ভাই ডিপ বলতে যা বোঝাচ্ছেন সেটা ২০১৮ সালে অনেকেই ভেবে কিনেছিল এবং পরে আমরা দেখেছি কি হয়েছিল। অনেকেই অনেক টাকা লস খেয়েছে কারন দাম অনেক কমেছে।
আমি ২০১৮ সালে ডিপ ডিপ বলে অনেক ক্রয় করেছি। মনে হয়েছিল এইটাই ডিপ, আর যাবেনা কিন্তু পরে অনেক ধরা খেয়েছি। এইরকম বুল মার্কেটের সময় অনেক ভাবনা চিন্তা করতে হয় ভাই।
ডিপ আসবেই যখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তাদের লাভ বের করা শুরু করবে, তবে আপনি স্টাবল কারেন্সি পেয়ারের মূল্য হিসেবে এন্ট্রি নিতে পারেন। আমার অভিজ্ঞতাই বলি, ২-৩ দিন আগে আমি Stellar (XLM) এ বিনিয়োগের চিন্তা করছিলাম, কিন্তু অলসতার কারণে বিনিয়োগ করা হয়নি। আর আজকে Stellar (XLM) এর মূল্য প্রায় ২গুণ মূল্যে চলে গিয়েছে। তাই এখন ডিপ আসার সম্ভাবনা আগের থেকে কম এবং অল্টরানের পর নতুন করে ডিপ পেতে পারি, আমার যেটা মনে হয়।
আসলে ২০১৭ এর বুল রান আর এই বুল রান এক না। যে সব কারণে এই বুল রান এ ২০১৭ এর মতো মার্কেট ক্র্যাশ করবে না তা তুলে ধরছি।
নিউজ সোর্স থেকে এসব পড়ে, কখনোই বলা যাবে না যে এবারের বুল রান ২০১৭ থেকে আলাদা। তার একটি কারণ বলতেছি, প্রত্যেকটা নিউজপোর্টাল টাকার বিনিময়ে নিউজ পাবলিশ করে। বিশ্বাস যদি না হয়, তাহলে একটি প্রশ্নের উত্তর খুজেন যে, কোনো একটি প্রজেক্ট সম্পূর্ণভাবে লঞ্জ/চালু হওয়ার আগেই কেমন করে "টপ অল্টকয়েন ২০২০" শিরোনামযুক্ত নিউজের লিষ্টে চলে আসে । আর প্রত্যেকটা নিউজ রিপোটাররা ইনকাম করে , এইসব বায়েস্ট নিউজ পাবলিশের মাধ্যমে। আর আপনি যে নিউজ সোর্স থেকে বলেছেন যে, আগের তুলনায় এক্সচেঞ্জগুলোতে বিটিসির হোল্ডিং কিংবা ট্রান্সজেকশন কম। এটার উত্তর সকল ক্রিপ্টো ব্যবহারকারীর জানা। কারণ এই বছরে যত এক্সচেঞ্জ হ্যাক হয়েছে, কোনো ইনভেস্টরই চাইবে যে তার বিটিসি এক্সচেঞ্জে রাখতে, এছাড়াও এখনো বিটিস নতুন একটি সর্বোচ্চ মূল্য তৈরি করে নাই। তাহলে তারা এক্সচেঞ্জে বিটিসি ট্রান্সফার করার কোনো মানেই হয় না। শুধু বিটিসির সর্বোচ্চ মূল্যের অপেক্ষায় থাকুন, আজ হোক আর কাল হোক মার্কেটে অবশ্যই আবার নতুন ডিপ দেখা যাবে, আর সেটি আগের মতোই হইতে পারে। তবে কত মূ্ল্যের ডিপে যাবে, সেটি কেউ বলতে পারবে না, যেমনটা বিটিসির সর্বোচ্চ মূল্য কেউ বলতে পারবে না।