জীবনে সুখি থাকতে চাইলে, সুস্থ থাকতে চাইলে, মায়ের দোয়া ক্রিকেট টিমের খেলা দেখা বন্ধ করুন।
লাইফ প্যারাহীন, ফুরফুরা।
ঈদের দিন সকাল বেলা শরীর খুব একটা ভাল ছিল না, তবুও বাংলাদেশের যেহেতু খেলা ছিল তখন ঘুম থেকে উঠেই খেলা দেখতে শুরু করেছিলাম। প্রথম কয়েক ওভারের মধ্যে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের সকল ব্যাটসম্যান আউট হয়েছে। তখন খেলা দেখার মন মানসিকতা নষ্ট হয়েছিল। এমনিতেই শরীর ভালো ছিল না বাংলাদেশের খেলা দেখে শরীরটা আরো খারাপ হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক তানজিম হাসান সাকিব তিনি অসাধারণ বোলিং করে নেপাল কে চাপে ফেলে দিয়েছিল। তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত বোলিং পারফরমেন্সের কারণে বাংলাদেশ জিততে পেরেছে।
আসলে নেপালের মত দলে বিপক্ষে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের দোষ দিব। নেপালের বোলাররা সাউথ আফ্রিকার মত শক্তিশালী বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে থাকতে দেয় নাই। ঠিক বাংলাদেশের একই অবস্থা হয়েছিল। যাইহোক তবুও বর্তমানে বাংলাদেশের স্কোয়াডে কিছু কিছু খেলোয়ার রয়েছে, যাদের দেখলে আমার খুবই বিরক্তিকর মনে হয়। হ্যাঁ এটা মেনে নেওয়া যায় একজন ব্যাটসম্যান প্রত্যেকদিন রান করতে পারেনা। কিন্তু আমাদের মায়ের দোয়া ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত চার ম্যাচের মধ্যে কোন ম্যাচে দেখলাম না তিনি ১০-১২ রানের বেশি করেছে। অন্য একজন খেলোয়াড় লিটন কুমার দাস তিনিও বর্ধমানে ফর্মে নেই। নাজমুল হোসেন শান্তর মত ব্যাটসম্যানরা শুধু দলকে চাপে ফেলে দিতে জানে কিন্তু কখনো দলকে চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে ভালো ব্যাটিং করতে পারে না। নাজমুল হোসেন শান্তর স্ট্রাইক রেট আমার মনে হয় না ৭০-৮০ বেশি রয়েছে। এ ধরনের খেলোয়ারদের দলে সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। অধিনায়কই যদি ভালো করতে না পারে, তাহলে তিনি দলের কী নেতৃত্ব দিবেন?
যাইহোক বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইন খুবই দুর্বল, টি-টোয়েন্টি খেলার মত হার্ট হিটার ব্যাটসম্যান নেই বললেই চলে। বাংলাদেশ জিতেছে বোলিং পারফরমেন্সের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের বোলিং লাইন খুবই শক্তিশালী। ভেবেছিলাম না বাংলাদেশ সুপার ৮ যেতে পারবে কিন্তু বাংলাদেশ সুপার ৮ উঠতে পেরেছে। দোয়া করি আমাদের মায়ের দোয়া ক্রিকেট টিম যেন সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে।