আমি অপেক্ষায় ছিলাম মিল্টন সমাদ্দার এই ব্যাপারে কি বলেন। কিন্তু লোকটা তার কথার কোনো দলিল দিতে পারে নাই। তার ভাষ্যমতে ১০০০ লাশ সে দাফন করেছে। তবে গোরস্থান খুজে ৫০ টির ও কম কবরের সন্ধান মিলেছে। বাকি কবরের কোনো রশিদ বা কিছুই সে দিতে পারেনি। তার বক্তব্য হলো তিনি গোপনে দাফন করেছেন যে কারনে তিনি রশিদ নেন নাই। আর যেই মসজিদে লাশ গোসলের জন্য পাঠানো হতো, সেখানকার লোকজন প্রায় প্রতিটা লাশে কাটাছেড়া দেখতে পেতো। প্রথমে কিছু না বললেও পড়ে ওনারা মিল্টন সমাদ্দারকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সেই মসজিদে লাশ পাঠানো বন্ধ করে দেন।
আর ওনার বিরুদ্ধে অবৈধ দখলদাড়ি থেকে শুরু করে মানুষের ওপর অত্যাচারের ভিডিও ফুটেজ আমি দেখেছি। এই লোকটা তার আশ্রমের টাকাকে নিজের টাকা মনে করে যখন যেখানে খুশি ব্যাবহার করেছে। আশ্রমের স্টাফদেরকে বানিয়েছে লাঠিয়াল বাহিনি। সাভারে আশ্রমের পাশের জমি জোড় করে দখল করে স্থাপনা তৈরী করেছে। বাধা দেয়ায় সেই লোক কে বেধরক পিটিয়েছে। তার ইন্টারভিউ দেখলাম, আমার আর ভালো মনে হচ্ছে না।
হ্যাঁ লাশের এই টপিকটা যদি বলি, এদিক দিয়ে তিনি একটু (-১) পরিস্থিতিতে আসেন! আমি পার্সোনালি জানিনা/জানতাম না যে লাশ দাফনে এনআইডি/পরিচয়পত্র বা অন্যান্য পারমিশনের দরকার পড়ে। সিরিয়াসলি আমি জানতাম না। আর তিনি যাদের দাফনের কথা বললেন, তাদের বেশিরভাগই রাস্তার লোক, ফালায়ে দেয়া লোক, যাদের কোনো পরিচয় নাই। এই পয়েন্টটা মাথায় রাখতে হবে। ২য়ত ইন্টারভিউ এ দেখলাম তিনি বিভিন্ন মন্তনালয়ে এই লাশ দাফনের পারমিশন নিয়ে যেনো ঝামেলা না হয়, সেটার আবেদন জানিয়েছেন, এই পয়েন্টটাও কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। এমন না যে তিনি পুরো টপিকটাই এড়িয়ে গেছেন।
মসজিদের বিষয়টা নিয়ে আমি ঐভাবে কিছু বলতে পারতেছিনা।
আরেকটা কথা বলি, বাংলা হিসাব, অঙ্গ যদি চুরি করেই থাকে, সেটাতো লাশ বের করলেই বের হয়ে আসবে তাইনা? মেডিকেল সাইন্স, ফরেনসিক এগুলো তো আর কম আগাই নি। এখন ২০২৪ চলতেছে, আবশ্যই আমাদের কাছে ঐ টেকনোলোজিটা আছে যেটা দিয়ে কোনো অরগান মিসিং আছে কিনা বের করা সম্ভব! সেটা করলেই তো হয়!
আমি এখন শুধু বসে আছি প্রশাসনের দিক চেয়ে, দেখি তারা কি বলে। এতবড় একটা ভাইরাল ইস্যু, উপরমহল এখানে তদন্ত করবে না এটা হতেই পারেনা।
আমারে আবার কেউ গালিগালাজ কইরেই না, আমি সত্যরে সাপোর্ট করি। আমি চাই যে আসল সত্যটা বের হোক।
পাপ ছাড়ে না বাপেকে। মিল্টন সমাদ্দার অতিরিক্ত পাপ করেছিল এবং তার সেই পাপের খেসারত এখন তাকে দিতে হবে।
আবেগের বশে এইসব বইলেন না, এখনো অভিযোগ পর্ব শেষ হয় নাই, শেষ হোক, সত্যতা যাচাই করুক প্রশাসন, তারপর আবেগি কথা বইলেন! এখন পর্যন্ত কেউই ১০০% কোনোকিছু প্রমান করতে পারে নাই/পারতেছেনা! মানুষ খায় নেগেটিভ ভাইরালে, আর মিডিয়াও ঐভাবে বিষয়গুলো প্রচার করে যাচ্ছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনো কিছুরই সিউর দেয়া যাবেনা।