লেখক: GazetaBitcoinমেইন টপিক: 12 years later and people still don't know to use Bitcoin nor what it's good for
বিটকয়েন চালু হওয়ার ১২ বছর পার হয়ে গেছে। এখনও, বেশিরভাগ লোকের কোন ধারণা নেই যে এটা কীভাবে ব্যবহার করা উচিত, বা বিটকয়েন কেনো ভাল। ইউজারদের অধিকাংশই এর ন্যাচার গুলিয়ে ফেলে, বিটকয়েনকে ব্যাংক এবং সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেঞ্জের সাথে ব্যবহার করে, এর স্বাধীনতাবাদী এবং ক্রিপ্টো-নৈরাজ্যমূলক ভিত্তি সম্পর্কে কোন ধারনা নেই।
এটা না বুঝেই যে বিটকয়েন এখানে তাদেরকে ব্যাংক এবং সরকার থেকে অধীনতা এড়াতে সাহায্য করছে, মানুষ নিজেদের দাসত্ব করার জন্য সবকিছুই করছে, ধনীদের জন্য একটি সহজ কাজ যার জন্য তারা হাজার হাজার বছর ধরে নিপীড়ন করে আসছে।
১২ বছর আগে সাতশী মাবনতার কাছে অতি মূল্যবান একটা টুল নিয়ে আসে, যেটা তাদের মুক্ত করেছিলো। চলুন দেখা যাক কিভাবে তিনি তার আবিস্কার বর্ণনা করেছেন:
ইলেকট্রনিক ক্যাশের পিউর পিয়ার-টু-পিয়ার ভার্শন যা দিয়ে কোনো ফিনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে না গিয়ে সরাসরি একজনের কাছ থেকে অন্যজনের কাছে অনলাইন পেমেন্ট পাঠানো যাবে
ইন্টারনেটে ব্যাবসায় ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্রক্রিয়া করার জন্য বিশ্বস্ত থার্ড পার্টি হিসাবে কাজ করে এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর প্রায় একচেটিয়াভাবে নির্ভর করে। যদিও সিস্টেমটি বেশিরভাগ লেনদেনের জন্য যথেষ্ট ভাল কাজ করে, এটা এখনও বিশ্বাস-ভিত্তিক মডেলের অন্তর্নিহিত দুর্বলতাতে ভুগছে।
সম্পূর্ণভাবে নন-রিভারসিবল লেনদেন আসলে সম্ভব নয়, যেহেতু আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি মধ্যস্থতাকারী ডিসপুট এভোয়েড করতে পারে না। মধ্যস্থতার খরচ লেনদেনের খরচ বাড়ায়, ন্যূনতম লেনদেনের আকারকে লিমিট করে এবং ছোট ক্যাজুয়াল লেনদেনের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়, এবং নন-রিভারসিবল সারভিসের জন্য নন-রিভারসিবল পেমেন্ট করার এবিলিটির ক্ষেত্রে একটি অনেক খরচ আছে। রিভারসাল সম্ভাবনার সাথে, বিশ্বাসের প্রয়োজন ছড়িয়ে পড়ে।
[...]
যা প্রয়োজন তা হল বিশ্বাসের পরিবর্তে ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রুফ এর উপর ভিত্তি করে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম, যে কোনো দুই ইচ্ছুক পক্ষকে কোনো বিশ্বস্ত তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন ছাড়াই একে অপরের সাথে সরাসরি লেনদেন করা যায়। যে লেনদেনগুলি কম্পিউটেশনালি রিভার্স করা অসম্ভব যা বিক্রেতাদের প্রতারণা থেকে রক্ষা করবে৷ [...]তিনি এমন একটি পদ্ধতির প্রস্তাব করেছেন যার মাধ্যমে লোকজন সরাসরি লেনদেন করতে পারবে,
পিয়ার-টু-পিয়ার, কোনো থার্ড পার্টি কে এড়িয়ে, সেটা যাই হোক না কেন - সরকার, ব্যাংক অথবা অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী।
সাতোশি বিটকয়েন আবিস্কার করেছিলেন এবং এটি বিনামূল্যে দিয়েছিলেন মানুষের আর্থিক স্বাধীনতা পেতে সাহায্য করার জন্য, কিন্তু মানুষ, বিনিময়ে, সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ বানিয়েছে, নিজেদেরকে দুঃখী দাস হিসেবে থাকতে "সহায়তা" করেছে। এটা এমন একটি জিনিস যা আমাকে অন্যান্য স্মরণীয় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা মানুষকে সাহায্য করার জন্য ছিল, কিন্তু অবিলম্বে তা আবিস্কারের পরে অন্যরা উপস্থিত হয়েছিল এবং তাদের অস্ত্র তৈরি করেছিল। দৃশ্যত, যদি মানুসের ক্ষতি করার জন্য কেউ না থাকে,
তবে মানুষ নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করার জন্য বেছে নেয়।
এগুলো পড়ার পর অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন: “সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ ব্যবহার করলে সমস্যা কি? তারা আমার টাকা রাখে এবং আমার হাতে টাকা আছে এবং আমি তা দিয়ে যা খুশি করতে পারি!”।
শেষ কথাটি একটি বিরাট মিথ্যা। এটি একটি
বিপরীতালঙ্কার, যার অর্থ এমন অভিব্যাক্তি যা নিজেকেই অস্বীকার করে। এটা “আমি স্বাস্থ্যকর ভাবে ধুমপান করছি” বলার মতো।
মানুষের লোভের কখনোই কোনো সীমা ছিল না। বিটকয়েন তাদেরকে স্বাধীন করার জন্য এসছিল, কিন্তু তারা শুধু বুঝতে পেরেছে যে বিটকয়েন তাদের ধনী বানাতে এসছে। লোভ মানুষকে সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ করতে বাধ্য করে। বিটকয়েন ব্যবহার করার পরিবর্তে, পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন যা ট্রেডিশনাল মানিকে রেন্ডার করবে এবং সরকারের শাসন কে অপ্রাসংগিক বানিয়ে দেবে, মানুষ এমন ঘৃন্য ভাবে এমন কিছুকে সেন্ট্রালাইজ্ড করতে চাইছে যেটা জন্ম থেকেই ডিসেন্ট্রালাইজ্ড।
কেউ কেউ অন্যদের চেয়ে স্মার্ট ছিল, কিন্তু লোভীও ছিল, এবং তারাও তাদের জ্ঞান এবং অন্যদের লোভের সদ্ব্যবহার করেছে এই সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ তৈরি করার জন্য, যেখানে মানুষ
তাদের টাকা ডিপোজিট করার জন্য তাড়াহুড়ো করে - যেহেতু টাকা জমা হয়েছে, সেগুলো
এক্সচেন্জ এর টাকা হয়ে গেছে। মানুষ ধনী হওয়ার আশা করে, না বুঝেই যে তারা সব রাস্তা হারাচ্ছে। পরিস্থিতি নাটকীয়, কারণ তারা শুধু টাকাই হারায় না, বরং আরও অনেক কিছু...
টাকার চেয়ে বেশি আর কি হতে পারে? তারা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য হারাচ্ছে -
যে উপহার তারা জন্মের সময় পেয়েছিল তা শুধুমাত্র
ব্যক্তিগত ছিল যতক্ষণ না সে আর ব্যক্তিগত রাখতে চায় না। এবং একবার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ হয়ে গেলে, এটা আর কখনও ব্যক্তিগত হবে না। কয়জন নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছে যে "
ব্যক্তিগত মানে কি?"। লোভ তাদের অন্ধ করে দিয়েছে, প্রফিট করার এবং রাতারাতি ধনী হওয়ার আশায়, মানুষ আনন্দের সাথে সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেঞ্জের দিকে ছুটে যাচ্ছে, অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কোনো দিকেই খেয়াল করছে না। মানে তারা এক্সচেঞ্জে তাদের সমস্ত ব্যক্তিগত ডেটা অফার করেছে। কিছু এক্সচেঞ্জ সেই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বিনামূল্যে কিছু ৫-১০-২০$ পরিমাণ অফার করে। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন এক্সচেঞ্জগুলি এই টাকা বিনামূল্যে দেয়? আপনি কি নিজেকে বলছেন যে "
আমাকে একজন ক্লায়েন্ট হিসাবে পেয়ে এক্সচেঞ্জগুলি সম্মানিত, সে কারণেই"? সত্যি না। এই টাকা এক্সচেঞ্জের জন্য কিছুই না, কারণ তারা ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা প্রফিট করবে। কথায় আছে যে যখন কিছু বিনামূল্যে হয়,
সেখানে আপনিই পন্য, যেমন ফেসবুক। এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে, পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ: যদি আপনাকে একজন ইউজার হওয়ার জন্য টাকা দেয়া হয়, তাহলে আপনার সাথে ঘটতে পারে এমন সবচেয়ে খারাপ জিনিসটা ভাবেন!
সবচেয়ে খারাপ কি ঘটতে পারে?
প্রথমত, এক্সচেন্জ কখনোই লস করে না। হাউস সবসময় জিতে। এবং কাষ্টমার রা সবসময় লস করে। BTC এর দাম বাড়লে ইউজাররা খুশি হয়, আশা করে তারা কিছু লাভ করবে। ইউজার রা কষ্ট পায় যখন BTC ক্রাশ করে, কারণ তারাও লস করে। অনেকে তাদের বিটকয়েন বিক্রি করে যদিও তারা জানে যে তারা লস করছে, কিন্তু তারা আরও বেশি লস না করার উদ্দেশে বিক্রি করে। তারা বুঝতে পারে না যে যতক্ষণ তারা তাদের বিটকয়েন বিক্রি করছে না, ততক্ষণ তারা কিছুই লস করছে না। কিন্তু এক্সচেন্জ কি করছে? তারা লাভ করে যখন বিটকয়েন বেড়ে যায়, কারণ তারা ইউজারদের কাছ থেকে ফি ইনকাম করে। বিটকয়েনের দাম কমে গেলেও তারা লাভ করে, কারণ তারা তখন ফি পাচ্ছে। ইউজার রা যখন এক্সচেঞ্জ থেকে তাদের টাকা উত্তোলন করে, তখন তারা আরও টাকা লস করে। এখানে আমি নেটওয়ার্ক ফি সম্পর্কে কথা বলছি না, বরং এক্সচেন্জ এর ফি।
অন্য কথায়, মানুষ ক্রমাগত এক্সচেন্জ এর সুবিধা এবং তাদের নিজেদের দারিদ্র্যের জন্য নিজেরাই অবদান রাখছে। এছাড়াও, আপনারা কয়জন খেয়াল করেছেন যে, কয়েনবেস বা বিনান্সের মতো বড় বড় এক্সচেঞ্জগুলি
সবসময় "টেকনিক্যাল সমস্যার" সম্মুখীন হয়,
যখন বিটকয়েনের দাম বেড়ে যায় বা ক্র্যাশ করে ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের প্ল্যাটফর্মগুলি বন্ধ করে দেয়? এটা কি এমন কাকতালীয় হতে পারে যে প্রতিবার মারকেট এ ক্র্যাশ বা বা আপ হলে, একটি টেকনিক্যাল সমস্যা শুধুমাত্র এক্সচেঞ্জগুলিকে বন্ধ করে দেয় যতক্ষণ না বিটকয়েনের দাম আগের যায়গায় ফিরে আসে? এক্সচেঞ্জের মুখপাত্রদের দেওয়া ব্যাখ্যা দুঃখজনক এবং হাস্যকর। এটা স্পষ্ট যে, যেহেতু এই নোংরা কাজ গুলি বছরের পর বছর ধরে করা হচ্ছে, এক্সচেঞ্জগুলি এইসব মুহুর্তে বন্ধ হয়ে যায়, এইভাবে বিটকয়েন খুব বেশি বেড়ে গেলেও মানুষ লাভবান হবে না এবং দাম কমে গেলেও বিটকয়েন কেনার জন্য নানন সিমাবদ্ধতা তৈরী করে।
দ্বিতীয়ত, আমি উপরে বলেছিলাম যে, মানুষ ইচ্ছা করে কেওয়াইসি নামক একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য হারাচ্ছে। এক্সচেঞ্জগুলি তাদের গ্রাহকদের বা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কে চিন্তা করে না। তারা শুধু আরও বেশি টাকা ইনকাম করতে চায়। এগুলি হ্যাকারদের মাধ্যমে হ্যাক হয়ে যেতে পারে যারা টাকা চুরির পাশাপাশি ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্যও চুরি করে, এটা একটা অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ, যা আরও বেশি টাকায় পরিণত হতে পারে, বিশেষ করে যখন এটা ডার্ক নেট-এ বিক্রি করা হয়। একটি CNBC এর একটা আর্টিকেলে বলা হয়েছে হ্যাকাররা কীভাবে ব্যক্তিগত তথ্য ১ ডলার প্রতি পিস বিক্রি করে (ইউজারদের প্রকৃত ঠিকানা, তাদের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, তাদের আইডির কপি ইত্যাদি তথ্য এর মধ্যে রয়েছে।):
হ্যাকাররা আপনার ডেটা বিক্রি করছে 'ডার্ক ওয়েব'... মাত্র ১ ডলারে। ফোরাম এ একটি কুখ্যাত সিমিলার
কেস হলো রোমানিয়ান bekli23 কেস, যিনি আসলে পুরানো BTC ওয়ালেটগুলি ডিক্রিপ্ট করার ভান করে ইউজারদেরকে তাদের আইডি এবং অন্যান্য বিল হাতে রেখে তাদের সাথে ছবি পাঠাতে বলেছিলেন। মূলত, তিনি কোনও ওয়ালেট ডিক্রিপ্ট করেননি। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত তথ্য কালেক্ট করার চেষ্টা করেছিলেন, সম্ভবত, ডার্ক নেট-এ বিক্রি করার জন্য, হাস্যকর মূল্যে ১ ডলার প্রতি পিস!
কিছু ক্ষেত্রে, এক্সচেঞ্জগুলো ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করে! এবং আমি ছোট, কুখ্যাত এক্সচেন্জ এর কথা বলছি না, বরং বড়গুলোর কথা বলছি। কয়েনবেস সবচেয়ে বড় এক্সচেঞ্জগুলির মধ্যে একটি এবং তবুও তারা ইউজারদের ব্যক্তিগত ডেটা বিক্রি করে ধরা পড়েছিল! ২০১৯ সালের একটা আর্টিকেল এ,
Coinbase স্বীকার করে যে তাদের প্রাক্তন ডেটা সরবরাহকারীরা গ্রাহকদের ডেটা বিক্রি করেছে। ক্রিস্টিন স্যান্ডলার, এক্সচেঞ্জের একজন নির্বাহী বর্ণনা করে, স্বীকার করেছেন যে কীভাবে কোম্পানি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করেছে৷ এই উদাহরণ থাকার পরেও, আপনি কি মনে করেন যে অন্যান্য এক্সচেঞ্জ একই জিনিস করছে না? তারা এখনো ধরা পড়েনি বলে?
তৃতীয়ত, এক্সচেঞ্জ গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য সরাসরি অথরিটির কাছে অফার করে। আপনি কি আশা করছিলেন যে সরকার আপনার এবং আপনার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানবে না - অন্তত আপনার ক্রিপ্টো লেনদেন (এটি ভেবে যে তারা আপনার সমস্ত ফিয়াট মানির লেনদেন জানে)? সেন্ট্রারাইজ্ড এক্সচেন্জ ব্যবহার এটা নিশ্চিত যে সরকার আপনার উপর নজর রাখবে! আবার, কয়েনবেসের সাথে জড়িত একটি উদাহরণ: ফোর্বস এর একটি আর্টিকেল,
কয়েনবেস গ্রাহকদেরকে জানিয়েছে যে তারা আদালতের আদেশকৃত ডেটা চালু করবে, বর্ণনা করে যে কীভাবে এই এক্সচেন্জ গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য IRS-কে দিয়েছে৷ মনে করবেন না
এটা একটি মাত্র কেস ছিল। এই ধরনের প্র্যাকটিস সব এক্সচেন্জ করে, সকল দেশেই।
চতুর্থত, একটা সেন্ট্রালাইজ্ এক্সচেঞ্জ গ্রাহকদের প্রাইভেট কি অফার করে না, যার অর্থ ইউজারদের তাদের নিজস্ব টাকা নিয়ন্ত্রণ করার টুল গুলোতে অ্যাক্সেস নেই। ওয়ালেটের প্রাইভেট কি এক্সচেঞ্জের হাতে থাকে,
এখানে ইউজাররা স্বীকার করে যে তারা যখন এক্সচেঞ্জে ডিপোজিট করে তখন তারা তাদের টাকার উপর মালিকানার অধিকার হারিয়ে ফেলে। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে বিটকয়েন প্রচারক আন্দ্রেয়াস আন্তোনোপুলোস বলেন "
নট ইউর কী, নট ইউর বিটকয়েন"। এটাকে আরও স্পষ্ট করার জন্য, কয়েনবেসের বিরুদ্ধে একটি মামলায় (এই এক্সচেন্জটা সবচেয়ে নেতিবাচক উদাহরণ বলে মনে হয়), অভিযুক্ত ব্যক্তি বিচারে হেরেছেন এবং বিচারক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন
নট ইউর কী, নট ইউর বিটকয়েন।
পঞ্চমত, এক্সচেঞ্জ হ্যাকারদের দ্বারা হ্যাক হতে পারে
(এবং আপনি টাকা হারাবেন)।
ষষ্ঠত, এক্সচেঞ্জগুলি আপনার অ্যাকাউন্টগুলিকে ফ্রিজ করার জন্য আপত্তিজনকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে
(এবং আপনি টাকা হারাবেন)।
সপ্তম, এক্সচেঞ্জ স্ক্যাম করে পালাতে পারে
(এবং আপনি টাকা হারাবেন)।
এই কারণে আপনার সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ এড়িয়ে চলা উচিত। এই কারণেই বিটকয়েন এই ধরনের দানবদের সাথে একত্রে ব্যবহার করা উচিত না, যারা শুধু গ্রাহকদের পক্ষপাতিত্ব করে কাজ করছে! এইভাবে সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেঞ্জের গ্রাহকরা তাদের টাকা হারাবে। তারা যা কিছুই করতে চায় না কেনো। এবং এভাবেই, টাকার পাশাপাশি, তারা তাদের ব্যক্তিগত তথ্যও হারাবে, খারাপ কেউ এগুলো চুরির ঝুকি নিচ্ছে, যা তাদের বিশাল ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়: ক্রিমিনালরা একবার কারও ব্যক্তিগত তথ্য পেয়ে গেলে, তারা তাকে ”ভিজিট” করতে পারে। তাকে ছিনতাই করতে পারে, তারা তার বাড়িতে ভাঙচুর করতে পারে, তারা তার মালামাল চুরি করতে পারে এমনকি তারা তার জীবনের হুমকিও দিতে পারে!