আমার জানার ইচ্ছে হলো আমাদের বাংলা কমিউনিটির কোন ডলার বাই -সেল গ্রুপ আছে নাকি?যদি থেকে থাকে তাহলে নাম কি?
আর যদি না থাকে তাহলে সিনিয়র মেম্বার দ্বারা খুললে মনে হয় ভালো হবে।যেহেতু বিভিন্ন সংবাদ প্রচার হচ্ছে সেহেতু মনে হয় প্রতিষ্ঠিত সদস্যরা উদ্যোগ গ্রহণ করলে সবারই উপকার হবে এমনকি নিরাপদ ও থাকা যাবে।বাইনান্স ও অন্যান্য একচেন্জের ঝুঁকি এড়ানো যাবে, বিশস্ত মডারেটর থাকলেই সহজভাবে করা যাবে।এতে করে কমিউনিটির সকলের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কাজে আসবে।আশা করছি সিনিয়র সদস্যরা মতামত দিবেন।
আমার ব্যক্তিগত অভিমত এখানে হয়তো কিছু সিনিয়র ভাইয়েরা আছে যারা অনেক আগে থেকে বিটকয়েনের সাথে সম্পৃক্ত তাদের কাছে হয়তো কোন বাইসেল গ্রুপ থাকতে পারে অথবা আছে। তবে অতীতে অনেকগুলো বাইসেল গ্রুপ ছিল বিশেষ করে ফেসবুকে ও হোয়াটসঅ্যাপে। কিন্তু বিভিন্ন আইনের ঝামেলায় জড়ানোর ভয়ে ওই সকল বাই সেল গ্রুপগুলো বর্তমানে ইনঅ্যাকটিভ রয়েছে।
তাছাড়া আমাদের বাংলা কমিউনিটির পক্ষ থেকে কোন বাইসেল গ্রুপ খোলা উচিত কিনা এ নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না।বাইসেল গ্রুপ খুললে এখানে বাউন্টি হান্টাররা এসে ভিড় জমাবে ফলে একাউন্ট/ওয়ালেট কানেকশন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। এতে পরবর্তীতে বিভিন্ন ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
তাছাড়া বাইনান্স অথবা কুকয়েন এক্সচেঞ্জ যতদিন উড়াল না দেয় ততদিন ব্যবহার করলে সমস্যা কি। আপনি মনে রাখবেন এই সমস্ত বড় বড় এক্সচেঞ্জ দু-এক দিনের জন্য বিজনেস করতে আসে নাই। কেউ একজন এদের বিরুদ্ধে মামলা করলেই এরা উড়ে যাবে এমনটি ভাবা ঠিক নয়। হ্যাঁ তবে এফটিএক্স এক্সচেঞ্জের কথা বাদ দেই, বিশেষ রাজনৈতিক মাইরপ্যাচে FTX মালিক পড়ে গিয়েছিল যার কবল থেকে সে বের হয়ে আসতে পারে নি।
কয়েনবেস ও বাইনান্স এক্সচেঞ্জের মালিকদের বিরুদ্ধে বর্তমান চলমান যে সকল ঘটনা ঘটছে তাহা শুধুমাত্র মার্কিন ডলারকে বাঁচানোর জন্য SEC (Gary Gensler) ঢালাওভাবে এদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যাহোক centalize এক্সচেঞ্জ যদি এভাবেই ধ্বংস করে দেওয়া হয় তাহলে ভবিষ্যতে বিকল্প হিসেবে কোন না কোন সিস্টেম আবিষ্কার হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
আমার ও আপনার অভিমতে buysell গ্রুপ খুললে সেখানে আইনের লোকের কাছে ধরা খাওয়াটা দু এক মিনিটের কাজ হয়ে যাবে। বর্তমানে তাই অতীতের তৈরি করা বাই সেল গ্রুপগুলো বর্তমানে একটিভ নেই।
এই পরিস্থিতিতে ভয় পাবার কিছু নেই কেননা আমরা আপনারা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি তারা আমেরিকার লুডুর ছক বুঝতে আরো ১০০ বছর লাগবে। এই ১০০ বছরে আমেরিকা আরো এগিয়ে যাবে ফলে আমরা বাংলাদেশিরা তাদের কোন মাইর পেচ বুঝতে পারবো না। কথাগুলো বললাম একটা বিশেষ প্রমাণ দেখাবো বলে।
আমরা যারা বাইনান্স ও কয়েনবেসের নামে চলমান যে ঘটনা প্রবাহ ঘটছে তাহা কোন না কোন স্বার্থে ঘটানো হচ্ছে। একদিকে যেমন বাইনান্স ও কয়েনবেসের নামে মামলা চলছে এবং মার্কেট নিম্নমুখী হচ্ছে ঠিক এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে আমেরিকান বড় বড় প্রতিষ্ঠান বিটকয়েন বিনিয়োগের কাজে লাগাচ্ছে। বিশ্বাস না হলে আপনারা আমার দেওয়া লিঙ্কগুলোতে প্রবেশ করে পুরো ঘটনা গুলো পড়ে আসবেন। বিশেষ করে মাইক্রোস্টাডিজি প্রতিষ্টানসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ১৪ই এপ্রিলে তারিখেও বিটকয়েন বিনিয়োগ করেছে। নিচের পিকচারগুলো দেখে আপনারা বিষয়টি নিশ্চিত হবেন ইনশাআল্লাহ।
বর্তমানে বিনিয়োগ করা আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলো
BLACKROCK
BOA (Bank of America)
Fidelity
ভয় পাবেন না, বিভিন্ন সময়ে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে বিশ্বের বড় বড় বিটকয়েন বিনোয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মার্কেটের নিম্নমুখী দর পতনের সময় বিটকয়েনের উপর বিনিয়োগ করে থাকে। এটা তাদের বিনিয়োগের একটা কৌশল বলা যেতে পারে।
বিস্তারিত পড়ার জন্য অনুরোধ রইল:
পড়ুন