গত দুই বছর ধরে ডলারের দাম স্থির রয়েছে। ২০২২ সালের অগাস্টের শুরুতে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৯৫-৯৮ টাকা। কিন্তু পঁাচই আগস্ট থেকে ডলারের দাম আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে। আজকে আগস্টের ১০ তারিখ এখন ১ ডলারের দাম আছে ১১৭.৭০ টাকা।
২০২২ সালের শুরু থেকে ডলার এর দাম ক্রমানুসারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে তখন দাম ছিল ৯০-৯২ টাকা করে ।তার কিছু দিন পর আবার দাম কমে যায় । ৯০-৯৫ টাকায় অনেক দিন স্থির থাকে । মে মাস এর শুরু থেকে ১০০+ টাকা হয়ে যায় । ৩-৪ দিন পর আবার ৯৬-৯৮ টাকা তে চলে আসে ।
আর ডলার এর দাম হুট করে বেড়ে যায় জুলাই এর ২৬-২৭ তারিখ থেকে।
আসলে এটির মুল কারণ ছিল মুদ্রাস্ফীতি, কেননা জুন মাসের মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ গত এক যুগে ইউএসএ-এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছিল। এইজন্য এমনটা হয়েছি, আমি যতটুকু জানি। তবে ভালো বিষয় হলো, আগামীকাল জুলাই মাসের মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ প্রকাশ করা হয় এবং সেটি জুন মাসের তুলনায় অনকে কম। আর এই কারণেই কালকে সন্ধ্যায় মার্কেট পাম্প করেছিল।
তাই বলা যায় ডলার এর দাম বৃদ্ধি পায় না বরং আমাদের দেশের টাকা এর মান কমে যায়।
এটিই হলো আসল বিষয়, কিন্তু অনেকে এর বিপরীতটা বুঝে থাকে। যাই হোক আমেরিকা/ইউএসএ যেহেতু পৃথিবীর শীর্ষ দেশগুলোর একটি এবং ডলার/ইউএসডি-কে বৈশ্বিকভাবে ব্যবহৃত সর্বোচ্চ মুদ্রা, তাই সকলেই এটির সাথে নিজ দেশের মুদ্রাকে তুলনা করে। বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশের তুলনায় মুদ্রার মানে এগিয়ে ছিল, কেননা ভারত, পাকিস্তানে তাদের মুদ্রার মূল্য ডলারের সাপেক্ষে আগে থেকেই অনেক কম।