ক্রিপ্টো কারেন্সি বৈধ হলে আমরা কিছু সুযোগ সুবিধা নিশ্চই পাইতাম, তবে কে চায় নিজের পকেট থেকে টাকা খোয়াতে? আমি ফোরামে এমন অনেক গ্লোবাল মেম্বারদেরকে দেখেছি তাদের ভ্যাট ট্যাক্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করতে। জোকার জস্যু একতা থ্রেড এ বলতেছিলো যে তার দেশে ক্রিপ্টো প্রফিটের ওপর ২৮% ভ্যাট দিতে হয়। তো সেখানে আমি বলছিলাম যে ২৮% ভ্যাট আসলে অনেক বেশি। আমি আমার ইনকামের ওপর ১৫% এর ওপর ভ্যাট দেয়া কল্পনাই করতে পারি না। সেখানে লয়সে পোস্ট করলো যে, যদি সে অন্তত ২৮% ভ্যাট দিতে পারতো! তার মানে বুঝতে পারলেন? তার দেশে হয়তো সেই ভ্যাটের পরিমান আরো বেশি। উন্নত দেশগুলোতে যদি ভ্যাট ট্যাক্স এর পরিমান এরকম হয়, তাহলে আমাদের দেশের মতো থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি তে সেই পরিমান টা কতো হতে পারে ভেবে দেখেন। সরকার চাইলে কিন্তু ক্রিপ্টোর বৈধতা দিতে পারে, তবে এতে করে সরকার মহলের অনেক বড় বড় নেতারাও ফেসে যাবে। কারন তারা নিজেরাও বিটকয়েন ইউজার।
আমাদের বাংলাদেশে বিটকয়েন বৈধতা দিলে আমরাই অনেক ঘাটতিতে পড়ে যাব, আমাদের ইনকাম থেকে অতিরিক্ত ট্যাক্স গুলো প্রদান করতে হবে যেহেতু আপনি উন্নত বিশ্বে 28%+ এর উল্লেখ রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশ ৪০%-৫০% মতো প্রদান করতে হবে।
এবং আমাদের দেশে দুর্নীতির সংখ্যাও বেড়ে যাবে প্রকাশ্যে দুর্নীতি করলেও বিচার করার লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই হাজার হাজার কোটি টাকা এই বিটকয়েনে যদি দিয়ে রাখে তাহলে কারো ধরার মতো সুযোগ নাই। কিন্তু তাদের ট্যাক্স এর পরিমাণও দিবেনা সমস্যা হবে সাধারণ জনগণের কারণ তাদের ওপর সমস্ত ভ্যাট গুলো আরোপ করবে।
তবে আমরা এই অবস্থায় অনেক ভালো আছি কারণ বিটকয়েন গোপনে ব্যবহার করে কোনরকম ব্যর্থ প্রদান করতে হয় না। আমাদের বাংলাদেশ বিটকয়েন বৈধতা দিলেই এমন সুযোগ পাওয়া যাবে এবং বৈধতা না দিলেও এমন সুযোগ পাওয়া যাবে। তাই বৈধতা না দেওয়াই আমি উপযুক্ত মনে করি।