২০২৩ বিশ্বকাপ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে দল তেমন একটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেনি। ২০২৩ বিশ্বকাপে আমরা দেখেছি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটিং বিপর্যয়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে অধিনায়ক হিসেবে বেস্ট আমি বলব সাকিব আল হাসান। এই মুহূর্তে শাকিব আল হাসানের রাজনীতিতে ঢোকা সত্যি এটা ক্রিকেট এর জন্য খুব হতাশা জনক। নিঃসন্দেহে আমরা ভালো মানের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের খেলা অনেক মিস করবো। সাকিবের উচিত ছিল ক্রিকেটের স্বার্থে তার নির্বাচনে না জড়ানোটাই ভালো ছিল।
সাকিব ক্রিকেটার হিসেবে ঠিক যতোটা ভালো, একজন ব্যাক্তি হিসেবে ঠিক ততোটাই খারাপ। রাজনীতি সবার জন্য নয়। আমরা সাধারনত রাজনীতিবিদ বলতে যা বুঝি, মানুষের টাকা মেরে খাবে, জোর করে জমি দখল করবে, টাকার বিনিময়ে চাকুরি দেবে, (কিচু একসেপশন আছে) এগুলোর জন্য সাকিব এর রাজনীতিতে আসা যথার্থ। তার দরকার টাকা। সেটা কোনো উপায়ে হোক। সাকিবের অনেক টাকা আছে এবং সে আরো টাকা বানাবে। কিন্তু একই সাথে তার ক্ষমতার ও দরকার আছে।
এর আগে সাকিব যখন বেটউইনারের সাথে চুক্তি করেন, তখন ব্যারিস্টার সুমন তাকে নিয়ে লাইভ করেন। ঠিক কয়েক সপ্তাহ পরে তার সাথে সাকিবের দেখা হলে সাকিব তাকে মারতে যান। এখন সাকিবের যেটা নেই, সেটা হলো রাজনৈতিক ক্ষমতা। টাকার ক্ষমতা এবং রাজনৈনিক ক্ষমতা ভিন্ন ব্যাপার। এটা তার হাতে চলে আসলে ১৬ কলা পূর্ণ হবে।
সাকিবকে দেখে মাঝে মাঝে আমার খুব অবাক লাগে, তার কারণে এই মানুষটার এত টাকা থাকা সত্ত্বেও সে আরও অনেক টাকা করতে চায় এবং আমি মনে করি বাংলাদেশে অনেক মানুষের মধ্যে তার ক্ষমতা উৎস অনেক, এবং সবথেকে বেশী ক্ষমতাবান মানুষ হিসেবে সে একজন কারণ সে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যেতে পারে।
অনেকেই যেটা বলছে যে রাজনীতিতে কাজ করলে ভালো কিছু করা যায় কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে নোংরা রাজনীতি প্র্যাকটিস করা হয় আমার মনে হয় না একটা লোক ভালো ভাবে কাজ করতে চাইলেও সে পুরোপুরি ভাবে কাজ করতে পারবেনা, তার কারণ এর আগে মাশরাফি যখন এমপি হয় তখন অনেকেই অনেক ধরনের কথা বলেছিল কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যে কাজের অগ্রগতি করতে গেলে অনেক অনেক বাধা আসে তার সাথে।
আমার মনে হয় দল মত নির্বিশেষে সে মানুষের কাছ থেকে যে সম্মানটুকু পেতো এখন রাজনীতিতে প্রবেশ করার মাধ্যমে সেখান থেকে কিছুটা হলেও কমে যাবে যেহেতু এখন তাকে দলীয়ভাবে সবাই চিন্তা করবে।