আমি অবশ্য আমার গত ১ বছরের বিটকয়েন আর্নিং এর প্রায় ৫০ শতাংশ সেভ করতে পেরেছি এবং পুরোটাই হোল্ড করেছি। যখন আমি ফান্ড অন্য একটা ওয়ালেটে মুভ করেছি, তখন বিটকয়েনের প্রাইস ছিলো ২৭ হাজার ডলার। আমি এটাকেই যদি আমার এভারেজ বায়িং প্রাইস বা একুমুলেশন প্রাইস ধরি, তাহলে আমি এখনই লাভে আছি। যদিও বুল রানে কিছু প্রফিট ক্যাশ করার প্ল্যান আছে এবং ভবিষ্যতে যদি আবার ডিপ মার্কেট পাই, তখন আবার বাই ব্যাক করারও প্ল্যান আছে।
সব প্ল্যানই কাজে দিবে যদি হঠাৎ করে কোনো টাকার দরকার না পড়ে তাহলে। কিন্তু আল্লাহ না করুন যদি হঠাৎ বিপদে পড়ে কারো কাছে টাকা না পাই, তখন বিটকয়েনের দাম যাই হোক না কেনো, সেল তো করতেই হবে। দেখা যাক কি হয়। যদিও আমি সবাইকে কম পরিমানে ইনভেষ্ট এর কথা বলি, আমি নিজেই আমার সব টাকা বিটকয়েনে রেখে বসে আছি। আমাকে ফিয়্যাটলেস বলা চলে।
আসলে ফিয়াট লেস থাকা ভালো তবে ভাই ভোলাটিলিটিই তো সব নষ্টের মূল। আমি আবার পুরোপুরি ফিয়াট লেস নিজের আর্নিং এর দশ গড়ে থেকে বিশ শতাংশ আমি বিটকয়েন ইনভেস্ট করে থাকি। আর বাকিগুলো এ যাবৎ কাল পর্যন্ত ফিয়াট কারেন্সি করে ব্যাংকে নিয়ে নিতাম।
কিন্তু কদিন আগে আমি যে ব্যাংক ব্যবহার করি সেই ব্যাংকের ব্রাঞ্চ এ গিয়ে কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পর আমার ফিয়াট করার ইচ্ছা বলতে গেলে এখন পুরোদমে চলে গিয়েছে। তাই বর্তমানে আমার ক্রিপ্টোকারেন্সি এর মধ্যে বেশিরভাগ ফান্ড রয়েছে যতটা না আমার ব্যাংকে রয়েছে। যদিও আমার হোল্ড করা বিটকয়েন, বিএনবি, আর কিছু টোকেন মিলেই ব্যাংকের টাকা কে ছাড়িয়ে যাবে। এখন সেটাকে আরো বাড়াতে চাচ্ছি তবে সম্পূর্ণই ভোলাটিলিটি যুক্ত কয়েনে নয়। বর্তমানে আমি আমার ফান্ড কে স্ট্যাবল কয়েনে রেখে আর আগের মত ১০% থেকে ২০ পার্সেন্ট প্রতি মাসে ইনভেস্ট চালিয়ে যাচ্ছি। এতে করে আমার ইমারজেন্সি সিচুয়েশন ফেস করার জন্য কিছুটা প্রস্তুতি নিয়ে থাকা হল, আর বাকিটা তো আল্লাহর উপর।
হ্যা, ধরে নিতে পারেন যে প্রফিটে আছি। তবে আমি আসলে বিটকয়েন কিনি নাই। আগের পোষ্ট এ আমি অলরেডি উল্লেখ করেছি যে আমি আমার বিগত ১ বছরের ইনকামের প্রায় ৫০ ভাগ সেব করেছি আর বাকি ৫০ ভাগ খরচ করেছি। আমি প্রতি সপ্তাহে সিগন্যাচার ক্যাম্পেইন থেকে যা পেয়েছি, সেটার বেশিরভাগ আমি রেখে দিয়েছি। তো ধরে নিতে পারেন যে আমার পুরো ইনভেষ্টমেন্ট আসলে আমার সিগন্যাচার ক্যাম্পেইনের ইনকাম থেকেই।
সবাই যে ডলার কোষ্ট এভারেজ এর কথা বলে, সিগন্যাচার ক্যাম্পেইনের যে ইনকাম, সেটা মূলত ডলার কষ্ট এভারেজ বলেই ধরে নেয়া যায়। আমার মনে হয় লং টার্ম ধরে ইনভেষ্ট করার জন্য ডলার কষ্ট এভারেজ মেথডের বিকল্প নেই। তাই যারা ইনভেষ্ট করবে, তাদের জন্য এটাই সবচাইতে ভালো মেথড।
মন্দ বলেন নাই ভাই সিগনেচার ক্যাম্পেইন এর পেমেন্টকে কেউ যদি ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে নিতে চায় তাহলে এটাকেই অনেকটা ডি সি এ মেথড হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। তবে ভাই আমি এই সিগনেচার ক্যাম্পেইনের ও বেশিরভাগ অংশ আমার খরচে কাটাই।ওইযে ভোলাটিলিটিই যত নষ্টের মূল এর জন্য, আমি মনে করি ইনভেস্টমেন্ট টা ওই পরিমাণেই হওয়া আর আমি বলব ভাই যারা বিটকয়েন ইনভেস্টমেন্ট করেছে লাইক ডি সি এ মেথড ফলো করে লং টার্ম ধরে করে আসছে তারা সবাই বর্তমানে লাভের মুখ দেখতেছে।
ভাই খালি আফসোস করি যে যখন ১৬কে, ১৮কে, ২৮কে ছিল তখন যদি আর একটু কিছু হোল্ডিং করতে পারতাম, দেখি ভবিষ্যতে আবার কোনদিন এরকম চান্স পাব কিনা, যদিও আমার মনে হয় না ১৬কে, ১৮কে এর মুখ আবারও দেখা যাবে। উচিত যতটুকুতে পরবর্তীতে আমাদের সমস্যায় করতে হয়, যদিও ইমার্জেন্সি সিচুয়েশন সবকিছু উলটপালট করে দিতে পারে।