বাংলাদেশে থেকে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করা লাভজনক?
আমি জানি যে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং অনেকটাই লাভজনক কিন্তু সেখানে অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। তবে আমাদের বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা নেই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাহলে আমি যদি মাইনিং করি বাংলাদেশ থেকে তবে কি আমি লাভবান হতে পারবো? আর বাংলাদেশ থেকে মাইনিং করাটা নিজের জন্য সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ! তাহলে কিভাবে বাংলাদেশে থেকে আমি মাইনিং করতে সক্ষম হতে পারি?..
@Little Mouse ভাইয়ের সাথে আমি আর একটু কথা যোগ করি।
[
মাইনিং লাভজনক কি না? হ্যা।
বাংলাদেশ থেকে লাভজনক কি না? হ্যা।
আপনি নির্দিষ্ট করে কোন কয়েন এর কথা বলেন নাই। বিটকয়েন দিয়েই যদি শুরু করি, আপনাকে এসিক মাইনার সেট করতে হবে যদি
বিটকয়েন মাইনিং করে লাভ করতে চান। আগে জিপিউ মাইনিং ছিল, সেটা বর্তমানে লাভজনক না বললেই চলে। আপনি যদি এসিক মাইনার সেট করতে পারেন তাহলে আপনি পুল মাইনিং করতে পারবেন। সোলো মাইনিং (solo) এ কিছুই আসবে না। সোলো মাইনিং এর জন্য বিশাল বিনিয়োগ লাগবে আর কপাল লাগবে। এইসব কিছুই পিছনে না গিয়ে যদি মানুষ থেকে হ্যাশ পাওয়ার ক্রয় করে মাইনিং করতে চান, তাহলে
নাইচহ্যাশ এ গিয়ে দেখতে পারেন।
জিপিউ মাইনিং করতে হলে আপনাকে অন্য কয়েন খুজতে হবে। কয়েক বছর আগেও জিপিউ দিয়ে ইথেরিয়াম মাইনিং করে ভালো প্রফিট আসত। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই করেছে, এই ফোরামের অনেকেই করেছে। বর্তমানে ইথেরিয়াম ২য় ভার্সনে যাওয়ার পরের কথা আমি আর জানি না। তবে জিপিউ দিয়ে অনেকেই র্যাভেনকয়েন মাইনিং করে এখনো সম্ভবত।
মাইনিং করতে গেলে বেশ কয়েকটি মাইনিং রিগ(Mining rigs) লাগে, মাইনি করতে যে সকল সফটওয়্যার ও হার্ডওয়ার প্রয়োজন হয় তাদেরকে একত্রে মাইনিং রিগ বলে।
আপনাকে মাইনিং করতে গেলে অবশ্যই নিচের ডিভাইস ও মেশিনের সিস্টেম প্রয়োজন হবে।
ASIC miner
Internet connection
Electricity
উপরেরটি হয়তো আপনি বিদেশ থেকে শিপমেন্টের মাধ্যমে আনিয়ে নিতে পারবেন কিন্তু নিচের ইলেকট্রিসিটির ক্ষেত্রে আপনি লাভ হবে না ক্ষতি হবে সেটা ক্যালকুলেশন করে নিতে পারবেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। আমি শুধু বাংলাদেশের জন্য এই কথাগুলো বলতেছি অন্য কোন দেশে ক্ষেত্রে এ কথাগুলো প্রযোজ্য নাও হতে পারে। বিশেষ করে প্রতিদিন যে হারে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে তাতে করে মাইনিং করতে গেলে অবশ্যই এটাকে প্রথম ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যেখানে মাইনিংকে লাভজনক হিসেবে অতীতে ঘোষণা করা হলেও বর্তমানে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ খরচ ও মেশিনারি খরচের উপর ভিত্তি করে মাইনিংকে অলাভজনক ঘোষণা করা হচ্ছে সেখানে আপনি কিভাবে বিদ্যুতের দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির পরেও লাভজনক ঘোষণা করতে পারি।
তাছাড়া আরো একটি বিষয় হচ্ছে মাইনিং নির্ভর করে মাইনারের হ্যাস পাওয়ার এর উপর অর্থাৎ হ্যাশরেটের উপর। আপনার ডিভাইসের দাম ও মান যত বেশি হবে ডিভাইসের কর্মদক্ষতা তত বেশি হবে ফলে ডিভাইসের হ্যাশ পাওয়ার অর্থাৎ হ্যাশ রেট বেশি হবে।
হ্যাশ পাওয়ার বেশি হলে আপনার ডিভাইসটি খুব সহজে ব্লক খুঁজে পাবে, এত সহজে ব্লক খুজে পাবে তত আপনার মাইনিং বেশি হবে মাইনিং বেশি হলে অবশ্যই আপনার মাইনিং লাভজনক হবে।
এখন আসি আপনি কোথায় বাস করেন গ্রামে না শহর অঞ্চলে সে কথার উপর ভিত্তি করে আমি শেষ মন্তব্য করছি। আপনি যদি গ্রামে বাস করেন তাহলে মাইনিং এর কথাটা আপাতত বাদ দিন কারণ আমি যে গ্রামে বসবাস করি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় নিশ্চিত করে কারেন্ট চলে যায় এবং নূন্যতম আধা ঘন্টা পর পর লোডশেডিং হয়। এইরকম লোডশেডিং চলা অবস্থায় আমি আপাতত মাইনিং এর কথা ভুলেও মাথায় আনবো না।
আপনি যদি শহর অঞ্চলে বসবাস করে থাকেন তাহলে মাইনিং এর চিন্তাভাবনা করতে পারেন এবং নিচে coinalap admin এর দুজন মাইনারের সাক্ষাৎকার লিপিবদ্ধ করেছেন তাদের সাক্ষাৎকার মাথায় রেখে আপনি আপনার পদক্ষেপ নিতে পারেন।
https://www.coinalap.com/মাইনিং-কি-বিটকয়েন-মাইনিং/