সাধারন প্রোয়োজনে যারা টিন-সার্টিফিকেট ওপেন করেছিলেন তাদের জন্যে এখন সেটি গলার কাটা হয়ে যাবে, একদিকে কিছু মানুষ চাচ্ছে যে দেখের মানুষ একটু সান্তিতে থাকুক , অন্যদিকে কিছু লোক করের সকল বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছেন সাধারন মানুষের উপরে, যারা নিম্ন বেতনে চাকরি করে তাদের আসলেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এখন। আর এই কর আরোপের কারনে অনেকেই এখন তাদের টিন সার্টিফিকেট বন্ধ করে দিবে । ফলে সরকার যে কর পেতো সেটিও হয়তো হারাতে পারে এগুলো বাস্তবায়োন হলে।
সমগ্রহ বিশ্বেই কর ব্যবস্থা বৈচিত্রময় হয়ে থাকে। এটি সাধারনত সেই দেশের সরকার সংশ্লিষ্ঠ সকলের সাথে বসে একটি সীধান্ত নিয়ে করের পরিমান নির্ধারন করে। যার কারেনে ভিন্ন ভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন হারে সেই দেশের মানুষের উপর কর আরোপ করে। উন্নত বিশ্বে ব্যেক্তিগত কর এবং ব্যাবসায়িক দুটি ভিন্ন হয়ে থাকে। কোন কোন দেশের করের মাত্রা প্রায় 50 শতাংশের কাছাকাছি হয়ে থাকে। আবার কিছু দেশ আছে সেখানে ব্যেক্তিগত কর প্রদান করা হয় না কিন্তু অ্যানান্য ক্ষেত্রে যেমন পন্য বা পরিসেবায় কর বেশি হয়ে থাকে। কোন কোন দেশে উচ্ছবিত্তদের জন্য একটি ধরনের কর এবং নিম্নদের জন্য আর এক ধরনের কর দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে।
বিভিন্ন দেশের ট্রাক্সের পরিমান একটি দেশের উন্নতির লক্ষ্যে কর প্রদান করা প্রতিটি নাগরিকেরই দায়িত্ব। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও এটি একই রকম হওয়া উচিত। কারন কর না দিলে সরকার দেশের উন্নয়ন করতে পারবে না। বিভিন্ন পরিসংখ্যান দেখলে সহজেই অনমান করা যায় বাংলাদেশ কর প্রদানে অনেক নিচের অবস্থানেই আছে। দেশের উন্নয়ন না হলে সাধারন নাগারিকদের অবস্থার উন্নতি হবে না। দেশ যখন আর্থিকভাবে শক্তিশালি হবে তখন দেশের মানুষ সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার যেটি ধারনা সেটি হল দুর্নিতি এমন একটি পর্যায়ে গিয়েছে যা এখন সাধারন মানুষের বুঝতে বাকি নেই। অনেক সরকারী প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে কাজ করতে গেলে ঘুস ছাড়া হয় না। মানুষের অতিরক্তি লোভ দেশটির একটি শক্ত কঠামো দুর্বল করে ফেলছে। আমরা প্রায়ই সরকারকেই শুধু দোষারোপ করে থাকি। কিন্তু একটি বিষয় আমাদের ভাবা উচিত যে একজন মানুষ যে দলেরই হোক তার দ্বারা পুরো একা সমালানো যাবে না। সে জন্য অন্যেদেরকে দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়। সেই দায়িত্ববান লোকেরা যদি দুর্নিতির সাথে সম্পুৃক্ত হয় তখন সরকারের পক্ষ্যে সব কিছু সমাধান করা সম্ভব হয় না। এজন্য প্রয়োজন ব্যেক্তিগত সচেতনতা। আমি এই কথা গুলো এজন্য বলালাম কারন আমি দেখেছি অনেকেরেই যথেস্ট আর্থিক ব্যবস্থা আছে অথচ তারা সরকারকে ট্রাক্স প্রদান করে না। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা নানা দুর্নিতির কথা তুলে ধরে। সেই সব কথা শুনলে অনেকেরই ট্রাক্স পে করার প্রতি নেতিবাচক ধারনা আসতেই পারে।
আমি ব্যেক্তিগতভাবে যা মনে করি ট্রাক্স পে করা উচিত সরকার যেটাই ধরুক আপনার সাধ্য অনুযায়ি যদি হয় তাহলে ট্রাক্স পে করেন। উন্নত বিশ্বের চেয়ে ট্রাক্স পে করারতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
তবে বর্তমানে অর্থনেতিক পরিস্থিতি বিশ্বের কোথাও ভাল নেই সেই হিসেবে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠা না পর্যন্ত নতুন করে কর বৃদ্ধি করলে জনসাধারনের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃস্টি হবে যা এই সময় উচিত নয় বলে আমি মনে করি কারন দ্রব্যমুল্য ইতমধ্যে দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে।