ক্রিপ্টোতে যারা লেখালেখি করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য এখন মার্কেটে অনেক প্লাটর্ফম তৈরি হয়েছে যারা লেখক ও রিডার দুপক্ষ এর ম্যধস্থতা ভালোভাবে তৈরি করেছে। আর সব থেকে ভালো ব্যপার হচ্ছে, লেখক যাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগ আছে তারাও এসব প্লাটর্ফম ব্যবহার করতে পারে এবং একই আর্টিক্যাল সব জায়গায় পাব্লিশ করতে পারে। এখন অনেক ব্লগার আছে যারা, একটি আর্টিক্যাল লিখে, সেটি নিজের ব্লগে দেওয়ার সাথে সাথে সব প্লাটর্ফমে পাব্লিশ করে। সব থেকে ভালো লাগার ব্যাপার হচ্ছে , এরা এসব প্লাটর্ফমে ভালো একটা পরিচিতি লাভ করছে। বিভিন্ন ক্রিপ্টো প্রজেক্টও পাবলিসিটির জন্য এসব সাইটে নিজেদের আর্টিক্যাল পাব্লিশ করে থাকে। যাইহোক, আপনি এই রকম লেখালেখি করে আহামরি আয় করতে পারবেন না, কিন্ত আস্তে আস্তে একটা ভালো ফ্লোয়ারবেজ ক্রিয়েট করতে পারলে, মাস শেষে একটা ভালো আয় করতে পারেন। এমন প্লাটর্ফমগুলোকে নরমালি ক্রিপ্টো মাইক্রোব্লগ বলে থাকে, আর কিছু ক্রিপ্টো মাইক্রোব্লগ এর লিস্ট দিতে যাচ্ছি যা আপনার লেখালেখি এর শখটার একটু পরিধি দিতে পারবে।
Publish0x: ক্রিপ্টো লেখালেখি এর দুনিয়ায় এই নামটি দিন দিন ভালোই ছড়াচ্ছে এবং আমার নিজস্ব পারসোনালভাবে পছন্দনীয় প্লাটর্ফম। এই সাইটের লেআউট এবং টিপিং পদদ্ধিটি অনেকটা আলাদা অন্যসব ক্রিপ্টো মাইক্রোব্লগ থেকে। রিডার এবং লেখক দুজনই আয় করতে পারবেন এই সাইট ব্যবহারের ফলে। রিডার সাধারনত তাদের পছন্দের আর্টিক্যালকে কিছু পরিমাণ টিপ দিতে পারেন যা গিয়ে ডাইরেক্ট লেখক এর একাউন্টে জমা হবে। আর যেকোনো লেখক যেকোনো সময় জামানো এমাউন্ট উইড্র করতে পারেন।
Leofinance: Hive ব্লকচেইনের উপর বেস করে এই প্লাটর্ফমটি তৈরি করা হয়েছে। আপনি মেইল বা Keychain for Hive এক্সটেনশন এর মাধ্যমে একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন। এই সাইটে প্রোফাইলের রেপুটেশন বাড়াতে পারলে আপনার আয়ের সুযোগ আরও বেড়ে যাবে। আপনি কোনো লেখা থেকে যা আয় করতে পারবেন সেটি ৭ দিনের পর সেটির অর্ধের আপনার ওয়ালেটে পেয়ে যাবে (বাকি অর্ধেক আপনি আপনার পাওয়ার আপ করতে খরচ হবে)। আপনার পাওয়ার আপ আর আয়ের এর অনুপাত আপনার আর্টিক্যাল পাব্লিশ করার আগেই সেটিং করতে পারবেন।
Hive Blog এবং
Steemit: দুটি প্লাটর্ফম একই রকম টিপিং মডেলে কাজ কারার দরুন, একসাথে দেওয়া। এ প্লাটর্ফম দুটির বেশ পুরোনো। যারা অনেক দিন ধরে এই দুনিয়ায় আছে, তারা এই সাইট স্পরকে জানেন। Steemit ২০১৬ সালে আসলেও এর পরে রিব্র্যান্ডিং করে আর Hive Blog বেশ পড়ে শুরু করলেও ভালো এক্টিভিটি আর ডেভেলপার জন্য ভালো জনপ্রিয়তা পায়। দুই প্লাটর্ফমটি রেপুটেশন বাড়াতে পারলে একটা সময়ে ভালো আয় সম্ভব।
Read.cash এবং
Noise.Cash : উপরের প্লাটর্ফমগুলির সাধারনত ক্রিপ্টো রিলেটেড হলেও এই দুটি সাইটের ইউজার ব্লগগুলি ক্রিপ্টো বাদেও অন্যসব লেখা দেখা যায়। এই দুই সাইট টিপিং মডেল সাধারণত BCH এর উপর নির্ভর করে। লেখককে যেকোনোএকটি গ্রুপে পোষ্ট করতে হয়, যা বিভিন মেম্বারদের থেকে ক্রিয়েট করা থাকে। এই দুই সাইটের আয় অন্য সাইটগুলো থেকে কিছুটা কম হয়ে থাকে কেননা যারা টিপ করে তাদের নিজের ওয়ালেট থেকে টিপিং করতে হয়, এই সাইটের নিজস্ব কোনো টোকেন বা কয়েন নেই।
কোনো ইউজার এক আর্টিক্যাল লিখে এক সাথে নিজের ব্লগে পাব্লিশ করার সাথে সাথে এসব প্লাটর্ফমে পাব্লিশ করতে পারেন। সব এই সুবিধাটা দিয়ে থাকে, আর যদি রেফারেন্স লিংক দিয়ে থাকেন তাহলে আরোও ভালো হয়। আর এই লেখাটি শুধুমাত্র ধারনার জন্য, আপনি শুরু বা চেষ্টা করতে চাইলে আরও রিসার্চ করে তারপর চেষ্টা করতে পারেন।
সাধারনত অন্যসব ইনভেস্টমেন্ট থেকে এই অপশনের APY রেট অনেক বেশ হয়ে থাকে, কিন্ত সত্যি বলতে এটি খুবই হাই রিস্ক একটি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। প্রাইজ যদি কমে আহলে আরও কিছু বিটকয়েন্ হাতে ধরিয়ে দিবে আর যদি বিটকয়েন এর প্রাইজ বারে তাহলে আপনাকে USDT ধরিয়ে দিবে।
আপনি চাইলে USDT ইনভেস্ট করেও এই প্ল্যানে ইনভেস্ট করতে পারেন, এতে প্রাইজ কমলে BTC ধরিয়ে দিবে আর বাড়লে USDT ধরিয়ে দিবে
এটি তো লম্বা সময়ের হোল্ডারদের জন্য খুবই ভালো উপায়।
আমি আমার নিজের একটি কৌশল সবার জন্য বলে দিতেছি:
প্রথমত ধরে নিলাম বিটকয়েনের মূল্য কমে গেল, তাহলে আমি বিটকয়েন পাবো। এরপর আমি বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধির জন্য অপেক্ষা করব, কিন্তু সেটিতে বিনিয়োগ করব নাহ। যখন বিটকয়েনের মূল্য আবার বৃদ্ধি পাবে, তখন আমি বিটকয়নকে ডলারে কনভার্ট করার পর বিনিয়োগ করব। এরপর মূল্য হ্রাসের অপেক্ষা করবো, এতে আবার বিটকয়েন পাবো। এরপর এমন করে পুনরাবৃত্তি করতে থাকবো এবং আমার বিটকয়েন হোল্ডিং বৃদ্ধি পাবে।
যারা দীর্ঘসময়ের জন্য বিটকয়েন হোল্ড করতে চান আমার মতো, তারা এই কৌশল নিজের রিস্কে ব্যবহার করুন। আশা করি, ক্ষতি হবে নাহ। কেননা আপনার বিটকয়েনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা দরকার। বাকি আপনাদের মর্জি।
এতেও কিছুটা জটিলতা থেকেই যায়। আর লংর্টাম ইনভেস্টটর বা বড় ইনভেস্টমেন্ট বাদে হয়তো এটি অপশন বেশি কাজে আসবে না। আর হঠাত মার্কেট ক্রাশ খেলে ত, অনেক সময় হ্লোড করতে হবে। কিন্ত যাইহোক যদি ২/৩ বছর পযন্ত কারো হ্লোড এ করার ইচ্ছা থাকে তাহলে হয়তো এই অপশনটি ভালো কাজে দিতেও পারে।