বিটকয়েন এর অসুবিধা সমূহঃ
১। মাইনর ট্রানজেকশন এপ্রুভ করতে অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত সময় নিয়ে থাকে।
বিটকয়েন এর ব্লক সাইজ লিমিটেড, ১ মেগাবাইট মাত্র যদিও সেটাকে সেগউইটের মাধ্যমে ৪ মেগাবাইটে নেয়া হয়েছে। যখন বিটকয়েন এ অনেক লেনদেন হয় তখন ট্রাঞ্জেকশন কনফার্ম হতে দেরী হয় কারন প্রতি ১০ মিনিটে গড়ে একটি ব্লক হয়। ১টি ব্লকে তো আপনি ৪ মেগাবাইটের বেশী তথ্য রাখতে পারবেন না। তাই লেনদেন এর পরিমাণ বাড়লে দেরী স্বাভাবিক।
এখন আসি বর্তমান ব্যাংকিং এ। আপনি জানেন কি ব্যাংক আপনাকে অনেক সময় ফান্ড নেই বলতে পারে? মনে করুন আপনার একাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা আছে এবং আপনি তা তুলতে চাচ্ছেন। ব্যাংকে গেলেন, কিন্তু তারা বলল এখন তো ফান্ড নেই, কিছুক্ষণ পরে আসুন কিংবা কাল আসুন। আমি জানিনা কেউ এইরকম পরিস্থিতি দেখেছেন কিনা। আমি দেখেছি এবং এইটা যুক্তিসংগত। যখন ব্যাংকে জমার চাইতে উইথড্র বেশি হবে তখন এইরকম হতে পারে।
২। অকেন সময় বেআইনি কাজে ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশে অনেকেই ইয়াবা, পেন্সি সেবন করে থাকে, সেটা টাকা দিয়ে। টাকার ব্যবহার আপনি কিভাবে করছেন সেটা আপনার উপর। ঠিক তেমন বিটকয়েন এর জন্যেও।
৩। কোন সেবা না পেলে তার মূল্য আর ফেরত পাওয়া যায় না।
আমার মনে হচ্ছে আপনি বিটকয়েন এর চার্জব্যাক না থাকার কথা বলছেন। আচ্ছা, পেপাল এর ক্ষেত্রে ডলার পাঠিয়ে তা আবার ফেরত নেওয়া যায় চার্জব্যাক করে। তাহলে কোনটা ভালো?
৪। বিটকয়েন ওয়ালেট নষ্ট হয়ে গেলে তা আর ফিরে পাওয়া যায় না।
ওয়ালেট নিয়ে উপরে কোন এক ভাই লিখেছেন। ভালো করে পড়ুন, জানুন। না জেনে ভুলভাল তথ্য শেয়ার করবেন না।
৫। বাজার মূল্য অস্থিতিশীল।
এর বিভিন্ন কারন রয়েছে। এইটা একটা নন রেগুলেটেড মার্কেট। এর পিছনে কোন কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক নেই। বাই দ্য ওয়ে, অস্থিতিশীলতা যদি পজিটিভ হত সবসময় তাহলে এইটা কেউ বলত না।