লেখক: GazetaBitcoinমেইন টপিক: What happens when your identity is stolen -- real story || Avoid CEXs!
নিচে একজন রোমানিয়ান নাগরিকের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে তার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার পর তার জীবন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়।
এই প্রতিবেদনটি মূলত একটি সতর্কবার্তা। আপনাদের মাঝে যারাই কেন্দ্রীয় একচেন্জগুলো ব্যবহার করেন তাদের এই বিষয়টি জানা জানা দরকার যে, এই একচেন্জগুলো যেকোনো সময় হ্যাকের শিকার হতে পারে। এতে যে শুধুমাত্র তাদের টাকাপয়সা হারানোর ভয় থাকে তাইই নয় এরই সাথে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরিরও সম্ভাবনা থাকে। আর যখন হ্যাকাররা তাদের তথ্য তাদেরই বিরুদ্ধেই ব্যবহার করে তখন বিষয়টা আরও খারাপের দিকে এগিয়ে যায়। আরও ভয়ানক বিষয় যে তাদের এইসব তথ্য মাএ ১-৫ ডলারের মধ্যে ডার্কওয়েবে বিভিন্ন অপরাধীদের কাছে বিক্রি করা হয়।
রোমান নিউজপেপার
Adevărul এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক
প্রতিবেদনে এমনই একজনের ঘটনা প্রকাশ করে। এখানে ৩৬ বছর বয়সি C.T নামক একজনের গল্প তুলে ধরা হয় যিনি গত ৮ বছর ধরে জার্মানিতে বসবাস করছে।
C.T এর প্রধান পেশা Mannheim ভিত্তিক একজন গাড়ি চালক হলেও তিনি এর পাশাপাশি ভ্লগার হিসেবেও কাজ করতেন। পরবর্তীতে চোররা তার নাম নিয়ে খুব আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
তার জীবনের আসল দুঃস্বপ্ন শুরু হয় ২০১৮ তে, যখন Hungry তে তাকে গাড়ি চুরির অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ডাটাবেজে তার নামে ২২,০০০ হাজার ইউরো মূল্যের গাড়ি চুরির তথ্য পাওয়া যায়। স্পষ্টত তিনি এর প্রতিবাদ করেন এবং নিজেকে নিরপরাধ প্রমানের চেষ্টা চালান। এর পরে তাকে শহরের বিচার সভায় যোগাযোগ করতে বলা হয়, যেখানে তিনি আজ পর্যন্ত কখনো পাই রাখেননি।
কয়েক মাস পর জার্মানিতে থাকাকালীন, রোমানিয়ান পুলিশ তাকে জানায় তার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে এবং এরজন্য তাকে থানায় যেতে বলা হয়। এখানে তার ছবি, আঙুলের ছাপ সহ লাই ডিটেক্টর পরীক্ষা নেয়া হয়।
এরপর থেকেই তার সমস্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। তিনি যতবার রোমানিয়ায় গাড়ি চালান ততবারই তাকে কাস্টম অফিসে থামানো হয়। এর ফলে তিনি অনেক অপমানিত বোধ করেন, কারণ সবাই তাকে অপরাধী ভাবা শুরু করে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রতিবার তাকে আবারো তার নিরপরাধ হওয়ার গল্পটি পুনরাবৃত্তি করতে হয়।
বেশ কিছুদিন পর অস্ট্রিয়া পুলিশ জানায় যে তার চুরি করা তথ্য চোরটি ধরা পড়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।
এতকিছু হওয়ার পড়ে আবারো চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জার্মান পুলিশের সাথে তার এর একটি ঘটনা ঘটে। একদিন ৬ টার দিকে কাজে থাকা অবস্থায় জার্মান পুলিশ তাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে তার বাসায় হানা দেয়। প্রতিবেশীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন তার নামে নাকি ৩৮,০০০ ইউরোর একটি নৌকা চুরির অভিযোগ আছে। অগসবার্গ পুলিশের তদন্ত থেকে জানা যায় যে, তাদের কাছে C.T এর সকল তথ্যের মিল থাকলেও শুধুমাত্র ছবির অমিল ছিল। পুলিশ তাকে চুরির দিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার ছবি এবং গুগল লোকেশন থেকে প্রমান করেন তার এসবের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
আইনজীবীরা তাকে তার নাম পরিবর্তনের পরামর্শ দিলেও তিনি এখনো এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। প্রতিবেদনের শেষে তিনি জানান, এসব নিয়ে তিনি কতটা ভয়ে ছিলেন, যখন তিনি জানতে পারেন কেউ তার নামে কোনো ব্যাংকে লোন নিয়েছে বা তার নামে কেউ গ্রেফতার হয়েছে।
উপরের লেখা ঘটনাটি অবিশ্বস্ত হলেও সত্য। একজনের ব্যক্তিগত তথ্য অন্যজনের কাছে কিভাবে যায় সেটি গুরুত্বপূর্ন না। গুরুত্বপূর্ণ হলো কেউ যদি এসব কেন্দ্রীয় একচেন্জ ব্যবহার করে তাহলে সর্বদাই তার তথ্য চুরির সম্ভাবনা থাকে। হ্যাকাররা যেকোনো সময় এসব তথ্য চুরি করতে সক্ষম। এমনকি একচেন্জগুলোও মাঝে মাঝে তাদের ইউজারদের তথ্য বিক্রি করে দেয়, যা
কয়েনবেজের ক্ষেত্রে ঘটেছে। এই একচেন্জগুলো কোনো ছোটখাটো একচেন্জ নয় বরং এগুলো বিশ্বব্যাপী অনেক জনপ্রিয় একচেন্জের একটি। এমন জনপ্রিয় একচেন্জগুলোই তাদের ইউজারের তথ্য বিক্রির দায়ে ধরা খেয়েছে।
তাই আপনি কি এখনও কেন্দ্রীয় একচেন্জগুলো ব্যবহার করতে ইচ্ছুক?