বাংলাদেশের মাশরাফি বিন মর্তুজা (ই অরেঞ্জ), সমস্ত পপুলার লোক যদি কোন প্রজেক্ট এর সাথে জড়িত থাকে তাহলে সেই প্রজেক্টে ইনভেস্ট করতে ভয় কিসের। এখানেই প্রতারক চক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল যা সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ই অরেঞ্জের Brand Ambassador ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা প্রথম কথা হলো, যতো নামী দামি সেলিব্রেটির কথাই বলেন না কেনো, একটা প্রোজেক্ট কখনোই লসে বেশি দিন রান করতে পারবে না।
তাছাড়া মাশরাফি কেনো, কোনো সেলিব্রেটিই জানে না যে কোন কোম্পানি স্ক্যাম করবে আর কোনটা করবে না। সাধারন মানুষকে স্ক্যাম কোম্পানির কাজের প্যাটার্ন বুঝতে হবে। যে কোনো অফার দেখে যদি মনে হয় যে এতা কমে কিভাবে দিচ্ছে, ধরে নিবেন যে এটাই স্ক্যাম। আমি নেট এ ইভ্যালির কাজের প্যাটার্ন নিয়ে পড়েছিলাম। ধরেন তারা একদিনে ১০০ টি ইয়ামাহা বাইকের অর্ডার পেলো। প্রতিটা ইয়ামাহা বাইকের দাম ২ লাখ ৫০ হাজার। কিন্তু ইভ্যালি থেকে কিনলে পাচ্ছেন ২ লাখ টাকায়। দারুন অফার, তাই না?
এটাই তাদের ট্র্যাপ। ২ লাখ টাকা করে ১০০ টা বাইকের অর্ডার পেলো ১ টা ব্ল্যাক ফ্রাইডে তে। তারা মোট ক্যাশ পেলো ২ কোটি টাকা। এবার তারা ইয়ামাহা কোম্পানি থেকে ২০ টা বাইক নিলো ৫০ লাখ টাকায়। এখানে ইয়ামাহায় পরিশোধ করলো ৩০ লাখ আর বাকি রাখলো ২০ লাখ। তাদের মোট খরচ কতো হলো? শুধু ৩০ লাখ টাকা। তারা এই ২০ টা বাইক ডেলিভারি দিবে। বাকি ৮০ টা ডেলিভারি পেন্ডিং থাকবে। পরের শুক্রবার আবারো ১০০ বাইকের অর্ডার পেলো, এবারো একই কাজ করলো। প্রতি ব্যাচ অর্ডার থেকে ২০% পন্য ডেলিভারি দিবে। গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে, আবার বাইক কোম্পানির কাছেও বাকিতে মাল নিচ্ছে। এভাবে কোম্পানির দায় হবে কয়েক হাজার কোটি টাকা। এদিকে ডেলিভারি দেয়ার জন্য গ্রাহক রা অভিযোগ করতে থাকবে আর ওরা কপি পেষ্ট রেসপন্স করতে থাকবে। একদিন হুট করে কোম্পানি গায়েব।
সাধারন মানুষের বোঝা উচিৎ, যেখানে যারা উৎপাদন করে, তারা ২ লাখ ২০ হাজারে দিতে পারে না, অন্য কোম্পানি ২ লাখে দেয় কিভাবে? নিজের কাছে প্রশ্ন করতে হবে। যদি সঠিক উত্তর থাকে, তাহলে টাকা দিবেন, না থাকলে দিবেন না।
আবারে এসব স্ক্যাম আসবে, অন্য কোনো নামে, অন্য কোনো মোড়কে! আর আমরা বোকা জাতি আবারো ঝাপিয়ে পড়বো! দোষ সাকিব আল হাসানের বা মাশরাফির!