আমি সাধারণত ট্রাস্ট ওয়ালেট ব্যবহার করি। কিন্তু আজকে রাত্রে একটি সিগনেচার ক্যাম্পেইন থেকে পেমেন্ট পেয়েছি কিন্তু সেই পেমেন্ট উইথড করতে গিয়ে উচ্চতর ফি এর সম্মুখীন হয়েছি। আমাকে কেউ একজন সাজেস্ট করেন কোন বিটকয়েন ওয়ালেট ব্যবহার করলে ট্যান সেকশন বা লেনদেন ফি একটু কম হবে। আপাতত ট্রাস্ট ওয়ালেট ব্যবহার করতে চাচ্ছি না।
বিটকয়েন অন চেইন লেনদেনে বর্তমানে ফি একটা চরম ইস্যু, যদিও এখন অনেকটা কমে এসেছে তবে, এইটার কোন স্থায়ী সমাধান নেই। যাই হোক, বিভিন্ন ওয়ালেট ভেদে আপনি হয়ত কিছু ফি কমাতে পারবেন তবে তার মানে এই না যে খুব বেশি ফি কমাতে পারবেন। এছাড়া, কিছু ট্রিকস আছে যেগুলো অনুসরণ করতে পারেন। আগেই বলে রাখি, ইলেকট্রাম ওয়ালেট ব্যবহার করাই শ্রেয় কারণ আপনি আপনার মন মত ফি দিতে পারবেন এইখানে।
১। সব ইনপুটকে একটা ইনপুটে রুপান্তর করে রাখাঃ একটা এড্রেসে কিংবা একের অধিক এড্রেসে আমরা যতবার বিটকয়েন রিসিভ করে থাকি সবগুলো এক একটা ইনপুট হিসেবে কাউন্ট হয়। একটা ট্রাঞ্জেকশনে যত বেশি ইনপুট এবং আউটপুট হবে, লেনদেনের সাইজ তত বৃদ্ধি পাবে। ফলস্বরুপ, আপনাকে বেশি পরিমাণ ফি দেয়া লাগবে। এর জন্য, আমরা যেটা করতে পারি- যখন ট্রাঞ্জেকশন ফি খুব কম থাকবে, মানে ১সাতোশি প্রতি বাইট, তখন আমরা সবগুলো ইনপুটকে কনসোলিডেট করবো মানে আপনার কাছে থাকা সব বিটকয়েন দিয়ে আপনার একই ওয়ালেটের যে কোন একটি এড্রেসে একটা ট্রাঞ্জেকশন ক্রিয়েট করবেন। এইটার মানে নিজের কাছে নিজেই বিটকয়েন পাঠানো। এতে অনেকগুলো ইনপুট একটা ইনপুটে রুপান্তর হবে এবং পরবর্তীতে যখন অনচেইন ফি বেশি থাকবে, আপনি খুব বেশি ফি দেয়া লাগবে না।
২। ট্রাঞ্জেকশনে আলাদা ইনপুট ব্যবহারঃ এইটা শুধু ডেস্কটপ ওয়ালেট যারা ব্যবহার করে তাদের জন্য প্রযোজ্য, মোবাইল ওয়ালেটে এই ফিচাওরটি নেই এখনো। ইলেকট্রাম ওয়ালেটে শো কয়েন অপশন চালু করুন। এইটা ভিউ অপশনে গেলে পাবেন। তারপর আপনার ওয়ালেট ইন্টারফেসে নতুন একটা অপশন দেখতে পাবেন কয়েন নামে। সেখানে ক্লিক করলে আপনি সব ইনপুট আলাদা আলাদা করে দেখতে পারবেন যেখান থেকে আপনি চাইলে যে কোন একটি ইনপুট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, এর লিমিটেশন হল আপনাকে ছোট এমাউন্ট পাঠাতে হবে। বড় এমাউন্ট পাঠাতে গেলে ঘুরেফিরে একই কথা হয়ে যাবে কারণ আপনাকে বেশি ইনপুট নির্বাচণ করতে হবে। যদি আপনার কোন ইনপুটে বেশি এমাউন্ট থাকে তাহলে সমস্যা নেই।
যাই হোক, প্রথম অপশনটা সবার অনুসরণ করা উচিত কারণ দ্বিতীয় অপশনটা শুধুমাত্র ডেস্কটপেই আছে।
বিটকয়েন নিয়ে অনেকেই অনেক ভবিষ্যতবানী করেছেন।
বালাজী শ্রীনিবাসন তিনি বলেছিলেন আগামী ৯০ দিনের ভিতরে ১ বিটকয়েন ১ মিলিয়ন ডলার হবে। অলরেডি ৬০ দিন পারি হয়ে গেছে আদো বিটকয়েন $৩৫k উপরে দেখতে পেলাম না। তার ভবিষ্যৎ বাণীর আর মাত্র ৩০ দিন বাকী আছে। সত্যি এতি অসম্ভব ৩০ দিনের ভিতরে ১ মিলিয়ন ডলার হবে।
সর্বশেষে বিটকয়েনের দাম কত হবে আজ পর্যন্ত কেউ সঠিকভাবে ভবিষ্যৎবাণী করতে পারবেনা যা একেবারেই অসম্ভব। তবুও অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন যারা আনুমানিক ভাবি ভবিষ্যৎবাণী করে থাকে। বালাজী শ্রীনিবাসন এই ভদ্রলোকের ভবিষ্যৎবাণী এটিই থেকেই বোঝা যায়। বিটকয়েনের সঠিক ভবিষ্যৎ বাণী কেউই করতে পারবে না।
বালাজী শ্রীনিবাসন এই বাজি লাগানোর মুল উদ্দেশ্য কিন্তু বিটকয়েন এর দাম নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করা নয়, তার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে বোঝানো ইউ.এস.ডি কতটা খারাপ পর্যায়ের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। হাইপার-ইনফ্লেশন খুব শীগ্রই দেখা যেতে পারে অর্থনীতিতে। আমাদের দেশের দিকেও যদি নজর দেন, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির হার অতিরিক্ত। খুব শীগ্রই জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে।
বালাজী অলরেডি এই বাজির টাকা পে করে দিয়েছেন। একই ইস্যু নিয়ে তিনি আরো একটি বাজি ধরেছিলেন। দুইটা বাজিই তিনি হার মেনে নিয়ে পে করে দিয়েছেন। এর মধ্যে টুইটার ব্যবহারকারী সম্ভবত তার পুরো কিংবা অর্ধেক টাকা কোথাও দান করে দিয়েছেন। আমি পরেছিলাম কিছুদিন আগে কিন্তু এখন খুজে পাচ্ছি না।