যদি নতুন কোনো দল না আসে, আর আগামী ৩ মাসেই যদি নির্বাচন হয়, তাহলে বি এন পি জিতে যাবে এটা হয়তো সত্যি। তবে দেশের বেশিরভাগ মানুষ এদের কাউকেই চায় না। কারণ হাসিনা দেশ ছাড়ার সাথে সাথে বি এন পি যে তান্ডব দেখিয়েছে, তাতে বুঝাই যাচ্ছে যে এরাও দেশ লুটেপুটে খাওয়ার জন্য একদম রেডি। সারা দেশে কি পরিমান লুটপাট শুরু করেছে তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। আওয়ামীলীগ গতো ১৬ বছরে যা লুটপাট করেছে, বি এন পি ক্ষমতায় আসার ৬ মাসের ভেতরে এর দুইগুন লুটপাট করবে এটা শিওর। কোনো দলই ভালো না। তবে আওয়ামীলীগ বলেন, বি এন পি বলেন, তাদের সব দলেই কিছু ভালো লোক আছে। দেশের মানুষের উচিৎ কিছু লোক কে বাছাই করে একটা নতুন দল বানানো। যারা আসলেই দেশের জন্য কিছু করতে চায়। যদিও আওয়ামীলীগ এর কিছু ভালো মানুষ অব্দি কোটা আন্দোলনের সময় চুপ ছিলো দলীয় কারনে।
আপনি কি লক্ষ্য করেছেন সমন্বয় কারী এবং অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বারবার এ কথাটি তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেছে ' আমরা সবাই রাজনীতিতে একটা তৃতীয় পক্ষ হয়ে যায় বিএনপি জামাত আওয়ামী লীগ এদের কাউকেই সেখানে রাখা হয়নি'।
এখন আসি মূল বিষয়ে আপনারা যদি আরেকটু লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন " উপদেষ্টা হিসেবে টোটাল ১৬ জনের মধ্যে সমন্বয়কারী মধ্য থেকে শুধু নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদকে আরেকটি চেনা মুখ সারজিস এবং আরো অনেককেই এখানে রাখা হয়নি। বিষয়টা কি এখনো কি বুঝতেছেন না?
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কম করে হলেও তিন বছর সময় পাবে আর তার চেয়েও বেশি পেতে পারে আমার ধারণা সো যেহেতু তারা একটা দীর্ঘ সময় পাবে তাই আপনারাও দেখতে পাবেন তরুণদের নিয়ে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আরেকটি রাজনৈতিক সংগঠন বা দল তৈরি হবে এবং ভবিষ্যতে যখন একটা ফেয়ার ইলেকশন করা হবে তখন তাদের থেকে একটা বড় অংশ সংসদ সদস্য পথ পাবে আমি আশা করতেছি। বিএনপিকে একবারে বাদ দেওয়া যাবে না কারণ আপনি হয়তো একজন সচেতন নাগরিক কিন্তু যুবক হিসেবে এ দেশে এমন অনেক বয়স্ক মানুষ আছে গ্রামগঞ্জে তারা বিএনপিকে ভোট দিবে।
কিন্তু তারা দেশের জন্য ভালো কাজ করেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তেমন ব্যাক্তিদের মধ্যে আছে, ১। ফারাজ করিম, ২। ব্যারিস্টার সুমন, ৩। আন্দালিব পার্থ, ৪। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ৫। গোলাম মাওলা রনি সহ আরো কিছু ব্যাক্তি। এক জালিম থেকে মুক্তি হয়ে আরেক জালিমের হাতে দেশ তুলে দেয়ার কোনো মানে হয় না।
আপনি আসলে যেসব লিস্টের কথা বলেছেন তার মধ্যে দারাজ করিম , এবং এডভোকেট সুমইন্নারে রেখেছেন অ্যাডভোকেট সুমনের আন্দোলনের সময় বক্তব্য গুলোকে দেখেছেন? এরা আসলে হাসিনার লেসপেনসার,আর ফারাজ করিমের বাপ কে এটা নিশ্চয়ই জানেন, আর ভবিষ্যতে এরা নেতৃত্বে আসলে বাপের বিরুদ্ধে যাবে না এটা আমি শিওর।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বিএনপি থেকে এসেছে তার সম্পর্কে ব্যক্তিগত ভাবে ঐরকম ডিটেলস দেখিনি আমি তাই তার ব্যাপারে বেশি নেগেটিভ কিছু বলতে পারব না তবে ক্ষমতায় আসলে তারা কি করবে এটা নিয়ে আমারও সন্দেহ আছে।
আর গোলাম মাওলা রনি এই নিজে আগে আওয়ামী লীগ করতো তা তো অবশ্যই জানেন এবং তখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি চাঁদাবাজি এবং জমি দখলের রিপোর্ট রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সে ভালো ভালো কথা বলে ইউটিউবে।
এদের মধ্যে আন্দালিব রহমান পার্থকে আমার সবচাইতে ভালো লাগে এদের মধ্যে সবচাইতে স্পষ্ট ভাষি কেউ যদি থেকে থাকেন সেটি হলেন আন্দালিব রহমান পার্থ। এবং আমি আশা করতেছি ভবিষ্যতে কোন সরকার গঠন হলে সে মন্ত্রিত্ব পদ পেতে পারে।