এটা স্ক্যাম না হলেও, স্ক্যামারদের কে স্ক্যাম করার যে একটা আনন্দ, সেটা বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল দেখলে বুঝা যায়। কিটবুগা নাকি কি একটা চ্যানেল যেনো ছিলো, এক সময় আমি তার ভিডিও দেখতাম যে কিভাবে তারা স্ক্যামারদেরকে বিরক্ত করে। সামনে ঈদ এগিয়ে আসছে, আর স্ক্যামারদের কাজের পরিমান অনেক বেশি পরিমানে বেড়ে গেছে। সপ্তাহ খানেক আগে আমার এক বন্ধু বিদেশ থেকে আমার কাছে হুন্ডি ব্যাবহার করে নগদে টাকা পাঠিয়েছে। গতকাল একটা স্ক্যামার ফোন দিয়ে বলতেছে ভাইয়া এতো টাকা পাঠাইছিলাম পেয়েছিলেন? মজার ব্যাপার হলো ট্রু কলারে কে যেনো ওর নাম্বার বিকাশ স্ক্যামার নামে সেভ করে দিছে। মুচকি একটা হাসি দিয়ে একটা গালি দিয়ে ফোন রেখে দিলাম। তারাবির নামাজ পড়ে বাসায় আসার পর আরেক নাম্বার থেকে কল দিয়ে বলতেছে আপনার নগদ একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছি। আমি সুন্দর করে বললাম মাদার**, কোন ** ফালাইতে পারোস ফালা গিয়া। হুদাই আমার টাইম নষ্ট করিছ না। তারপর আস্তে করে কেটে দিছি। চাইলে মজা নিতে পারতাম, কিন্তু আমি সারাদিন থাকি ব্যাস্ত, এদের সাথে টাইম নষ্ট করার কোনো মানে হয় না।
আচ্ছা ভাই এদের নিয়ে কি করা যায় বলেন তো? আমরা তো প্রতিনিয়ত জাস্ট এরকম কল পাই এবং এভয়েড করে যাই, এটা মনে করে যে আমি তো আর স্ক্যামের শিকার হচ্ছি না। তবে আমি একটা বিষয় চিন্তা করলাম এখন যে আমি আপনি স্ক্যামের শিকার না হলেও হয়তো অন্য আরেকজন স্ক্যামের শিকার হতেও পারে। অবশ্য কেউ নিজে চিপায় না পড়লে হ্যাসেল নিতে চায় না।
তবে এদের নাম্বার গুলো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এর কাছে রিপোর্ট করা উচিত।
কিছুদিন আগে আমার বাবাকেও স্ক্যামাররা কল করে, বলতেছে আপনি ২৬ লক্ষ টাকার একটা গাড়ি জিতেছেন আব্বু তাদের আরেকটি কথা বলার আগেই, আমি গাড়ি চালাতে পারি না বলে কল কেটে দিয়েছে।
ভাই এখানে সবার শিক্ষার অভাব আছে,
কারণ এক ডলার ইনকাম করলেও সেটার জন্য বৈধতা নেওয়ার জন্য সবাই লাফালাফি করে বড় বড় নিউজ পেপার গুলা বা অনলাইন পোর্টাল গুলা নিউজ করে যে অমুক জন এতো ডলার ইনকাম করেছে। এগুলা আসলে শিক্ষার অভাব এখন বুঝবে, যারা এতদিন মনে করেন যারা ইউটিউব থেকে ইনকাম করছে বা বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকাম করে ফ্রিল্যান্সিং এসে সম্পাদক তথ্য দিয়েছে। তারা তথ্য লুকাইতে পারবে না গাড়ি-বাড়ি থেকে শুরু করে ব্যবহারের যা কিছু করছে সবকিছুর উপুড়ে এবার মনে করেন ট্যাক্স বসবে। ভাই আমার নিজের ইটিন করা আছে আমি দুইবার রিটার্ন জমা দিয়েছি কিন্তু আমার কোন চার্জ আসেনি যদিও আমি অনলাইনে নিজে নিজেই সব করেছি এই কারণে হয়তো চার্জ আসে না।
রিটার্নে কি আপনার ইনকাম সাড়ে তিন লাখ এর নিচে ছিল?
আসলে আমি আরো দুই বছর আগে ই-টিন বানিয়েছিলাম এবং সেটি ব্যাংকে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু এখনো পর্যন্ত একবারও রিটার্ন ও দেইনি। যদিও কয়েকবার ফর্ম কিনে বাসায় এনে রেখে দিয়েছি আলসেমের ফিলাপও করেনি দেওয়া হয়নি। নিজে নিজে কি অনলাইনেই আপনার রিটার্ন সাবমিট করে দিয়েছেন?
আমি তো আবার ভাবতেছিলাম আমাকে অফলাইনে ব্যাংক স্টেটমেন্ট সহ ইনকাম ট্যাক্স অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে। দুই বছর যাবত কোন রিটার্ন দেইনি এখনো পর্যন্ত আমাকে কেউ কোন নোটিশ দিল না।
অনলাইনে ইনকামের উপর সরকার যে চার্জ বসাবে সেটা মূলত একটি রেঞ্জের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে বিশেষ করে যখন সরকার আইটি আয়কর ধার্য করবে তখন হয়তো ন্যূনতম একটি (১০০০ ডলারের নিচে যাদের বার্ষিক ইনকাম তাদের ক্ষেত্রে হয়তো আয়কর ধার্য নাও হতে পারে) যদিও এটা আমি আমার ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করলাম এমন তো হতে পারে। তবে একটি বিষয় কমে যাবে যেটা হলো অনলাইনে, ফেসবুকে, নিউজপত্রের আনাচে কানাচে অনেক ফ্রিল্যান্সারদের লাইফ হিস্ট্রি, ইনকাম হিস্ট্রি ঢালাওভাবে তুলে ধরা হয় যদি আইটি খাতে ইনকাম ট্যাক্স ধার্যকর করা হয় তাহলে এইসব বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন ফ্রিল্যান্সারদের লাইফ হিস্ট্রি ঠিক এভাবে আসবে কোনমতে দিন আনে দিন খায় এর মত।
অনেক ফ্রিল্যান্সাররা রয়েছে যারা অবিবাহিত এবং এই বিজ্ঞাপন তাদের জন্য অবশ্যই দরকার কেননা বিবাহর আগে বিজ্ঞাপন দিয়ে কনে পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য দিয়ে থাকতে পারে।
১০% ধার্যকর করা হলে বাংলাদেশ থেকে অনেক ফ্রিল্যান্সার ইনকাম ট্যাক্স এর ভয়ে নিজেদেরকে আর আত্মপ্রকাশ করবে না।
আপনাদের আলোচনা থেকে আমি এখনো পুরোপুরি ভাবে ক্লিয়ার হলাম না যে ফ্রিল্যান্সারদের ইনকাম আগে ইনকাম ট্যাক্সের বহিরভূত ছিল যে তাদের সাড়ে তিন লাখ এর অধিক ইনকাম থাকলেও ১৫% ট্যাগ দিতে হয় না।