সিগুলি ব্যবহার করত। ১৯৯৩ সালে ওয়্যার্ডের একটি আর্টিকেল ১৯৭৯ সালে ইনম্যানের পাঠানো একটি ঠিকানা ফাঁস করে, সতর্ক করে যে "বেসরকারি ক্রিপ্টোলজিক একটিভিটি এবং প্রকাশনা [...] জাতীয় নিরাপত্তার জন্য স্পষ্ট ঝুঁকি তৈরি করে"। এনক্রিপশন অ্যালগরিদমগুলি ক্লাসিফাইড তথ্য হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল এবং ফেডারেল রেগুলেশন এটার প্রটেক্ট করতো, যেমন ITAR (আর্মস রেগুলেশনে আন্তর্জাতিক ট্রাফিক, 22 CFR 121-128)। এগুলো রপ্তানি করলে ১০ বছরের জেল হতে পারে। প্রতিবাদ হিসাবে, জনসাধারণ টি-শার্টে আরএসএ কোডের কয়েকটি লাইন প্রিন্ট করেছিল এবং সংস্থাটি সতর্ক করেছিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ভ্রমণ করার সময় এই ধরণের টি-শার্ট পরা বা রপ্তানি করার অর্থ "অপরাধীদের" জেল হবে। এ ধরনের টি-শার্টকে "যুদ্ধোপকরণ" হিসাবে বিবেচনা করা হত। আরএসএ অ্যালগরিদম সহ যারা ট্যাটু পরা তারাও অপরাধী হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল। সম্ভবত এটিই প্রথম ছিল যখন সরকার ভয় পেয়েছিল যে তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারে। এই ভয় দেখা যায় ইনমানের হস্যু করা ভাষণের নামে: "আকাশ ভেঙে পড়ছে"

জন গিলমোর, একজন সাহসী যুবক, এজেন্সির সামনে লম্বা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। একই ওয়্যার্ড আর্টিকেলে তাকে জোর দিয়ে উদ্ধৃত করা হয়েছে: "আমাদের দেখান। জনসাধারণকে দেখান যে কোন নাগরিকের প্রাইভেসি নষ্ট করে আপনার ক্ষমতা কীভাবে একটি বড় বিপর্যয় রোধ করেছে। তারা সমস্ত নাগরিকের স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তাকে সংকুচিত করছে-আমাদেরকে এমন একজন বোগিম্যানের বিরুদ্ধে রক্ষা করার জন্য যা তারা ব্যাখ্যা করবে না। আক্ষরিক অর্থে আমাদের প্রাইভেসি নষ্ট করার সিদ্ধান্তটি অবশ্যই পুরো সমাজকে নিতে হবে, সামরিক গুপ্তচর সংস্থা একতরফাভাবে নয়।"



সাইফারপাঙ্কস এবং ক্রিপ্টো-নৈরাজ্য: "একটি কারণ সহ বিদ্রোহ"

ওয়্যার্ড ম্যাগাজিনের সামনের কভার ("Rebels With a Cause"), মে/জুন ১৯৯৩ || ছবি সোর্স: Wired.com

"আমি টিম মে-এর ক্রিপ্টো-নৈরাজ্য তে মুগ্ধ। ঐতিহ্যগতভাবে "নৈরাজ্য" শব্দের সাথে যুক্ত কমিউনিটিগুলির বিপরীতে, একটি ক্রিপ্টো-অরাজকতা মধ্যে সরকার সাময়িকভাবে ধ্বংস হয় না তবে স্থায়ীভাবে ব্যান এবং স্থায়ীভাবে অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়। এটি এমন একটি কমিউনিটি যেখানে সহিংসতার হুমকি রয়েছে নপুংসক কারণ সহিংসতা অসম্ভব, এবং সহিংসতা অসম্ভব কারণ এর অংশগ্রহণকারীদের তাদের আসল নাম বা ফিজিক্যাল অবস্থানের সাথে লিঙ্ক করা যায় না।"
-- ওয়ে দাই

১৯৯২ এর দিকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া যাক। টিমোথি সি. মে, জন গিলমোর এবং এরিখ হিউজ কে নিয়ে গঠিত তিনজন কোড উদ্যমী ব্যাক্তি এবং ক্রিপ্টোগ্রাফারদের একটি দল আবিষ্কার করে যে তাদের সকলেরই সরকারী নজরদারি এবং সেন্সরশিপ সম্পর্কে একই দৃষ্টিভঙ্গি আছে। তাদের সকলেরই কম্পিউটার বিজ্ঞানে গভীর জ্ঞান ছিল। মে ইন্টেল কোম্পনীতে একজন প্রধান সাইনটিস্ট হিসাবে কাজ করতেন, গিলমোর তার নিজের কোম্পানি শুরু করার আগে সান মাইক্রোসিস্টেমে কয়েক বছর কাটিয়েছিলেন, যখন হিউজ ছিলেন একজন প্রোগ্রামার এবং একজন গণিতবিদ। তারা সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকায় গিলমোরের অফিসে একে অপরকে দেখতে শুরু করে, ক্রিপ্টোগ্রাফির মাধ্যমে মানুষের প্রাইভেসি রক্ষা করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। শীঘ্রই, অন্য একজন উদ্যমী ব্যাক্তি তাদের সাথে যোগ দেয়: হ্যাকার জুড মিলহন, তিনি সেন্ট জুড নামেও পরিচিত। তিনি এই কমিউনিটির জন্য একটি নামও খুঁজে পান: "সাইফার" (ক্রিপ্টোগ্রাফির সাথে সম্পর্কিত) এবং "সাইফারপাঙ্ক" (যা ডাইস্টোপিয়ান রিয়েলিটি এবং নৈরাজ্যের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর একটি অংশ) শব্দগুলিকে একত্রিত করে "সাইফারপাঙ্কস" নামটি আবিষ্কার করেন।

গ্রুপটি বিবর্তিত হয়েছে এবং আরও অনেকে যোগ দিয়েছে। যোগাযোগ রাখার জন্য তারা একটি মেইলিং তালিকা চালু করেছে; মেইল আরকাইভ Metzdowd.com এবং Cypherpunks.venona.com এ পাওয়া যাবে। সর্বোচ্চ, এটির প্রায় ২০০০ সাবস্ক্রাইবার ছিল।

সাইফারপাঙ্কের আদর্শ স্বাধীনতাবাদ এবং নৈরাজ্যবাদকে সম্পূর্ণ নতুন স্তরে নিয়ে গেছে: ক্রিপ্টো-নৈরাজ্য। ১৯৮৮ সালে টিম মে বলেন, "একটি স্পেকটার আধুনিক বিশ্বকে তাড়িত করছে, ক্রিপ্টো নৈরাজ্যের স্পেকটার", যা সাইফারপাঙ্কস সাহিত্যে একটি মাস্টারপিস হিসাবে পরিচিত হয়েছিল: "দ্য ক্রিপ্টো অ্যানার্কিস্ট ম্যানিফেস্টো"।

"সাইফারপাঙ্কস কোড লেখে", এরিক হিউজের "এ সাইফারপাঙ্কস ম্যানিফেস্টো" এ জোর দিয়ে লেখেন, আরেকটি বিশেষ লেখ
Jump to: