তবে এখন পর্জন্ত ১০% শতাংশ দেয়া লাগবেনা এটার পক্ষে সঠিক কেউ কোনো উত্তর দেয়নি। আমাদেরকে হয়তো আগামি কালকে পর্জন্ত অপেক্ষা করতে হবে প্রেস ব্রিফিং এর জন্যে।
আইসিটি মন্ত্রী যে বললো আমি দ্বায়িত্ব নিয়ে বলছি, ফ্রিল্যান্সারদেরকে কোনো কর দিতে হবে না। আরো অনেক সূত্র থেকেই জানা গেছে যে এগুলো ভূয়া তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। অবাক করার ব্যাপার হলো বাংলাদেশের প্রথম সারির পত্রিকা এবাং টিভি মিডিয়াগুলো সূত্র যাচাই বাছাই না করে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা অথেনটিক কোনো সূত্র থেকে না জেনে একে অন্যের দেখাদেখি খবর প্রচার করছে। যার কারনে ফ্রিল্যান্সারদের গ্রুপগুলোতে এক প্রকার ক্ষোভ চলছে। সরকার সাধারনত রেমিটেন্স এ প্রনোদনা দিয়ে থাকে। সেখানে যদি কর ধার্য করা হয়, সেটা দেশের সরকারের জন্য কখনোই ভালো হবে না। এতে করে বৈধ পথে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষ খরচ বাচানোর জন্য বিকল্প অবৈধ পথ গুলো বেছে নিতে শুরু করবে। যেটা দেশের জন্যও খারাপ হবে, আর ফ্রিল্যান্সারদের জন্যও খারাপ হবে।
ভাই আমি সব ধরনের রেফারেন্স আগের পোস্টে দেবার চেস্টা করেছি, প্রজ্ঞাপন বা আদেশ দুই ধরনের হয়ে থাকে তা আমরা সবাই জানি, একটা হচ্ছে
"মৌখিক" বা "ক্ষনস্থায়ী" আর একটা হচ্ছে
"লিখিত" বা "স্থায়ী", এবার আসি আসল কথায় বাংলাদেশ ব্যাংকের যে প্রজ্ঞাপন তা
"লিখিত" আমি আগের পোস্টে লিংক সহো অরিজিনাল কপি দিয়েছি,
এখন কনফিউশন হচ্ছে কর আইনে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সারদের জন্যে কর মৌকুফ করা আছে আর বাংলাদেশ ব্যাংক সেই একোই আইন ও একোই ধারা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ঝামেলাটা এখানেই। Bangladesh Awami League এর ফেসবুক পেজ এ পোস্ট করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন মিথ্যা এটা কেউ বলছেনা, এখন যেহেতু মন্ত্রীর কাছেউ বিষয়টি পৌছে গেছে সে জন্যে তারা "ফ্রিল্যান্সারদেরকে" বাদ রাখতে চাচ্ছে।
আসলে কোনটি বিশ্বাস করব এটাও ভেবে পাচ্ছি না তবে এ কথা সত্য যে সরকার বৈদেশিক রেমিটেন্স এর উপরে ১০% কর ধার্য করেছে কিন্তু সেটা যে ফ্রিল্যান্সারদের উপরে এই শিরোনামটি মিথ্যা।
আজকে শনিবার ৩০ শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক একথা নিশ্চিত করেছেন যে
ভাই একটা দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংক এমনিতে ফাজলামু করে কোনো "প্রজ্ঞাপন" দেয়না সেটা পরলেই বুঝতে পারবেন, দুইদিন কিন্তু সবাই চুপ ছিলো , এখন একটা চাপে পরে গেছে এখন কেউ জানলেও তারা না জানার ভান করে বসে থাকবে
একটা "প্রজ্ঞাপন" জারি করতে বেশ কয়েকটা মিটিং এর প্রোয়োজন হয়, আর সাইবার সেল এমন একটা যায়গা যেখানে বাইরের কারো পক্ষ্যে এমন কাজ করা সম্ভাব না।
আমিও চায়না যে এই "প্রজ্ঞাপন" কার্যকর হোক কারন হচ্ছে অনেকের ইঙ্কাম হয়তো সারা মাসে ২০০ থেকে ৩০০ ডলারের মতো। তাদের জন্যে এটা অনেক চাপ হয়ে যাবে।
Edited.