এখনি সতর্ক হোন
আমরা বাংলাদেশিরা সবাই কমবেশি অনলাইন জুয়া, ক্যাসিনো, বেটিং, মানি লন্ডারিং, ফরেক্স ট্রেডিং, হুন্ডি এসব বিষয়গুলো সম্পর্কে মোটামুটি জানি। এসব বিষয়গুলো যে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে ভালোভাবে নেয় না এটা সম্পর্কেও কিন্তু আমাদের অনেকের ধারণা আছে।তো আমরা যারা এখানে/বিটকয়েনের ব্যবহারকারীদের কথা বলছি কাজ করছি তারা মোটামুটি টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে সবাই নগদ, বিকাশ,রকেট,ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে থাকি।এসব একাউন্টের তথ্য গুলো কিন্তু আমাদের নিজেদের জেনুইন ইনফরমেশন দিয়ে কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন করা। আজকের এই
নিউজটি বিস্তারিত পড়ে একটু ভয় ভয় লাগছে কেননা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ, সমালোচনা আলোচনা তুঙ্গে, এই মুহূর্তে যদি আমাদের ব্যাক্তিগত তথ্য ধরে আইনের ঝামেলায় জড়ানোর সম্ভাবনা থাকে তাহলে আর রক্ষা নাই। গরম ডিম একটাও মাটিতে পড়বে না, সরাসরি আমাদের পি****ন দিয়ে ঢুকিয়ে আসল তথ্য বের করবে।
এখন আসি মূল আলোচনায় যেখানে এই পোস্টে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়েছে যে আমাদের বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, শ্রমজীবী,বেকার, ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন জুয়ার সাথে যুক্ত হচ্ছে। ফলে এতে করে সরকারের মাথা ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পোস্টে বলা হয়েছে যারা অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত তাদের ২২ হাজার মোবাইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং শত শত ব্যক্তিগত তথ্য গোয়েন্দা বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে তদন্ত করে তাদের পর্যন্ত পৌঁছানো যায়।
Bangladesh Financial Intelligence Unit(BFIU) এর তদন্ত ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট
21725 ব্যক্তিগত হিসাব
814 টি ওয়েবসাইট
159 টি অ্যাপ্লিকেশন
442 টি সোশ্যাল মিডিয়ার লিঙ্ক ও পেজ
21 টি মানি চেন্জার
39 টি ব্যাংক হিসাব
তাই যারা বর্তমানে হুন্ডি, অনলাইন জুয়া, বেটিং ও ক্যাসিনো, বিভিন্ন এক্সচেঞ্জে ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে কেওয়াইসি ভেরিফাই করা, P2P trading এ ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা ইত্যাদি যুক্তিপূর্ণ কাজ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের জন্য বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে। হয়তো আমরা এই বিষয়গুলোতে খুব একটা বেশি গুরুত্ব দেই না কিন্তু যখন আমরা বিপদে পড়ে যাব তখন আমাদের এই বিষয়গুলো নিয়ে আফসোস করতে হবে।
যাহোক যারা এখনো পর্যন্ত কোনো সতর্কতা অবলম্বন করেননি তারা দ্রুত সতর্কতা অবলম্বন করুন। আমরা একই নাম্বার দিয়ে বছরের পর বছর টাকা লেনদেন করবো না বরং বেশ কিছুদিন পর পর টাকা লেনদেনের মাধ্যম গুলো চেঞ্জ করতে হবে তা না হলে গোয়েন্দা বিভাগের নজরদারি পড়তে হবে।