টানা তিন দিন বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকার পরেও বাংলাদেশ ভারতের কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হওয়ার পথে। আসলে বাংলাদেশ আমরা যতই সাপোর্ট করি না কেন বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতই খেলে। কখনো ক্রিকেট থেকে শিক্ষা নেওয়ার মতো কোন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে না। তাই বাংলাদেশের খেলা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ক্রিকবাজে বাংলাদেশ স্কোর দেখি। বাংলাদেশের খেলা দেখে মজা পাওয়ার মত কিছুই পাই না।
এই মুহূর্তে ভারতের সাথে সিরিজ পরাজিত হওয়া মানে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেবে। এমনিই এই টেস্ট ঘিরে দুই দেশের ভিতর রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে। আমরা নাকি সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করি এজন্য স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়া সাপোর্টারদের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। তারপরে বাংলাদেশ শোচনীয়ভাবে পরাজয় হওয়াটা কোনভাবেই শোভনীয় নয়।
বাংলাদেশের খেলা দেখতেও ইচ্ছে করে না আবার না দেখলেও ভালো লাগে না। যেহেতু বাংলাদেশের জন্ম নিয়েছি খেলাধুলার প্রতি আসক্ত তাই বাংলাদেশ দলকে সমর্থন করি। গত কয়েকদিন আগে পাকিস্তানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ভালো পারফরমেন্স করেছিল, সেই সুবাদে ভেবেছিলাম ইন্ডিয়া বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত 2-0 ব্যবধানে পরাজিত হয়ে হোয়াইটওয়াশ হলো।
দ্বিতীয় টেস্টে পরাজিত হবে এমনটা ভেবেছিলাম না, পুরোপুরি দুদিন খেলা স্থগিত ছিল আড়াই দিনের খেলায় বাংলাদেশ পরাজিত হয়ে গেল। আজকে ৫ ওভারের মধ্যেই চারটি উইকেট পড়ে গেল, দেখে মনে হল তারা খেলতে যায়নি ঘোড়ার ঘাস কাটতে গেছে। টেস্ট খেলা বড় পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে হবে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ১০-১২ রানের উপরে পার্টনারশিপ করতে পারেনা। টেস্টে একজন ব্যাটসম্যান ভালো খেললে স্কোর বড় হবে না, কয়েকজন ব্যাটসম্যানের ভালো খেলতে হবে। যদি বাংলাদেশের একজন ব্যাটসম্যান কোনমতে ভালো পারফর্ম করে আর বাকি সবাই ৫-১০-১৫-২০ করে করে আউট হয়ে যায়।
গতকালকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে জাকির হাসান যখন আউট হলো তখন হাসান মাহমুদকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হলো তিনিও দ্রুতই আউট হয়ে যায়। একজন বোলার কে কেন এক উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে পাঠানো হলো? এই সিদ্ধান্তটা মোটেও যুক্তিসঙ্গত ছিল না। তখন বাংলাদেশের উচিত ছিল একজন ব্যাটসম্যান মাঠে নামানো। বাংলাদেশের কাছ থেকে কখনোই বড় কিছু আশা করা উচিত নয়। বাংলাদেশের সমর্থক হিসেবে শুধু বারবার ছ্যাকা খেয়ে যাচ্ছি।
যাই হোক টেস্টে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হলো এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ কখনোই ইন্ডিয়াকে পরাজিত করতে পারবে না। বাংলাদেশর ব্যাটসম্যানরা টেস্টে টিকে থাকতে পারে না, দেখবেন যখন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে তখন টেস্টের মতো ব্যাটিং করবে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের হার্ট দুর্বল, আমি মনে করি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মনের মধ্যে ভয় নিয়ে মাঠে নামে। সামনে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়ে দেশে ফিরে আসবে।