যারা যা পায় তাই খায় টাইপ ইউজার, যারা ১০-১৫ টা আইডি দিয়ে লোভে পড়ে বাউন্টি করে তারাই পরে মারা খায়। আর এরকম করে কদিনই বা চলবে। অন্যদিকে এমন সুন্দর সুন্দর বাউন্টি ম্যানেজারের ক্যাম্পেইনে এমন সুন্দর সুন্দর মানুষরাই যায়।
আমি মনে করি, যেকোনে বাউন্টি/সিগেন্চার হোক না কেনো, একজন রেপুটেড ম্যানেজারের টা করা উচিত। আর এখন বেশিরভাগ অথেনটিক বাউন্টি/সিগ্নেচার এসক্র না করে পরিচালনা হয়না। এসক্র থাকলে একটা আশ্বাস থাকে, না আমার টাকা মারা যাবেনা।
বাউন্টি ক্যাম্পেইন বলতে বর্তমানে সোশ্যাল ক্যাম্পেইন করাটাকে আমি মনে করি শুধু নিজের সময় টাকে নষ্ট করা। বর্তমানে এমন প্রজেক্ট খুবই কম রয়েছে যারা ইউজারদের অথেন্টিক্যালি যে প্রাইস পুল দেওয়া থাকে সেটাই দেয়, বেশিরভাগই বলা চলে এক প্রকারের ইস্কাম করে বাউন্টি হান্ডারস্টদের সাথে।
আমি আমার পরিচিত লোকজনদের কাছ থেকে শুনেছি যে ২০১৮ ২০১৯ তখন অনেকটা লাভজনক ছিল এই বাউনটি ক্যাম্পেইন করে তখন বলে অনেকে মাসে ঘরে লাখ টাকার উপরেও কামিয়েছে এই সোশ্যাল ক্যাম্পেইন করে।
যাইহোক বর্তমানে যদি অ্যাসক্রো করা সোশ্যাল ক্যাম্পেইনও হয় তাহলেও অনেক সময় দেখবেন সেটা করেও কোন লাভ হয় না কারণ যা টোকেন দেয় সেগুলো একদম ভ্যালুলেস থাকে , এগুলো শুধু আমি একটু পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। তবে অ্যাসক্রো করা রয়েছে ইউএসডিটিতে অথবা বিটকয়েনে অথবা অন্য কোন টপ লেভেলের কয়েনে সেইসব ক্যাম্পেইন করতে পারেন। তাছাড়া আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ থাকবে যে এই সোশ্যাল ক্যাম্পেইন গুলো করার থেকে ফোরাম এক্সপ্লোর করে নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করে নিজের রেঙ্ক বৃদ্ধি করে সিগনেচার ক্যাম্পেইন করুন সেটাতে আমি মনে করি অন্তত সোশ্যাল বাউন্টি ক্যাম্পেইন থেকে কয়েকগুণ ভালো হবে।
ভাই আগে অনেক অনেক অনেক ভালো বাউন্টি কাম্পেইন আসতো। ছোট বড় ভাই ব্রাদার সবাইকে দেখতাম জাস্ট বাউন্টি করে হাজার হাজার লাখ লাখ টাকা কামাইতো। এমনকি একজনকে বাউন্টির টাকা দিয়ে বাড়ি গাড়ি ক্রয় করতে দেখছি। তখনই যুগ ছিল। এই আর কতদিনই বা হবে ৩-৫ বছর আগে (আমি করতাম না, অনেক বিজি ছিলাম তখন পড়াশোনা নিয়ে)। আর বর্তমানে যেসব বাউন্টি চলে, তার বেশিরভাগই শিটকয়েন যার কোনো ভ্যালু নাই, বা যার সোসিয়াল মিডিয়া স্টেক অনেক কম। সপ্তাহে ফেসবুক, টুইটার, টেলিগ্রাম, রেডিটে ৩ বেলা ৫ টা পোস্ট শেয়ার লাইক ++ করে মাত্র ৫-১০ স্টেক পাওয়া যায়। আমি মনে করি, বাউন্টি সেক্টরটা নষ্ট করছে, স্প্যামররা। একেকজন ১০-২০ টা করে একাউন্ট থেকে বাউন্টি করলে, কোম্পানি তো মুখ সরে নিবেই। এমন হাজার হাজার ফেক ইউজারের থেকে কিছু হাতে গোনা অথেনটিক ইউজার থাকা ভালো। আপনার শেষ কথাটা ঠিক, সিগ্নেচারের বিকল্প নেই। যারা বাউন্টি করে, তারা মূলত অলস কিসিমের লোক। অন্যদিকে সিগেন্চারে তো সেই সুযোগ নেই, উল্টাপাল্টা স্প্যাম পোস্ট দিলেই আউট, তার সাথে প্রতিজনের পোস্ট রুগুলার মনিটর করা হয়, সাথে লিমিটেড স্লট তো আছেই।