BTC বাংলাদেশে বিটকয়েন বৈধতা পাওয়ার কিছু যুক্তি BTC
প্রশ্ন:- বাংলাদেশ কেন ব্লকচেইন টেকনোলজির বা বিটকয়েনের বৈধতা দিতে পারে?উত্তর:- প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে, পৃথিবীতে মোট ১০টি দেশে বিটকয়েন পুরোপুরি অবৈধ এবং এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। আর অন্য সকল দেশ বিটকয়েনকে একেবারেই অবৈধ না করে নিয়মকানুনের মাধ্যমে বৈধতা দিয়েছে যেন অবৈধভাবে মুদ্রা পাচার না হয়। এখন আসা যাক মূল উত্তরে,
(০১) ব্লকচেইন বা বিটকয়েন হলো ভবিষ্যৎ। কারণ সহজ ভাষায় বলা যায় যে, কোনো দেশ বা কোম্পানি থেকে বিটকয়েনের সাহায্যের দরকার নেই, বরং প্রত্যেক দেশ বা কোম্পানির দরকার বিটকয়েনের। বিগত ১০ বছরে বিটকয়েনের ইতিহাস দেখলে তা বুঝা যায়। শুরুর দিকে সকলেই বিটকয়েনকে স্ক্যাম বা ভন্ড বলেছিল, কিন্তু তারাই এখন বিটকয়েন কিনতেছে বা এই নিয়ে অধিক আগ্রহ দেখাচ্ছে।অনেকে বিটকয়েন জমিয়ে কোটিপতি হয়েছে।
(০২) বর্তমান ও ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মুদ্রাস্ফীতি ( সহজ ভাষায় মুদ্রার পরিমাণ বাড়লেও মূল্য কমে যায়। যেমন: ২০০৫ সালে ১০ টাকায় যতটুকু খাদ্য কেনা যেত, এখন তা ৪০ বা ৫০ টাকায় কিনতে হয়)| কিন্তু বিটকয়েনের মজুদ/সংখ্যা নির্দিষ্ট পরিমাণ। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি সমস্যার সমাধান ডিজিটাল মুদ্রা বা বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি। আর ব্লকচেইন টেকনোলজির সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ বিটকয়েন।
(০৩) আমরা সবাই ফেসবুক চালাই এবং ফেসবুক সবদেশে বৈধ। যদি ফেসবুক নিজেদের ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি করে, তাহলে তো ফেসবুকও বাংলাদেশে অবৈধ হবে। কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশে অবৈধ। নিচে দুইটা ছবি দিয়েছি #Project_Libra এর, যা ফেসবুকের ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রজেক্ট ২০২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সকলে ব্যবহার করতে পারবে। আমার ছোট মস্তিক বা বুদ্ধি দ্বারা এটা বলতে পারি যে, যেহেতু ফেসবুকের মতো এত বড় টেকজায়েন্ট ব্লকচেইন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার শুরু করছে।তহলে বাংলাদেশে তো ব্লকচেইনের বা বিটকয়েনের বৈধতা দিতে হয়। আর এটা না হইলে ফেসবুককে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। যা হয়তে সম্ভব
হবে না।
Project Libra's Whitepaper:
https://libra.org/en-US/white-paper/#introductionএছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে। তবে বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে, এই কারণগুলোই যথেষ্ট।
প্রশ্ন:- বিটকয়েন ব্যবহার করলে কি জেল হবে?উত্তর: বাংলাদেশ ব্যাংকের নোটিশ ও আাইন অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যাক্তি বিটকয়েন বা ডিজিটাল মু্দ্রা ব্যবহার করে অবৈধভাবে মুদ্রা পাচার করে।সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ বা ১০ বছরের জেল হতে পারে। ভালো করে মনে রাখুন, অবৈধ কাজে বিটকয়েন ব্যবহার করা যাবে। অনেকে হয়তো ভাবতেছে যে, আমি ভুলভাল বকতেছি। আরে ভাই বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিংও বৈধ নয়, কিন্তু অনেক ফরেক্স ব্রোকার হাউজের অফিস বাংলাদেশে আছে। তাহলে বলুন এইটা কীভাবে সম্ভব? কারণ নিয়ম অনুযায়ী অবৈধভাবে টাকা পাচার করা যাবে না। অনেকে খবরে শুনেছেন যে, বিটকয়েন ব্যবহারের জন্য পুলিশ অনেকজনকে আটক করেছে। মূলত এসব ব্যাক্তিরা মানুষকে অনলাইনে ইনকামের বা অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের টাকা মেরে দিত বা স্ক্যাম করত।
কারে যদি ব্লকচেইন বা বিটকয়েন নিয়ে কোনো মতামত দেয়ার থাকে অথবা এই বিষয়ে আলোচনা করতে চান। তাহলে এই পোষ্টে উক্তি করুন।