❓পাঁচশ কোটি ডলারের বেশি সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছে ধসের মুখে পড়া ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এফটিএক্স- এমনই দাবি করেছেন কোম্পানির এক আইনজীবি।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের এক দেউলিয়া আদালতে বুধবার দেওয়া তথ্য বলছে, ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জটির গ্রাহকদের ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
এফটিএক্স-এর সাবেক প্রধান স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রিডের বিরুদ্ধে ‘মহাকাব্যিক’ জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন দেশটির প্রসিকিউটররা, যার ফলে কোটি কোটি ডলারের ক্ষতির মুখে পড়েন বিভিন্ন বিনিয়োগকারী, গ্রাহক ও বিনিয়োগকারী।
আদালতে নিজের প্রথম হাজিরায় বিনিয়োগকারীদের ঠকানোর অভিযোগ অস্বীকার ও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ফ্রিড।
“আমরা পাঁচশ কোটি ডলারের বেশি নগদ অর্থ, তরল ক্রিপ্টোমুদ্রা ও তরল বিনিয়োগ পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি।” --ডেলাওয়্যার রাজ্যের দেউলিয়া আদালতের বিচারক জন ডরসিকে বলেন এফটিএক্স-এর আইনজীবি অ্যান্ডি ডায়েটডেরিচ।
ডায়েটডেরিচ আরও বলেন, পুনরুদ্ধার করা এই সম্পদের মধ্যে বাহামা দ্বীপপুঞ্জের ‘সিকিউরিটিজ কমিশনের’ জব্দ করা কোনো সম্পদ নেই। এই দেশেই এফটিএক্স-এর সদর দপ্তর অবস্থিত। আর গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফ্রিড এখানেই ছিলেন।
এফটিএক্স-এ ক্ষতির মুখে পড়া বিভিন্ন গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীর নাম এখনও আদালতের শুনানিতে না এলেও, মার্কিন রাগবি তারকা টম ব্রেডি ও তার সাবেক স্ত্রী জিসেল বুন্ডশেন এবং রাগবি দল ‘নিউ ইংল্যান্ড পেট্রিয়টস’-এর মালিক রবার্ট ক্রাফটের নাম উঠে এসেছে আদালতে জমা দেওয়া নথিতে।
ডিসেম্বরে বাহামা থেকে গ্রেপ্তার হন ৩০ বছর বয়সী ফ্রিড। পরবর্তীতে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সমর্পণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে ‘মার্কিন ইতিহাসে অন্যতম শীর্ষ অর্থ জালিয়াতির’ অভিযোগ তোলে দেশটি।
এক বছর আগেও এফটিএক্স-এর মূল্যমান ছিল তিন হাজার দুইশ কোটি ডলার। তবে, ১১ নভেম্বর কোম্পানিটি ‘চ্যাপ্টার ১১ দেউলিয়া সুরক্ষা’র জন্য আবেদন করে। অনুমান বলছে, কোম্পানির গ্রাহক তহবিল থেকে আটশ কোটি ডলার হারিয়ে গেছে।
ফ্রিডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সম্পত্তি কেনার পাশাপাশি নিজের আরেক ক্রিপ্টো ফার্ম ‘আলামেডা রিসার্চ’কে গ্রাহকের তহবিল দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ।
সোর্স:
https://bangla.bdnews24.com/tech/yi2ca54d3r