পিটুপি এর মূল কাহিনী
বিটকয়েন লেনদেন বাংলাদেশের জন্য অবৈধ। এখন আমি বাইনানছে P2P মাধ্যমে ডলার লেনদেন করি।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে? -
আমি যে বাইনানছে P2P এর মাধ্যমে ডলার লেনদেন করি প্রশাসকের লোকেরা কিভাবে বুজবে?
সহজ হিসাব, সরকার চাইলেই যেকোনো ওয়েবসাইটের তথ্য সেই ওয়েবসাইটের মালিক থেকে নিতে পারবে। আর কোনো ওয়েবসাইট তথ্য দিতে না চাইলে সেই ওয়েবসাইটের ডোমেনকে বাংলাদেশে ব্লক করে দেওয়া হয় এবং ভিপিএন ছাড়া সেই ওয়েবসাইট ব্যবহার করা সম্ভব হয় নাহ। এখন আসা যাক, পিটুপি লেনদেনের কাহিনীটা নিয়ে। সরকার মূলত তাদেরকে ধরতেছে, যারা অবৈধ লেনদেনের সাথে কোনো নাহ কোনোভাবে জড়িত আছে। যেহেতু এটি এখন সকলের মাথাব্যাথার কারণ, আজকে আপনাদেরকে কিছু বিষয় সকলের জন্য শেয়ার করতেছি।
প্রথম কারণ: বাংলাদেশের অনেকেই বিভিন্ন গেমের ডায়মন্ড কিংবা ইউসি বিক্রি করে, এখন লাখপতি হয়েছে। আমার নিজের এক বন্ধুও তাদের একজন, যে প্রতিবছর প্রায় iPhone পরিবর্তন করে। এখন আসি মূল কাহিনীতে, বিভিন্ন গেমের টপআপ, যেমন: Free Fire গেমের ডায়মন্ড টপআপের জন্য Shell ক্রয় করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি অনেকে পিটুপি থেকে USDT ক্রয় করে এবং এরপর বাহিরের দেশ থেকে Shell ক্রয় করে। কিন্তু এটি মূলত অবৈধ, কেননা এটি এক ধরনের হুন্ডি হয়ে যাচ্ছে আর সরকার সেটি থেকে কোনো কর আদায় করতে পারতেছে নাহ। আর যারা এমন ধরনের লেনদেন করে, তারা প্রতিদিন প্রায় সর্বনিম্ন ১০০০ ডলারের লেনদেন করে, তাহলে ভাবেন কি পরিমাণ লেনদেন হয় সারা দেশ থেকে। আর এখন থেকে তো সরকার কোনো ধরনের কর/ভ্যাট পাইতেছে নাহ। তাই যারাই এমন কোনো লেনদেনে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদেরকে সরকার ধরতেছে।
দ্বিতীয় কারণ: একটি খবর দেখলাম যে, সরকার সকল অবৈধ ইউএসডি (USD) কিংবা ফরেক্সে ডলার লেনদেনকারীকে আইনের আওতায় আনবে। অনেকে হয়তো একটি বিষয় জানে নাহ যে, বিভিন্ন ফরেক্স ব্রোকার কিংবা বাইনারি ট্রেডিং প্লাটফর্মগুলো ( IQ option, expert option, binomo etc) কিভাবে বাংলাদেশে বিকাশ অথবা নগদে উইথড্র দেয়। তাদের জন্য এই বিষয়টি:
ফরেক্স ব্রোকার কিংবা বাইনারি ট্রেডিং প্লাটফর্মগুলো সাধারণত ৩য় কোনো একটি কোম্পানির সহযোগিতা নেয়, লোকাল কারেন্সির উইথড্র দেওয়ার জন্য। আর এই ৩য় কোনো কোম্পানি শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং অনেকে দেশের লোকাল উইথড্র দেওয়ার জন্য সার্ভিস প্রদান করে। কিন্তু সেটি অবৈধ উপায় করে। আসল কাহিনী হলো, ৩য় কোম্পানি প্রত্যেক দেশ থেকে বিভিন্ন এজেন্টকে লেনদেনের অফার দেয়। যদি বাংলাদেশের কথা বলি, তাহলে ওই ৩য় কোম্পানি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিকাশ, নগদ, উপায় এজেন্টকে অফার দেয় যে, আপনি আমাদের উইথড্রগুলো সম্পন্ন করবেন এবং আপনাকে একটি নির্দিষ্ট শেয়ার/পার্সেন্টেজের অর্থ প্রদান করা হবে। আর এই শেয়ারের পরিমাণ সাধারণ বিকাশ কিংবা নগদ কিংবা উপায়ের ক্যাশআউটের ফি থেকে অনেক বেশি। এতে অনেক এজেন্ট লোভে পড়ে, তাদের সঙ্গে কাজ শুরু করে এবং তাদের উইথড্রগুলো সম্পাদন করে।
আর এভাবেই বিভিন্ন ফরেক্স ব্রোকার কিংবা বাইনারি ট্রেডিং প্লাটফর্মগুলো ৩য় কোনো কোম্পানির সহযোগিতায় বিকাশ/নগদ/উপায়ে উইথড্র টাকাতে দিয়ে থাকে। তাহলে ভাবুন, এখানেও কিন্তু সরকার তাদের কর/ভ্যাট থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ ফরেক্স কিংবা ইন্টারন্যাশনাল ডলার ক্রয়ের নিয়ম রয়েছে এবং সরকার কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোই এসব লেনদেন করতে পারবে। তাই সরকার সেসব এজেন্টকে ধরতেছে, যারা এমন পিটুপি সার্ভিস বিভিন্ন ফরেক্স ব্রোকার কিংবা বাইনারি ট্রেডিং প্লাটফর্মকে প্রদান করে থাকে।
এসব ছাড়াও আরো অন্যান্য অনেক কারণ আছে, তবে আমার মতামত অনুযায়ী এই দুইটাই প্রধান কারণ।
আমি মনে করি প্রশাসনের লোকদের এটা প্রত্যক্ষ বা সরাসরি বোঝার কোনো সম্ভাবনা নাই কিন্তু আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রানজেকশন এর পরিমাণ যদি অনেক থাকে তাহলে ইনভেস্টিগেশন করতে পারে।
আরেকটা উপায় ধরতে পারে সেটা হল ধরুন প্রশাসনের লোকরাই বাইনান্স একাউন্ট খুলে পি টু পি অর্ডার দিতে পারে এভাবে আপনাকে ধরতে পারবে । মূল কথা হলো তারা ধরতে চাইলে বা বুঝতে চাইলে এখানে অসম্ভবেরও কিছু নাই .
আপনার ধারণা ভুল, সরকার সবকিছুই তদারকির মধ্যে রাখে, কিন্তু ততক্ষণ কোনো কিছূ করে নাহ যতক্ষণ কেউ অবৈধ কোনো কাজ কারবার করতেছে। আমি উপরে লিখেছি, সেটি পড়লে বুঝতে পারবেন।