কয়েকদিন যাবৎ আসলে খুবই ব্যাস্ত সময় পার করছিলাম এই দোকান শিফট করা নিয়েই। আজকে মাত্র পিসিতে বসার সময় পেলাম। এই কয়েকদিন ধরে মোবাইলে আর ল্যাপটপে কাজ করছিলাম এবং খুবিই ব্যাস্ত সময়ের মাঝে ছিলাম। আজকে এখন একটু ফ্রি টাইম পেয়েই ফোরামে ঢু মারতে আসলাম। যে যাই বলুক না কেনো, আমি দোকান শিফট করেছি এর পেছনের প্রথম কারন হলো প্রত্যাশা মতো সেল না হওয়া। আমি যদি আমার ইনভেষ্টমেন্ট ফেলে রাখি এবং প্রতি মাসেই লস করি, তাহলে বিজনেস গ্রো করবে না। আমার দরকার ছিলো এমন একটা লোকেশন যেখানে আমি প্রত্যাশা মতো সেল করতে পারবো। যাই হোক, যেহেতু এইখানের বাজার একটু বড়, আশা করি এখানে সেল একটু বৃদ্ধি হবে। তবে সব কিছুর আগে আল্লাহর করুনার ওপর ভরসা করতে চাই। আল্লাহ চাইলে এবার ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করবো।
দোয়া রইল ভাই আপনার জন্য যেহেতু মোটামুটি একটা বড় বাজারের দিকে আসতে পেরেছেন এখানে ধৈর্য ধরে থাকেন আল্লাহ ভরসা এখান থেকে আল্লাহ তায়ালা ভালো কিছু দেবেন। ধৈর্য হারা হওয়া যাবে না ভাই বিজনেস করতে হলে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে আপনি যে জানে এটা শুরু করেছেন আশা করি জার্নিতে আপনি সাকসেস হতে পারবেন।
তবে ভাই আপনার জন্য আমার কিছু পরামর্শ থাকবে যেগুলো অবশ্যই খেয়াল রাখার চেষ্টা করবেন ভাই। সবার আগে দোকানে যেসব কাস্টমার আসবে সবার সাথে ভালো ব্যবহার করবেন সবাই যেন আপনার প্রতি ভালো একটা মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে সেই দিকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। কারো সাথে কখনো কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কথা কাটাকাটি করবেন না সব সময় কাস্টমারদের ভালো কিছু দেবার চেষ্টা করবেন।
যেসব প্রোডাক্ট সেল করবেন সেই প্রোডাক্টগুলো অবশ্যই সবচেয়ে ভালো মানের প্রোডাক্ট দেবার চেষ্টা করবেন এরকম কইরেন না ভাই টাকা নিচ্ছেন প্রোডাক্ট ভালো দিচ্ছেন না এরকম করলে বিজনেসে দেখবেন কোন উন্নতি করতে পারবেন না আর যদি যেটা বলতেছেন গ্রাহককে সেই সিস্টেম মত তাকে প্রোডাক্ট দিবেন তাহলে দেখবেন গ্রাহক ব্যবহার করেও অনেক খুশি হবে এবং পরবর্তী সময়ে আপনার দোকানে অন্য কাউকে আসার জন্য সাজেস্ট করবে। গ্রাহক সেবাটা সবচেয়ে ভালো দেবার চেষ্টা করবেন। গ্রাহক সেবার উপরেই নির্ভর করে আপনার বিজনেস ওঠা নামা করবে।
যেহেতু নতুন বাজারে আসতেছেন এখানে নতুন মানুষজন পাবে একটু সময় নিয়ে মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন প্রথম দিকে দোকানে যারা আসবেন তাদের একটা চা কিনে খাওয়াইলেন দুইটা ভালো মন্দ কথা বললেন দেখবেন এইভাবে তাদের সাথে আপনার ভালো একটা সব কথা গড়ে উঠবে আস্তে আস্তে আপনার বিজনেসটা সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। যাইহোক ভাই আমার কাছে এই বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হল সেজন্য আপনাকে একটু পরামর্শ দেবার চেষ্টা করলাম আশা করি আপনি ভালভাবে নিবেন বিষয়গুলো।
ব্যবসা-বাণিজ্যে যাই শুরু করেন ভাই আমাদের জন্য বাতাসা রাইখেন ভাই, আমাদের দেশটা খুবই ছোট ঘুরতে ঘুরতে কখনো যদি দেখা হয়ে যায় তাহলে বাতাসা খেয়ে আসবো।
inearth ভাই আপনি যে আর মেম্বার রেংক অর্জন করার জন্য আপনাকে ফোরামের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই দোয়া করি আপনার জন্য আপনি আপনার সর্বোচ্চটা দিয়ে এগিয়ে আসুন আশা করি আস্তে আস্তে পরবর্তী র্যাঙ্ক গুলো অর্জন করতে পারবেন। সব সময় ভাই সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার পথ চলাটা খুবই সহজ হয়ে যাবে।
BD User ভাই আপনাকেও অভিনন্দন জানাই ফোরামের পক্ষ থেকে আপনি জিয়ার মেম্বার হয়ে গেছেন আপনাকেও সেই একই কথা বলবো ভালোভাবে ফোরাম এক্সপ্লোর করে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করে এগিয়ে আসুন।
ভাই আমি গরিব মানুষ। মাত্র ৭০ টাকা হালি ডিম বেচি। বয়লার পালিনা, সব দেশি, ফাউমি, ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প জাতের মুরগি, সেই হিসেবে হ্যাঁ দাম তো একটু বেশিই হবে। বাচ্চা নিজেরা ফুটাই, ইনকিউবেটর মেশিন আছে, সেখানে ৭০-১০০ ডিম আরামসে ফুটানা যায়। ফার্ম বললে ভুল হবে, ঘরোয়া ভাবে ছোট খাটো একটা প্রজেক্ট বলতে পারেন। হ্যা ভাই লাভ অনেকটকই কম তুলনামূলক। মাঝে মাঝে তো মুরগির টাকা দিয়ে মুরগিরই ফিড কিনছি। মাসে ৩ বস্তা লেয়ার লেয়ার ১ লাগে, পার বস্তা +-৩০০০ টাকা। আবার সোনলী গ্রোয়ার, স্টাটার ফিডও লাগে। সব মিলায়ে ব্যাপক খরচ, অতোটাও ইজি ব্যবসা না। একটা সুবিধা হইছে যদিও, ডিম আর মাংসের চাহিদা মিটে যাচ্ছে। লাস্ট কবে যে ডিম বা মাংস কিনছি মনে করতে পারতেছিনা। এদিকে কোয়েল পাখি পালতেছি। সেখানেও ডেইলি ১০-১৫ টা ডিম দেয় গড়ে। মুরগির ক্ষেত্রে ২০-২৫ পাইতাম ডেইলি, শীত আসায় একটু কমে গেছে ১৫ করে দিচ্ছে। তো এই হলো কাহিনি।
না ভাই আপনি গরিব না, আমরা কেউই গরীব না শুধু আমাদের কারো কাছে একটু বেশি অর্থ আছে কারো কাছে একটু কম আছে এইতো এগুলো নিয়ে ধনী গরিব বিচার করা যায় না। যাইহোক ভাই আপনি যে বিজনেসটা চালু করছেন এ বিজনেসটা ঘরোয়া হলেও অনেক সুন্দর একটা বিজনেস চালু করছেন। আপনি নিজেই বাসায় ডিম গুলো ফুটাচ্ছেন এটা ভালো করছেন ভাই। করতে থাকেন ভাই এটা আস্তে আস্তে সিস্টেম অনুযায়ী সুবিধামতো বিজনেসটা বাড়িয়ে নিয়েন তাহলে ভালো হবে।
কোয়েল পাখির কথা বললেন ভাই আমিও এক সময় কোয়েল পাখি পালতাম যখন হাইস্কুলে পড়তাম। আমার ৭৫ টা কোয়েল পাখি ছিল একটা খাচায় পালতাম তখন আমি প্রত্যেকদিন ৪০-৪৫ টা করে ডিম পাইতাম খরচও আছে আবার ভাই কিন্তু আপনি হয়তো শুনছিলেন কয়েক বছর আগে ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলার উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে গিয়েছিল তখন সেই ঘূর্ণিঝড়ের কপালে আমাদের বাড়ি উড়ে গিয়েছিল ভাই। সেই সময়ে আমি স্কুলে ছিলাম তখন ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়েছিল পরবর্তী সময়ে যখন বাড়িতে আসলাম তখন দেখলাম বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ কবুতর ছিল কবুতরের পাছা কিচ্ছু হয়নি কিন্তু কোয়েল পাখি গুলো কোথায় উড়ে চলে গেছে জানিনা খাঁচাসহ হারিয়ে ফেলেছিলাম আশেপাশে প্রচুর খুঁজেছিলাম কিন্তু পাইনি শখের কোয়েল পাখির বাধা ও সেই সময় শেষ হয়ে গেছে আর কিনেছিলাম না ভাই। কোয়েল পাখি দেখতে অনেক সুন্দর লাগে যদি যত্ন করে পালতে পারেন ভাই মানসিকভাবে সুন্দর লাগবে ভালো লাগবে এবং এখান থেকে মোটামুটি একটা আরনিং ও করতে পারবেন।