কারন বিটকয়েন কখনোই মানি আদান প্রদানে সরকারকে কোন নিরাপত্তা দেয়না। তাই এটা যে কোন সরকারের জন্য নিরাপত্তাহীন একটা মাধ্যম।
আমি বলব এই মতামতে আপনি অবশ্যই ভুল কেননা সার্বজনীন ভাবে চিন্তা করলে বিটকয়েন এর নিরাপদ বিনিময় সুবিধা আমাদের কিছু ক্ষেত্রে সমাধান দিলেও একটি সরকার ও দেশকেই নিমিষেই বিপদে ফেলতে পারে এই বিটকয়েন। আর এটা হতে পারে কালো টাকার একটি নিরাপদ সঞ্চয়ের মাধ্যম, হতে পারে মানি লন্ডারিং এবং আরো অনেক কিছুই। তাই আমি বলব বিটকয়েনকে বৈধ করার আগে অবশ্যই আগে সরকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিটকয়েনকে অবৈধ করেও তো সরকার মানি লন্ডারিং থামাতে পারবে না। তবে যদি বিটকয়েনকে বৈধ করে ও নিয়মকানুন দ্বারা মনিটরিং করে, তাহলে এখন যতটা মানি লন্ডারিং হচ্ছে সেটির পরিমাণ অনেকাংশে কমানো যাবে। যদি আপনার মনে প্রশ্ন জাগে কীভাবে? তাহলে এখন বাস্তবিক একটি উদাহরণ দিচ্ছি।
" অনেক ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এই পর্যন্ত হ্যাক হয়েছে। হ্যাক হওয়ার পর সেই এক্সচেঞ্জটির সিইও দ্রুত একটি খোলা চিঠি অন্যান্য সকল এক্সচেঞ্জের সিইওদের কাছে পাঠানো। আর চিঠি সকলকে অনুরোধ করা হয় যেন, হ্যাকারের ব্যবহার করা এড্রেস থেকে যদি কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সি তাদের এক্সচেঞ্জে ডিপোজিট করে ,তাহলে সেই ফান্ডগুলোকে যেন ফ্রিজ/লক করে দেওয়া হয়। এতে হ্যাকাররা হ্যাক করেও কোনো কিছু পায় না । কারণ হ্যাকারদেরকে অবশ্যই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ফিয়েট/এসটাবেল কারেন্সিতে পরিবর্তন করতে হয়। তা না হলে হ্যাক করে কোনো লাভ নেই, কেননা সকল এক্সচেঞ্জ হ্যাকারের ওয়ালেটকে ব্লক করলে কোথায় হ্যাকার সেটি ফিজিক্যাল মানিতে রপান্তর করবে।
ঠিক একইভাবে সরকার মানি লন্ডারিংকে কমাইতে পারবে। এখানে মানিলন্ডারিংদের উদাহরণের হ্যাকার এবং সরকার উদাহরণের এক্সচেঞ্জের সিইওএর মতো কাজ করবে। ফলে যারা মানি লন্ডারিং করবে, তাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি বাস্তবিক টাকা/ডলারে রপান্তর করতে না পারায় মানিং লন্ডারিং কম করবে। কারণ তারা তাদের উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না। আর মানি লন্ডারিং সবাই জানি , কিন্তু এটি কেন হয়? সেটি অনেকে জানে না বা জানতে ইচ্ছুকও না এবং বিটকয়েন দিয়ে মানি লন্ডারিং হয় , এই বিষয়টি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমি মানিলন্ডারিং একটিমাত্র কারণ দিচ্ছি।
মানিলন্ডারিং এর সহজ একটি কারণ: অনেকে বাহিরের দেশে পড়ালেখা করে এবং বাংলাদেশ থেকে টাকা অন্যদেশে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য কমপক্ষে ১ সপ্তাহ লাগে। কিন্তু যাদের তাৎক্ষণিক অর্থের প্রয়োজন হয়, তারা এই দেরি ট্রানজেকশনের কারণে বিপদে পড়ে। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে অনেক লোক বিটকয়েনে লেনদেন করে। ফলে একদিনকে দ্রুত বিদেশে শিক্ষার্থী অর্থ পায় এবং মানিলন্ডারিং এর ঘটনা হচ্ছে ও অন্যদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এখন যদি বলেন, এটি সরকার কীভাবে থামাবে? তাহলে এর উত্তর সহজ এবং সেটি হলো, সরকার নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি করবে যেমনটা চীন ইতিমধ্যে উদ্দ্যোগ নিয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় হবে এবং সকলে উপকৃত হবে।