ভোট কাকে দেবো?
প্রতিযোগিতা থাকলে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা থাকে, কিন্তু অতি দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আমি ভোট দিতে গিয়েছিলাম এবং গিয়ে দেখি ভোট কেন্দ্র ফাঁকা। তাই এই বছর আমি সিরিয়াল ছাড়া ভোট দিতে পেরেছি এটাই আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দ আমি ভোট মিস করিনি। তবে আমি পরিস্থিতি দেখে বুঝতে পেরেছি প্রচুর জালিয়াতি হয়েছে ভোটকেন্দ্রে।
অনেক জালিয়াতি ভোট দিয়েছে জনগণ, আমার এক পরিচিত ভাই একাই 27 টি ভোট দিয়েছেন ভোট দিয়েছে। হাজার চেষ্টা করে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মোট ৪০% ভোট কাউন্ট হয়েছে, কিন্তু সারা বাংলাদেশ জুড়ে অরিজিনালি ভোট এত কাউন্ট হয়নি। ৪০% দেখানো হয়েছে সম্পূর্ণ জালিয়াতি করে বাহিরের দেশগুলোকে প্রমাণ দেওয়ার জন্য এই কাজগুলো করেছে বাংলাদেশের সরকার।
আসলে একটা দলের সাপোর্ট করলেই তার গুনগান গাইতে হবে এমন কোনো কথা নয়। আমার বাবা চাচারা সব সময় আওয়ামীলীগ করতো এবং চাচারাও এখনো করছে। কিন্তু একই সরকার বার বার দেশের ক্ষমতায় থেকে দেশে কি উন্নয়ন করছে, জনগনের অধিকার কতোটুকু আছে, সেগূলো দেখার মতো বিষয়। আমাদের গ্রামের ম্যাক্সিমাম মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। সরকার দেশের স্ট্রাকচারাল উন্নয়ন করছে, তবে সেগুলো শুধুই শহরের ভেতরেই সীমাবদ্ধ। আমার এতোটুকু বয়সে, আমার গ্রামের পিচে ঢালাই রাস্তাটার সংস্কার হতে দেখিনি। একই এম পি ১৫ বছর থাকার পরেও গ্রামের এই রাস্তায় একটা ইট অব্দি আসে নাই। রাস্তাটা যে, পিচের, সেটা বোঝার কোনো উপায় নেই। ২০ বছরে যদি একটা রাস্তা মেরামত না হয়, তবে সেই সরকার দিয়ে মানুষ কি করবে? সরকারের কাছে তো মানুষ ভাত কাপড় চায় না। চায় ভালো রাস্তা, চিকিৎসা ব্যাবস্থা, শিক্ষা, এগুলোই। সরকার গ্রাম পর্যায়ে কতোটুকু কাজ করেছে সেটা গ্রামে এসে দেখে যান সবাই। আমাদের গ্রামের মানুষের একটাই কথা, উন্নয়ন যেহেতু শহরে করেছে, তাইলে শহরের মানুষ ই ভোট দিক। আমরা ভোট দিবো না। আর সেই প্রভাব এই বারের এম পি ইলেকশনে পরেছে। সতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছে।
আসলে ভাই সরকার দেশের উন্নয়ন করুক বা না করুক জনগন ভালো চিকিৎসা উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা পায় বা না পায়, জনগন চায় সুস্থ নির্বাচন। যেই সরকার হোক ৫ বছরের উপরে তো আর জনগণ না চাইলে থাকতে পারবে না। ৫ বছর হয়তো জনগণের কষ্ট হবে, কিন্তু আমাদের কপাল পোড়া বাংলাদেশের এমন অবস্থা হয়েছে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নাই দেখে জনগন ভোট দিতেই যায় নাই। জনগণ চায় তাদের পছন্দ মতো সরকার ঘঠন করবে, কিন্তু সেই সুযোগ পাচ্ছে না।
আর নির্বাচন এর ব্যাপারে আমি বলবো, এখানে একটা আন্তর্জাতিক আইন থাকা উচিৎ। কোনো দেশে যদি ৫১ শতাংশ এর কম ভোট কাউন্ট হয়, তাইলে সেই নির্বাচন পুনরায় করতে হবে। কারণ যেই দেশে ৩০% ভোট এ সরকার নির্বাচিত হয়, সেটা কখনোই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না।
আমাদের বাংলাদেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নাই। নির্বাচন এখন একতরফা হয়ে গেছে। আমি নিউজে মনে হয় দেখেছিলাম নির্বাচন কমিশনার মনে হয় ৪০% মতো ভোট কাউন্ট এর কথা বলেছিলেন কিন্তু বলেছিলেন এটা সঠিক নাও হতে পারে। আমি নিউজটি বললাম এটা সত্য নাও হতে পারে। তবে আমি মনে করি ৩০-৩৫% বেশি ভোট কাউন্ট হয় নাই। তাইলে তো আর সরকার কীভাবে ঘঠন করে বুঝি না? দেখা যাক শেষ পরিনতি কি হয়। নির্বাচন মনে হয় না আবার হবে।