জি ভাই আপনি ঠিকি বলেছেন। SEC বিনান্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ এমনিতে করেনি $181 মিলিয়ন মার্কিন ডলার হারিয়েছে। তবে আমার মনে হয় না SEC বিনান্সের বিরুদ্ধে তেমন কিছু করতে পারে।আর এক্ষেত্রে আমরা যারা বিনান্সে মাইনিং করি তাদের অর্থের কোনো ক্ষতি হবে।কারন বিনান্স সারা বিশ্ব ব্যাপি ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট। যার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ মাইনিং করে থাকে।
এইখানে মাইনিং বলতে কি বুঝিয়েছেন? বাইন্যান্সের আপনি কি মাইনিং করছেন? বাইন্যান্সের মাইনিং পুল আছে কিন্তু লক্ষ লক্ষ মানুষ তো সেখানে মাইনিং করে বলে মনে হয় না। আমার মনে হয় আপনি ট্রেডিং বুঝিয়েছেন।
যাই হোক, বাইন্যান্স খুব সাধু নয়। তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের ভিলেন বলতে পারেন, তবে খুব প্রভাবশালী ভিলেন। আপনি হয়ত তাদের অপকর্মগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর রাখছেন না। কয়েনআলাপ বাইন্যান্সের অপকর্মের কিছু দিক নিয়ে অনেক আগে একটা আর্টিকেল প্রকাশ করেছিল। চাইলে সেটা পড়ে দেখতে পারেন, তাহলে তাদের সম্পর্কে খুব ভালো ধারনা পাবেন-
বাইন্যান্স; ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের নায়ক নাকি খলনায়ক?আরেকটি উপায়ে আমি আজকে অনেক চিন্তা ভাবনা করে পেলাম, তা হল আপনার পরিচিত কেউ যদি দেশের বাইরে থাকে এবং সে দেশে বিটকয়েন লিগাল হয়ে থাকে, তাহলে আপনি তার ডিটেইলসগুলো নিয়ে (বিকাশ, রকেট, নগদ, ব্যাংকিং - এর বিকল্প যা ওই দেশে ব্যবহৃত হয়) আপনি পিটুপি থেকে ডিরেক্ট তার একাউন্টে পাঠাতে পারবেন। এবং সে আপনাকে বিদেশ থেকে যেভাবে টাকা পাঠায় সেভাবে পাঠিয়ে দিতে পারবে। এতে আপনি পুরোপুরি সেফ থাকবেন।
যেহেতু লেনদেনটি হবে বাইরের দেশের লোকের সাথে, সুতরাং বাংলাদেশের আইনের কেউ আপনাকে পিটুপি এর মাধ্যমে সনাক্ত করতে পারবে না। আমার মনে হয় এইটা বেস্ট উপায় হবে, কিন্তু আপনাকে ভ্যাট দিতে হবে। তবে টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি।
এইটা নিয়ে আমিও গতকাল ভেবেছিলাম। প্রকৃতপক্ষে, এইটা দেখতে মনে হচ্ছে খুবই নিরাপদ। আমিও ভেবে দেখলাম ক্রিপ্টোকারেন্সিকে লিগ্যাল করার এর চেয়ে ভালো পথ হয় না। এতে অবশ্য রেমিট্যান্সও আসবে, দেশের জন্যই ভালো। কিন্তু যে পাঠাবে তার কি কোন ঝামেলা হবে না? আয়কর দেয়া, কিংবা সে যে বাড়তি টাকা পাঠাচ্ছে, এইসব টাকার সোর্স ইত্যাদি। এইগুলো কি সরকার জানতে চাইবে না? আমার আসলে খুব বেশি ধারণা নেই। তবে আমার মনে হয় না এই কাজটা এতটাও সহজ হবে। এইখানে টাকা লিগ্যাল করতে গিয়ে অন্য ঝামেলায় জড়ানোর সম্ভাবনা থাকছে কি না সে ব্যাপারে যদি কেউ আলোকপাত করেন তাহলে অবশ্যই ভালো হয়। আপনার যদি যথেষ্ট ভালো জ্ঞান থাকে, তাহলেই কেবল আলোচনা করতে পারেন, সবার জন্য বলা। কারণ অনুমান নির্ভর ভুল তথ্য দিলে মানুষের লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে
কিন্তু একটি বিষয় হল শুধু টাকা আসার মেসেজ বা নোটিফিকেশন দেখে রিলিজ দেয়াটা বিপদজনক। কেননা এরকম একটি ঘটনা আমার সাথে ঘটেছে। আমি মেসেজ দেখে রিলিজ দিতে যাব এমন সময় মনে হলো ব্যালেন্সটা একটু চেক দেই। তারপরে ব্যালেন্স চেক দিয়ে দেখি টাকা নাই অথচ মেসেজ আসছে। এটার পরে আমি ওই বায়ারের সাথে কথা না বলে সরাসরি Binance এ রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছিলাম। এজন্য আমার মনে হয় প্রতিটি পিটুপি ইউজার শুধু নোটিফিকেশন বা মেসেজ দেখে রিলিজ না দিয়ে ব্যালেন্সটা একটু চেক করা উচিত। ধন্যবাদ সবাইকে
ব্যালেন্স চেক না করে রিলিজ করার মত বোকামি আর কিছুই হতে পারে না। আমি এইসব ব্যাপারে অনেক আগে থেকে সচেতন হওয়া সত্ত্বেও ২০১৯ সালে ৩০ হাজার টাকা ধরা খেয়েছিলাম। তখন পিটুপি ছিল না। এই ফোরামের এক ভাইয়ের ০.০৫ বিটিসি বিক্রয় করার জন্য নিয়েছিলাম। এক স্ক্যামারের খপ্পরে পরে আমাকে ০.০৫ বিটিসি বা ৩০ হাজার টাকা লস দিতে হয়(যদিও আমি লস দেই নি)। স্ক্যামার আমাকে একটা ফেইক মেসেজ দিয়েছিল। ফেইক মেসেজ দেয়া যায় সেটা জানতাম কিন্তু কেন যে আমি তাকে বিশ্বাস করছি ওইদিন! DBBL অফিসিয়াল মেসেজ যেমন হয়, হুবহু সেইরকম মেসেজ। ধরার কোন রাস্তা নাই যে এইটা ফেইক মেসেজ। আমি টাকা পেয়েছি ভেবে ওকে বিটিসি পাঠাই দেই। পরে দেখি ব্যাংকে কোন টাকাই আসে নি। যাই হোক, যার বিটিসি তাকে আমি ৩০ হাজার টাকা পাঠাই দিয়েছিলাম।
টাকা পাঠানোর পরে, এই ঘটনা বলার পর উনি আমাকে পুনরায় ০.০৫ বিটিসি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এবং সেটা ফেরত দিতেও নিষেধ করেছিলেন।