আমরা সচরাচর যে স্মার্টফোন ব্যবহার করি তাতে যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ইন্সটল করার সময় আমাদের কাছ থেকে মোটামুটি সব ধরনের এক্সেস নিয়ে নেয়। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের নিরাপত্তা কোথায় তাহলে? ২০১৭ সালে একবার আমি এরকম ভুলবশত ফিশিং অ্যাপ ইন্সটল করে অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। যা আমার জীবনকে তছনছ করে দিয়েছিল। এখন ভাই এই অবস্থা থেকে কি আমাদের পরিত্রাণের কোন পদ্ধতি নেই?
দুঃখ প্রকাশ করছি আপনার খারাপ অভিজ্ঞতার জন্য। আর আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে বলা যায়, সত্যিকার অর্থে পরিত্রাণের পুরোপুরি কার্যকরী কোন পদ্ধতি নেই তবে কিছু বিষয়ে সচেতন হলে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া যায়। আর ফিশিং অ্যাপের বিষয়ে সতর্ক হতে অবশ্যই ট্রাস্টেড সোর্স যেমন Playstore বা AppStore থেকে অ্যাপ ইন্সটল করবেন।
আমরা জানি গুগল তাদের Google Service Framework, Google Play Services ইত্যাদির মাধ্যমে ইউজারদের ডাটা কালেক্ট করে। আর আমরা যেহেতু অধিকাংশই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করছি তাই গুগলের এই অ্যাক্সেসগুলো আমরা চাইলেও পুরোপুরি বন্ধ করতে পারিনা। আমরা ফেসবুকে বা ওয়েবসাইটে যেসব আমাদের রিলেটেড অ্যাড দেখি এগুলোর কারণ হচ্ছে, আমরা যখন কোন কিছু সার্চ করি বা কোন ওয়েবসাইট এ ঘোরাঘুরি করি তখন ওই ওয়েবসাইট আমাদের ডিভাইসে কুকি ইন্সটল করে দেয় যা আমাদের এক্টিভিটি গুলো এড নেটওয়ার্কের কাছে বলে দেয় এবং সে অনুযায়ী আমরা এড দেখতে পাই। আর আমাদের পারমিশন গুলো তো সাধারণত দেওয়াই থাকে। এখন কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য নিচের সাধারণ পদক্ষেপটি নেওয়া যেতে পারে:
✓ ফোনের অ্যাপ পারমিশনে গিয়ে সাধারণত দেখতে পাবেন সবগুলো পারমিশন (Allow Only While Using The App) করা আছে। ওইখানে আপনি (Ask Everytime) অপশনটি পাবেন এবং সেটা অন রাখতে পারেন। এতে আপনার অজান্তে ক্যামেরা, মাইক্রোফোন বা কোন তথ্য ওই মাধ্যম ব্যবহার করে অ্যাপ সংগ্রহ করতে পারবেনা।
এভাবে আপনি প্রতিটা অ্যাপের জন্য পারমিশন সেট করে নিতে পারবেন।
✓ ফেসবুকে এ ধরনের এড বন্ধ করার জন্য settings থেকে AD Preferences অপশনগুলো হাইড করে রাখতে পারেন। তারপর Ad Settings থেকে ( Data About Your Activities From Partners) অপশনটা অন থাকলে অফ করে দিতে হবে।
যতটুকু নিজে জেনেছি ততটুকু শেয়ার করার চেষ্টা করলাম এবং জানি হয়তো ১০০% কার্যকরী না তবে কিছুটা উপকার দিবে আশা করি।