হ্যাঁ ভাই আমি এটাই জানতে চাচ্ছিলাম। প্রথমত আমি হেবি ইউজার, ধরেন ভারি ভারি জিনিসই চালাবো, সবসময় হয়তো না বাট যখন চালাবো তখন ল্যাগ ফ্রী হলেই এনাফ। ২য় ঘনঘন ঘুরিনা, তবে মাঝে মাঝে, বাহিরে নেয়ার দরকার পড়লেও পড়তে পারে। শপের লিংকটা দিয়েনতো থাকলে! আমার পরিচিত অনেকেরই এমন সপ দিয়ে কিনতে দেখছি। ৩০-৪০ হাজারে দেখি সেই সেই কনফিগ, আবার অনেকগুলোতে দেখছি গ্রাফিক্স কার্ডও (2GB) আছে। তবে এগুলো কেমন হয় যদি একটু ফিডব্যাক দিতেন! কোনো রকম ইস্যু পাইছেন কখনো? আর চার্জ কেমন থাকে।
শেষে আমার একটাই কথা, যেহেতু আমার কয়েক বছর ইউজ করা লাগবে তাই নিলে, হাই কনফিগের টাই নিবো। হোক সেটা কাস্টম পিসি বা নতুন বা রিফাবরিসড্ ল্যাপটপ।
বিষয়টা হচ্ছে গিয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজারের মধ্যে hp এর elite book ল্যাপটপ গুলোর মধ্যে নিতে পারেন তাছাড়া রয়েছে লেনোভো থিন প্যাড , আমি নিজেও hp এর elite book এর g সিরিজের একটি ল্যাপটপ ইউজ করি। আমার মূলত হাই কনফিগারেশনের একটি পিসি রয়েছে তারপরেও ঘরের বাহিরে বা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ঘুরতে গেলে টুকিটাকি কাজ যখন করতে হয় তখন এই ল্যাপটপের মাধ্যমে সামাল দেই।
মূল কথায় আসি আপনি চাইলে ৩০০০০ এর মধ্যে hp elite book G5 16gb 512gb এর মডেলটি নিতে পারেন আমি আমার এক ফ্রেন্ডকে কিনে দিয়েছি তার ছয় মাস যাবত কোন সমস্যা হয়নি তাছাড়া। বাজেট আর একটু বাড়ালে লেনোভো থিন প্যাড গুলো নিতে পারেন, এটাও আমি আমার আরেক ফ্রেন্ডকে থেকে কিনে দিয়েছি এখনো পর্যন্ত ওর কাছ থেকে কোন সমস্যা শুনতে পাইনি।
তবে মূল কথা হলো এগুলো সব প্রজেক্ট থেকে ল্যাপটপ আসে প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পর ল্যাপটপ গুলো সেল দিয়ে দেওয়া হয় তারপরে এগুলো বায়াররা কিনে রিকন্ডিশন করে। মূল কথা আপনি দেখবেন ল্যাপটপটি একদম নতুনের মতন কিন্তু মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ করলে একদম নতুনের মতন কালার করা যায় আপনি বুঝবেনই না কিন্তু ৪-৫ মাস ইউজ করার পর বুঝবেন সেই রংগুলো হালকা হালকা করে উঠে যাচ্ছে। তবে পারফরমেন্সের কথা বলতে গেলে খারাপ না যদিও ইলেকট্রনিক্স জিনিসের কথা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় না।
তাছাড়া আরেকটি বিষয় বলতে চাই যে যখনই ল্যাপটপ কিনতে যাবেন তখন ল্যাপটপটির প্রসেসরের মডেলের পিছনে কোন আলফাবেট রয়েছে এটা খেয়াল করবেন, যেমন সাধারণত U/P/H থাকে
এখন বুঝবেন কিভাবে আপনার জন্য কোনটা প্রয়োজন, সেটা হল যে প্রসেসর এর মডেলের পিছনে U সেটি ছোটখাটো হালকা কাজের জন্য ব্যবহার করা যায়।
আর যে প্রসেসর এর মডেলের সাথে P রয়েছে সেগুলো মূলত মোটামুটি চাপ সহ্য করার মতন ল্যাপটপ।
আর যেগুলোর সাথে H থাকে সেগুলো হাই পারফরমেন্স দেয় সেগুলো আপনি মোটামুটি ভারি কাজ ভিডিও এডিটিং এবং গেমিংও করতে পারবেন।
তবে ৩০ থেকে ৪০ কে বাজেটের মধ্যে U এর উপরে পাওয়া খুবই টাফ, আমার মনে হয় না পাবেন।
তাইলে
এখান থেকে আরো বিস্তারিত দেখতে পারেন,
Ali Hossain এর একটি ভিডিওতে এর সম্পর্কে প্রথম জেনেছিলাম(যদিও ভিডিওটা এখন খুঁজে পেলাম না), কিন্তু মজার বিষয় হলো কি ভিডিওটা দেখেছিলাম ল্যাপটপটি কেনার পরে, আর দেখি সাথে U লাগানো।
কিন্তু এই ফোরাম রিলেটেড নানান কাজগুলো ইমেজ এডিটিং থেকে শুরু করে ওয়েব ডেভেলপিং মোটামুটি সবকিছুই রান করতে পারবেন কষ্ট হবে না বেশি। কারণ আমি নিজেও করে থাকি।