লেখক: GazetaBitcoinমেইন টপিক: Cryptocurrency vs digital money issued by the State
একটা ভূত আধুনিক বিশ্বকে তাড়া করছে, ক্রিপ্টো নৈরাজ্যের ভূত - টিম মে
আমি এই টপিকটি আমার অন্য একটি টপিক এর ”দ্বিতীয় পার্ট” হিসেবে শুরু করছি -
সরকার ট্রেডারদের পেছনে লেগেছে! আংশিকভাবে, এই থ্রেডটি পড়ে (এর টাইটেল) ইনফ্লুয়েন্স হয়ে:
বিশ্বের সরকারগুলো কেনো ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করছে না?সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করতে চায় না; অন্তত ডিসেন্ট্রালাইজ্ড গুলো না। কারণ তাদের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে - ব্যক্তিগত তথ্য থেকে ডেটা এবং টাকা। সরকারের ইস্যু করা আই ডি ছাড়া আপনি কিছুই করতে পারবেন না - আপনি স্কুলে যেতে পারবেন না, আপনি গাড়ি চালাতে পারবেন না, আপনি বিয়ে করতে পারবেন না এবং আরো অনেক কিছুই করতে পারবে না। সরকারের তার সকল নাগরিকের আর্থিক ইনফরমেশন সহ সকল তথ্য দরকার। এ কারণে সরকার যতটা সম্ভব নগদ টাকা উঠিয়ে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডে নিয়ে আসছে। ক্যাশ টাকা ট্র্যাক করা কঠিন, যেখানে ডিজিটাল লেনদেনগুলো ব্যাংক সব সময় সংরক্ষন করে, যারা আসলে সরকারের হাত, চাইলেই কতৃপক্ষকে মানুষের সকল তথ্য দিয়ে দেয়।
ক্রিপ্টোর হাইপ বুঝতে পেরে, বুঝতে পেরেছে যে মানুষ ডিজিটাল কারেন্সির দিকে ঝুকছে, সরকার তার নাগরিকদের একই সুবিধা দেয়ার উদ্দ্যেশ্যে বড় বা ছোট আকারে ব্যাবস্থা গ্রহন করা শুরু করছে। কিন্তু ডিসেন্ট্রালাইজ্ড ক্রিপ্টোকারেন্সি না, যেগুলো এননিমাস বা ছদ্মনামী - তারা সেন্ট্রালাইজ্ড ক্রিপ্টোকারেন্সি অফার করতে চায়, এক ধরনের টাকা যা ট্র্যাক করা যাবে, যা আপনার রিয়েল নামের সাথে সম্পৃক্ত এবং যার দাম ফ্রি মারকেট এর পরিবর্তে সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে৷ যেমন ধরুন ভেনিজুয়েলার পেট্রো, রাশিয়ার ক্রিপ্টোরুবেল, জাপানের জে-কয়েন, চীন ইত্যাদি।
অবশ্যই
সরকারের ইস্যু করা ডিজিটাল কারেন্সি ক্রিপ্টোকারেন্সির সম্পূর্ণ বিপরীত এবং এদের মধ্যে ভেদাভেদ অনেক বেশী, যা সবগুলো গননা করাও কঠিন:
- ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো হলো ব্যাংক এবং সরকারের দাসত্ব
থেকে মানুষকে মানুষকে স্বাধীনতা দেয়ার জন্য, মধ্যাস্থতাকারী কে উঠিয়ে দিয়ে পিয়ার টু পিয়ার ট্রান্সফারকে সহজ করার জন্য;
সরকারের ইস্যু করা ডিজিটাল কারেন্সি বিশ্যস্ত তৃতীয় পক্ষ (ব্যাংক) এর ওপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে,
এগুলো মানুষকে কৃতদাস বানানোর জন্য বানানো জন্য , তাদেরকে স্বাধীনতার মোহ দেয়ার জন্য করা হয়েছে, প্রকৃত পক্ষে তারা নির্যাতিত;
- ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো এননিমিটি / ছদ্মনামি প্রোভাইড করছে এবং
ইউজাররা সেগুলোর প্রকৃত মালিক, কারণ তারা তাদের প্রাইভেট কী নিজের কাছে রাখছে; সরকারের বানানো ডিজিটাল মুদ্রা মানুষকে প্রাইভেট কী অফার করবে না, সেগুলো ট্র্যাক করা যাবে এবং সম্ভবত, মাইনিং করা যাবে না (এর পরিবর্তে, এটা ব্যাংক এর হাতে থাকবে);
-
মুদ্রাস্ফীতি এড়াতে (বেশিরভাগ) ক্রিপ্টোকারেন্সিতে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক কয়েন থাকে; সরকারের বানানো ডিজিটাল মুদ্রার কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকবে না, কারণ
সরকার ইনফ্লাসন চাইছে এবং ডিফ্লা্শন না, কারণ ইনফ্লাসন হল একটা পরোক্ষ ট্যাক্স যা অনেক মানুষ না জেনেই সাপোর্ট করছে। পরোক্ষ ট্যাক্স আরোপের তুলনায় জনগণকে প্রত্যক্ষ ট্যাক্স দিতে বাধ্য করা কঠিন; যদি পরোক্ষ ট্যাক্সও আদায় না হয়, সরকারের কাজ সহজ হয়ে যায়;
- ক্রিপ্টোকারেন্সির মান ট্রেডিং মারকেট এর মাধ্যমে নির্ধারিত হয় (বা, অন্তত, এভাবেই হওয়া উচিত; এখন হোয়েলদের নিয়ে না ভাবি);
সরকারের কারেন্সির মান দেশ প্রতিষ্ঠিত করে।এবং তালিকা আরো বড় হতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে, রাষ্ট্রের বানানো ডিজিটাল কারেন্সি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে একমাত্র মিল হল উভয়ই ফিয়াট অর্থ থেকে মুক্তি পেতে চায়। কিন্তু, স্পষ্টতই, সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে: ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো আসল সিস্টেমকে পরিবর্তন করতে চায়, যা গোড়াতেই দূর্নীতিগ্রস্থ, যেখানে সরকার সিস্টেমটা রাখতে চায়, কিন্তু একটি ভিন্ন ফিনান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে, যা মানুষকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের ভুল ধারণা দিবে।
ক্রিপ্টো নৈরাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা, সাইফারপাংক রা এই ভবিষ্যৎ অনেক আগেই দেখেছে।
আপনি যদি তাদের কেউ হয়ে থাকেন যারা সরকারের দুর্নীতিগ্রস্ত ফিয়াট মুদ্রা রিজেক্ট করেছেন, তাহলে সরকারের বানানো ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করে নিজেকে প্রতারিত হতে দেবেন না!উঠে পড়ুন, আপনার কাঁটাতারের বেড়া ছাড়া আপনার হারানোর কিছু নেই! (টিম মে,
দ্যা ক্রিপ্টো এনারকিস্ট ম্যানিফেসটো, ১৯৮৮)
[চলবে]