আমরা অনেকেই ট্রাস্ট ওয়ালেট ইউজ করি এখন,বাউন্টি বা এয়ারড্রপ করার জন্য এর বিকল্প নেই এবং ইজি ইউজ করা, কিন্তু ঈদানিং খেয়াল করবেন অনেক ফেইক টোকেন আমাদের ওয়ালেটে পাঠাচ্ছে হ্যাকার রা, গতকাল আমার ওয়ালেটে ভেরা নামক টোকেন আসে এবং সেই হ্যাকার রা হুবুহু অর্জিনাল ভেরা টোকেন এর মতো টোকেন পাঠায়
আপনি যে বিষয়টি এখানে তুলে ধরেছেন, এটিকে "ডাস্ট এট্যাক" বলা হয়ে থাকে। অনেক সময় স্ক্যামাররা আপনাকে ফ্রি টোকেন দেয়, এবং সেটি হয় তাদের নিজস্ব এক্সচেঞ্জ ছাড়া অন্যকোনো এক্সচেঞ্জে সোয়াপ করা যাবে না, কিংবা আপনাকে যত টোকেন পাঠিয়েছে তার থেকে আরো একটু বেশি টোকেন লাগবে সর্বনিম্ন সোয়াপের জন্য। এই দুইটি উপায় স্ক্যামার ব্যবহার করে থাকে বেশিরভাগ সময়। তাই যেকোনো ফ্রি টোকেন পেয়ে খুশি হবেন না। মজার বিষয় হলো, আমি প্রতিদিন বিএসসি চেইন ১০ বারের মতো ট্রান্সজেকশন করি এবং স্ক্যামার আমাকে একই টোকেন ২ বার পাঠিয়েছে, যেন আমি লোভে পড়ে সোয়াপ করি এবং আমার ওয়ালেট হ্যাক করতে পারে।
এসব স্ক্যামাররা Waves ব্লকচেইনে আগে অনেক ছিল, প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো টোকেন ওয়ালেটে পেতাম। তবে সবগুলো "ডাস্ট এট্যাক" এর টোকেন ছিল। তাই সকলে উচিত যেকোন অপরিচিত ওয়েবসাইট ব্যবহারের পর ট্রাস্ট ওয়ালেটের সেটিংসে যাওয়ার পর "Preferences -> DApp Browser -> Clear Browser Cache " যেয়ে, ব্রাউজিং ক্যাশ এ ক্লিক করা। কারণ হ্যাকাররা অনেক সময় ব্রাউজিং কুকিস/ক্যাশ দিয়ে ওয়ালেটের এক্সেস পায়, যদি কোনো অচেনা ওয়েবসাইটের স্মাট কন্ট্রাকে অনুমতি দিয়ে থাকে। অনেক সময় স্মাট কন্ট্রাকের ওই অনুমতি ও ব্রাউজিং কুকিস/ক্যাশ ব্যবহার করে, হ্যাকার আপনার অনুমতি ছাড়াই কোনো কন্ট্রাক/সোয়াপ চালিয়ে ফান্ড নিতে পারে। আর যেমনটি @Little Mouse বললেন যে, ডিসেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জে প্রাইভেট কী অথবা পাসফ্রেজ দেয়া উচিত না।