কিসের যে অবস্থা দেখতে পাচ্ছি ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সাথে যদি তুলনা করা হয় তাহলে ভুল হবে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে নির্মমভাবে অত্যাচার করে গুলি করে মার ছিল বাঙ্গালীদের তার থেকেও বেশি ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ নামের দল। এরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চেয়েও বেশি বলে মনে হচ্ছে। ছাত্রলীগ এবং প্রশাসন পুলিশ বাহনীর মধ্যে কোন তফাৎ দেখতে পাচ্ছি না।
আপনারা খেয়াল করছেন কিনা জানিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের এক শিক্ষার্থীর কাছে বন্দুক দেখেছি কিন্তু পুলিশ বাহিনী তাদের পাশে থেকে এগুলা দেখেছি কিন্তু তাদের কিছু বলতে পারেনি। আসলে এরা কি এটা যদি সাধারণ একজন শিক্ষার্থীর কাছে দেখতো তাহলে দেখা তো যে এতক্ষণে ঐদিন গ্রেপ্তার না করলেও ওই রাতের মধ্যেও গ্রেফতার করে ফেলতো।
ছাত্রলীগের জন্য তাকে পুলিশ বাহিনীর সামনে দেখামাত্র কোন কিছু বলেনি তাহলে পাবুন একবার এটা কি হচ্ছে। এই কি তাহলে আমাদের সোনার বাংলাদেশ এটার জন্যই আমাদের অসংখ্য বাবা মা রা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। এই দিনটা দেখার জন্যই কি তারা এমন করে যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছিল।
যখন এদের নিউজগুলো দেখি তখন কষ্টে বুকটা ফেটে যায়। আগে দেখতাম এবং জানতাম ছাত্রলীগ হচ্ছে ছাত্রদের জন্য কাজ কর কিন্তু এখন দেখছি পুরোটাই ভিন্ন কিছু ছাত্রলীগ নাকি কুত্তালীগ এগুলো। এরাও কিন্তু ছাত্র এদের কি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস করতে আসতে হবে না এদের কি পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসে আসতে হবে না। ইরাকি এই সময়ে কথাই মনে রাখছে পরবর্তী সময়ের কথা কি তারা একটুও ভাবতেছেনা। এই দিনে দিন নয় তাদের জন্য খারাপ দিন আসবে সামনে। এই সময়টা খুব দূরে নয় খুব নিকটে।
পুলিশ বাহিনী কিভাবে শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করে কিভাবে গুলি করে মেরে ফেলতেছে সবাইকে। এটার কি সঠিক বিচার হবে না বাংলাদেশ?
এমন ভাবে গুলি করে মারতেছে যেন তারা পাখি স্বীকার করতেছে। পাখি শিকারি কারীরাও তো এত নির্মমভাবে পাখিদের হইত গুলি করে না। কিন্তু এখানে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী কিভাবে গুলি করে মেরে ফেলতেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হল গুলো তলাদিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এগুলো কি নির্মম।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাদ থেকে শিক্ষার্থীদের ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে নির্মমভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে তারা।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে গুলি চালাচ্ছে।
এই অস্থিরতা কবে শেষ হবে এই কষ্টের দিনগুলো কবে শেষ হবে। এই নির্মম নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষদের হাত থেকে কবে আমরা মুক্তি পাব।
ওই আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম আল্লাহ তুমি এগুলা দেখছো এগুলা সঠিক বিচার করো। এভাবে আর আমার বাংলার মানুষদের কষ্ট দিও না।
আহা জাতীয় হিসেবে আমরা কতটা নির্লজ্জ। এগুলো বাসায় প্রকাশ করা যায় না। যে ভাই সাইদ মারা গেছে তার বাবার আর্তনাদ। সাঈদের টিউশনে টাকা দিয়ে নাকি তারা ভাত কিনে খেতো আহা কি নির্মম পরিহাস আল্লাহ আপনি এগুলোর সঠিক বিচার করুন।