সম্প্রতি সময় টিভির একটা নিউজ অনুযায়ী দেখলাম, কতৃপক্ষ বিটকয়েন ব্যবহারকারীদের ধরার চেষ্টা করছে। এইটা করে আমার মনে হয় না তারা বিটকয়েন ব্যবহারকারী কমাতে পারবে। আমি বুঝি না তারা কেন এইটা ব্যবহারের সু্যোগ দিচ্ছে না।
মানি লন্ডারিং কি কখনো কোন সরকার বন্ধ করতে পারবে? বিটকয়েন তো আরো ট্রান্সপারেন্ট সিস্টেম। এইখানে চুরি করে বাচা অনেক টাফ বটে।
যদিও অনেক পরে পোষ্টের রিপ্লাই দিতেছি, আশা করি তথ্যগুলো শুনে বিষয়টি বুঝতে পারবেন। গত বুলরানের সময় অনেক দেশ বিটকয়েনকে ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা শুরু করেছিল এবং রাশিয়াও তার মধ্যে একটি । আর এই ঘোষণা দেয়ার পরে রাশিয়ার কালো বাজারে (কালো বাজার বলতে সরকারি লোকচক্ষুর আগোচরে বোঝানো হয়েছে নাকি মানি লন্ডারিং ) বিটকয়েনের ব্যবহার কয়েকগুল বৃদ্ধি পায়। তাহলে বুঝতে পারতেছেন, বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোতে লোকজনের কতটা আকর্ষণ এবং এটি সকল দেশের জনগণে আছে। ইন্ডিয়াতে ব্যানের কথা চলতেছে,কিন্তু বিটকয়েনের ব্যবহার কমে নাই। তেমনি বিটকয়েনের ব্যবহার আগে থেকেই বাংলাদেশে আছে, বরং এখন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে । আর সরকারি কর্মকর্তারা যাদেরকে ধরতেছেন, তারা সাধারণত হুন্ডির সাথে জড়িত থাকে। কিন্তু এটি কখনোই খবরে বলা হয় না। কারণ এতে এক প্রকারের হুন্ডির প্রচার হয়ে যাবে।
আর এটি সত্য যে, সরকারের উচিত বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের নিয়ম-কানুন তৈরি করা, নাকি সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা। কারন সরকার যদি ক্রিপ্টো ব্যবহারের নিয়ম-কানুন তৈরি করার ঘোষণা দেয়, তাহলে বড় বড় ক্রিপ্টো কোম্পানি সরকারকে সহযোগিতা করবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, কারণ ক্রিপ্টোর তুলনায় ফিয়েটকারেন্সিতে মানি লন্ডারিং বেশি হয়।
গতকাল পর্যন্ত কয়েক দিন বেশ স্ট্রাগলের পর ফাইনালি আজকে আবার বুল রান শুরু। আমরা হয়তো খুব শীঘ্রই নতুন ATH দেখতে যাচ্ছি। আর আজকের বুল রানের পিছনের একটি কারন মাইক্রোস্ট্রেটিজির নতুন করে ১৫ মিলিয়ন ডলার এর ইনভেস্টমেন্ট।
মাইক্রোস্ট্রাটিজি যখনই বিটকয়েন ক্রয় করে, তখন মার্কেট একটু কারেনকশনে থাকে। আর যেহেতু তারা ১ বিলিয়নের সিনিয়র নোট চালু করেছিল এবং সেটির সমপরিমাণ বিটকয়েন ক্রয় করতে যেয়ে বিটকয়েনে কারেকশন এসেছিল এবং বিটকয়েন ৫০ হাজারের নিচে আসে। এরপর বিটকয়েন ফিউচার অপশন কন্ট্রাক শেষ হওয়ার সময় চলে আসে এবং সকলের মধ্যে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয় যে, বিটকয়েন আরো কমবে এবং এই মিশ্র প্রতিক্রয়াতে বিটকয়েনের মূল্য ৪৩ হাজারে চলে যায়। আর সেটির সুযোগ মাইক্রোট্রাটিজি কাজে লাগিয়ে ১৫ মিলিয়নের সমপরিমাণ বিটকয়েন ক্রয় করে। আর এই নিউজটি আসার পর মার্কেট উর্ধ্বগতির দিকে যায়। সর্বশেষ নিউজটি যতটা মার্কেটের উর্ধ্বগতিতে সহায়তা করেছে , ১ বিলিয়নের সমপরিমাণ বিটকয়েন ক্রয়ের খবর/নিউজটি ততটা সহায়তা করতে পারে নাই। তবে মার্কেট বুলরানে চলবে , কারন RSI ইন্ডিকেটরে Bullish Divergence তৈরি হয়েছে, যেমনটা তৈরি হয়েছিল জানুযারি মাসের কারেকশনের সময়ে। আশা করি, সকলে বুঝতে পারতেছেন যে সামনের বুলরান কেমন হতে চলেছে।
ফেসবুক এ দীর্ঘ দিন ধরে দেখছি একদল লোক প্রতিদিন তাদের এয়ারড্রপ থেকে পাওয়া কিংবা কোথাও ইনভেস্ট করে প্রফিট পেয়ে সেটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে জানাচ্ছে। এসব কাজ এর জন্য ফরসেজ নামক এম এল এম টাইপের একটি সাইট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যারা শেয়ার করছে তারা আপনার আমার ফ্রন্ডলিস্ট এই আছে।
ফরসেজের কথা আর বলিয়েন নাহ ভাই। যারা ডিসেন্ট্রালাইজের আসল মানেই জানে নাহ, তারা ফরসেজে কাজ শুরু করার পর এসে ভাব নেয়া শুরু করে যে, কি না কি জিনিস সে হাতে পেয়েছে। যদিও ফরসেজ একটি পিরামিড স্কিম এবং এটি আমার বন্ধুমহলের মধ্যে সকলেকে বুঝাতে গিয়ে, কিছু অতিপন্ডিতের দলের সাথে মনমালিন হয়। কারণ এটি স্ক্যাম জানার পরেও তারা প্রচার করতেছিল । আর তারা যে স্ক্রিনশটগুলো দেয়, সেগুলো প্রায় ভুয়া হয় ( নিজের ইনকামের স্ক্রিনশট নয়, সেগুলো আপলাইনারদের ইনকামে স্ক্রিনশট হয়ে থাকে) এবং একটি স্ক্রিনশট অনেকজন শেয়ার করে। তাই সকল ক্রিপ্টোব্যবহারকারীদের বলব যে, ফরসেজের মতো পিরামিড কিংবা এম. এল. এম স্কিম থেকে দূরে থাকুন।