লেখক: GazetaBitcoinমেইন টপিক: The Crypto Anarchist Manifesto - We all should read it
বিটমুভার এর
টপিকের পরে, আরেকটি পড়তেই হবে এমন আর্টিকেল হলো টিম মে এর লেখা,
দ্যা ক্রিপ্টো এনারকিস্ট ম্যানিফেস্টো।
রচনাটা প্রথম প্রকাশ করা হয়েছিল ১৯৮৮ সালে (এরিক হিউজের আর্টিকেল
এ সাইফারপাঙ্ক ম্যানিফেস্টো এর চেয়ে ৪ বছর আগে), ক্রিপ্টো '৮৮ সম্মেলনে এবং এটা কিছু দিক নিয়ে টিম মে-এর অসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে যা ৩০ বছর পর বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
এই পান্ডুলিপিতে ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং রেপুটেশন সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে প্রযুক্তি কীভাবে শাসন, ট্যাক্স বা অর্থনৈতিক কন্ট্রোল কিভাবে পৃথিবীকে পরিবর্তন করবে তার বিস্তারিত বর্ননা করা হয়েছে:
"কম্পিউটার প্রযুক্তি কোনো ব্যাক্তি বা গ্রুপকে সম্পূর্ণ এননিমাস ভাবে একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ এবং যোগাযোগ করার ক্ষমতা প্রদানের দ্বারপ্রান্তে আছে। দুই জন মানুষ কারো সত্যিকারের নাম না জেনে বা লিগ্যাল নাম না জেনে মেসেজ আদান-প্রদান করতে পারে, ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে এবং দামাদামি করে ইলেকট্রিক চুক্তি করতে পারে। এনক্রিপ্ট করা প্যাকেট এবং টেম্পার-প্রুফ বক্সগুলোর রি-রাউটিং করে যা যে কোনও টেম্পারিংয়ের বিপরীতে প্রায় নিখুঁত নিশ্চয়তার সাথে ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকলগুলো ব্যাবহার করে যাতে নেটওয়ার্কগুলোতে হওয়া যোগাযোগ গুলো ট্রেস করা না যায়। রেপুটেশন হবে প্রধান গুরুত্ব, এমনকি আজকের দিনের ক্রেডিট রেটিং এর চেয়েও লেনদেনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ডেভেলপমেন্টগুলো সম্পূর্ণভাবে সরকারী রেগুলেশন পরিবর্তন করবে, ট্যাক্স এবং অর্থনৈতিক ইনট্যারেকশন নিয়ন্ত্রণ করার এবিলিটি, তথ্য গোপন রাখার এবিলিটি এবং এমনকি বিশ্বাস এবং রেপুটেশন সিষ্টেমকেও পরিবর্তন করবে।"।
সাইন্স-ফিকশনে জুলস ভার্নের দৃষ্টি ভঙ্গির সাথে মে'র ক্রিপ্টোতে দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই প্রশংসা করা যেতে পারে।
তিনি অনেক বাস্তব প্রযুক্তিগত ডেভেলপমেন্ট প্রকাশ করেছে, মাত্র কয়েকটি শব্দের মাধ্যমে, যেমন স্মার্ট কনট্রাক্ট, টর, বিটকয়েন টেকনোলোজি বা রেপুটেশন সিষ্টেম (যেমন, মেরিট এবং ট্রাস্ট সিস্টেম বিটকয়েনটক-এ ব্যাবহার করা হয়েছে)।
"ট্রু নেম" এর রেফারেন্স টা ভার্নর ভিঞ্জের উপন্যাস "
ট্রু নেমস" (১৯৮১) থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারে, যা একটা শিল্পের চমৎকার অংশ।
তিনি কালো বাজারের আবির্ভাব এবং জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছানো বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের লড়াইয়ের পূর্বাভাস দেখেছিলেন:
”রাষ্ট্র অবশ্যই জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগে, ড্রাগ ডিলার এবং ট্যাক্স ফাঁকিবাজরা প্রযুক্তির ব্যবহার করবে এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বাড়বে এই ভয় উল্লেখ করে প্রযুক্তির অগ্রগতিকে স্লো বা বন্ধ করার চেষ্টা করবে। এই উদ্বেগের অনেকগুলো আসলে সঠিক হবে; ক্রিপ্টো নৈরাজ্য জাতীয় গোপনীয়তা গুলোকে কোনো বাধা ছাড়াই ট্রেড করার সুযোগ করে দিবে এবং অবৈধ এবং চুরি করা জিনিস গুলো লেনদেনের সুযোগ করে দিবে। একটি এননিমাস কম্পিউটারাইজড মার্কেট গুপ্তহত্যা এবং চাঁদাবাজির মতো জঘন্য মার্কেট তৈরি করতে পারে৷ বিভিন্ন অপরাধীরা এবং বিদেশী উপাদান ক্রিপ্টোনেটের একটিভ ইউজার হবে৷ কিন্তু ক্রিপ্টো নৈরাজ্যের বিস্তার থামবে না।"।
রচনাটি শেষ হচ্ছে ”জেগে ওঠো, তোমার আর কিছুই হারানোর নেই কাঁটাতারের বেড়া ছাড়া!”। কাঁটাতারের বেড়া আমেরিকানদের জন্য পরিচিত। এটা তাদের ইতিহাসের একটি অংশ: পশ্চিমা অঞ্চলগুলো কাঁটাতার দিয়ে বেড়া দেয়া ছিল এবং রাখালরা তারগুলো কাটছিল, যারা স্বাধীনতা চায়। এটা শাসকদের দুর্নীতি ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আহবান। গোপন এজন্সিগুলোর বিরুদ্ধেও যারা তথ্য বন্ধ করতে চেয়েছে।
আমাদের সকলের উচিত
সাইফারপাংক এর কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা!