তাপরুট এর আলাদা কি ফিচার আছে এবং এর সুবিধা কি?
সুবিধা অসুবিধা দুইটাই আছে। যদিও আমি নিজেও খুব বেশি কিছু জানি না কিভাবে কাজ করে এইটা, তবে ব্যাসিক নিয়ে দুই লাইন বলছি।
আমরা যে লেনদেনগুলো বিটকয়েন দিয়ে করে থাকি সেগুলোর ফি নির্ভর করে উক্ত ট্রাঞ্জেকশন এর ইনপুট এবং আউটপুট এর উপর। একটা ট্রাঞ্জেকশনে যত বেশি ইনপুট কিংবা আউটপুট থাকবে, সেই ট্রাঞ্জেকশনের ফি তত বেশি হবে।
তবে, আমরা যদি বিটকয়েন গ্রহণ করার সময় তাপরুট(Taproot) এড্রেস ব্যবহার করি, তাহলে পরবর্তীতে পাঠানোর সময় ফি কিছুটা কম লাগবে। ধরুন একটা ট্রাঞ্জেকশনে ৫টা ইনপুট আছে এবং ১ টা আউটপুট আছে। সেক্ষেত্রে ইনপুটগুলো যদি তাপরুট এড্রেস থেকে হয় তাহলে ফি তুলনামূলক কম লাগবে (অন্যান্য এড্রেস হলে যা লাগতো তার চেয়ে কম)।
আবার তাপরুট এড্রেস থেকে আপনি ১টা ইনপুট থেকে যদি অনেকগুলো আউটপুট ক্রিয়েট করেন, তাহলে ন্যাটিভ সেগউইট এড্রেস থেকে একই কাজ করতে যে পরিমাণ ফি লাগতো, তাপরুটে আরো বেশি লাগবে।
সহজ কথায়, বেশি ইনপুট হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তাপরুট এড্রেস ব্যবহার করা শ্রেয়। পক্ষান্তরে, আপনাকে যদি একটা ট্রাঞ্জেকশনে অনেক মানুষকে বিটকয়েন পাঠাতে হয়, তাহলে ন্যাটিভ সেগউইট ব্যবহার করাই শ্রেয়।
এছাড়াও তাপরুট নাকি প্রাইভেসি বৃদ্ধি করে যদিও এই মেকানিজমের বর্ণনা আমি কোথাও পাই নি। বিস্তারিত পড়ার সময় পাচ্ছি না, এইটা একটা লং ডিউ আমার জন্য। পড়বো পড়বো করেও পড়া হচ্ছে না সময়ের অভাবে।
আশা করি যতটুকু শেয়ার করেছি ততটুকু বুঝতে পেরেছেন।
কিছু ইউজার এইখানে এতটা যাচ্ছেতাই পোস্ট করছেন যেগুলো আসলে এইখানে শেয়ার করার মানেও হয় না। আমি ধীরে ধীরে লোকাল বোর্ডের এইরকম বাজে পোস্ট যারা করছেন তাদের ইগ্নোর করার চেষ্টা করছি। আশা করি এই লিস্ট খুবই ছোট হবে।