আসলে ভাই বাইনান্স এমন একটা জায়গায় রয়েছে যে এটাকে ট্রাস্ট করি না কিন্তু আবার ট্রাস্ট না করার উপায় নাই।
তার মধ্যে বাইনান্স BUSD কে ডি-লিস্টেড করেছে দেখেই আমার ভয়, কারণ যে কোন সময় যদি FDUSD ডিলিস্টেড করে দেয় তাহলে এটারও ধ্বস নেওয়া যাবে কারণ বাইনান্স ছাড়া আর দুই একটা যে সব সেন্ট্রালাইজ এক্সচেঞ্জারে লিস্ট রয়েছে সেগুলোতেও ডি লিস্টেড করে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
তাছাড়া আমি মনে করি FDUSD কে যদি বাইনান্স ডিলিস্টেড করে তাহলে আমি তো আমার ফান্ড ফেরত পাব, যদিও আমি এ বিষয়ে শিওর না।
আপনি যদি অনলাইনে একটিভ থাকেন, তাহলে ডি লিস্ট হওয়ার আগে অবশ্যই জানতে পারবেন। BUSD ডিলিস্ট হওয়ার পেছনের কারণ হলো বাইনান্সের দুর্নীতি যার কারনে সিজে অব্দি বাইনান্স থেকে লিভ নিতে বাধ্য হয়েছে। বাইনান্সের এরকম দুর্নীতি নিয়ে কিন্তু কয়েন আলাপে অনেক আগে একটা আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছিলো। বাইনান্স এর প্রতিটা BUSD এর বদলে এক ডলার করে ব্যাক রাখার কথা ছিলো। কিন্তু তারা প্রায় রিজারভ থেকে ডলার সরিয়ে লেনদেন করতো। পরবর্তীতে বাইনান্স সেই রিজার্ভ আবার ফিল করেছে কি না এরকম কোনো আপডেট তারা জানায়নি। সর্বশেষ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ ডিপারমেন্ট এর মামলায় সম্ভবত অনেক কয়েন বাইনান্স থেকে রিমুভ করা হয়। এর মধ্যে BUSD একটা। বাইনান্স ডিলিস্ট করার আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে এটা ডিলিস্ট করে দেয়া হবে। আমার মনে হয় না বাইনান্স একই ভুল আবারো করবে। সুতরাং আপাতত টেনশন ফ্রি থাকতে পারেন।
সেটা অবশ্য ঠিক কথা ন্যাড়া বেলতলা একবারই যায়। হয়তো বাইনান্স এর ক্ষেত্রেও এটাই হবে এক ভুল দুইবার না করুক। এটা ঠিক যে অনলাইনে একটিভ থাকলে ডিলিস্টিং এর নিউজ আগে থেকেই পাওয়া যাবে তবে আগে থেকে যখন এই খবরটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে আমি ভাবতেছি তখন সেই কয়েনটা স্টেবল কয়েন থেকে মিম এর মতন ডাউন না খেলে হচ্ছে।
আপাতত আমার FDUSD ক্যাশ করার কোন ইচ্ছা নেই তবে বর্তমানে লাঞ্চ পুলের মধ্যেই স্ট্যাকিং করে তৃপ্তি পাচ্ছি না, প্রচুর কম রেওয়ার্ড পাচ্ছি। যেটা কিছুদিন আগেও বর্তমানের দ্বিগুণ ছিল।
যাইহোক ভাই Bybit এর লাঞ্চ পুল এর কি অবস্থা সেখানেও কি কোন স্টেবল কয়েন রয়েছে যে স্টেক করা যাবে?
ভাই আমরা চাইলে বেশিরভাগ দেশের পন্য বয়কট করতে পারি। কিন্তু আমরা পারি না চোরের বাচ্চাদের জন্য। বাংলাদেশের অসাধু ব্যাবসায়ীদের জন্য। এরা সুযোগ পেলেই দুনিয়ার সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়। ভারতের পেয়াজ রপ্তানি বন্ধের নিউজের সাথে সাথে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা কিভাবে দাম বেড়ে যায় সেটা কি দেখেছেন? সব পন্যের ক্ষেত্রে এরকমই হবে। আজকে হয়তো আমরা নিজের বয়কট করছি বলে দাম বাড়েনা। কালকে ভারত বলে দিক যে তারা বাংলাদেশে কোনো প্রকার সাবান শ্যাম্পু রপ্তানি করবে না, আগামীকাল দেখবেন বাংলাদেশের সাবান শ্যাম্পুর মতো একটা পন্যের আকাশ চুম্বী দাম হয়ে গেছে।
আমার দেশে না কৃষক লাভ করতে পারে, না ক্রেতারা লাভ করতে পারে। সারা বছরই দালাল রা কয়েকগুন করে লাভে পন্য বিক্রি করে। ভারত থেকে কার্যত গরু আমদানী বন্ধ আছে। তবুও যদি অফিশিয়ালি ভারত আবার বলে যে বাংলাদেশে গরু রপ্তানী বন্ধ, কালকে বাজারে ১০০০ টাকার নিচে গরুর গোস্ত খুজে পাবেন না। এই চোরের বাচ্চাদের জন্য কিছুই সম্ভব না।
আসলে আমরা এমন এক জাতি যে আমাদের রক্তের মধ্যে মিশে রয়েছে দুর্নীতি আর এজন্যই যাদের এই দেশে যতটুকু প্রাপ্য সেটা কখনো পায় না।
আর ইন্ডিয়াকে বয়কট করবো ইন্ডিয়া যদি আমাদের নিকট পণ্য রপ্তানি করা বন্ধ করে দেয় তাহলে মনে হয় উল্টো আমরাই আরো বড় বিপদে পড়ব। কারণ এদেশের মুনাফা লোভী সকল ব্যবসায়ী তখন সুযোগের সৎ ব্যবহার করবে। তারপরেও ভাই বর্তমানে যতটুকু পারি ইন্ডিয়া এবং ইসরাইলকে সাহায্য করে এই ধরনের পণ্য ক্রয় করা থেকে বিরত থাকি।
বর্তমানে দেখলাম মোজো এর ২ লিটার সফট ড্রিংক এর দাম বিশ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করায় সবাই আবার মোজোকে বয়কট করতেছে আমি বলব বয়কট করার হলে করুন, এমন বয়কট করুন যে হয় ড্রিঙ্কস খাবেন না আর না হয় খেলে শুধু বাংলাদেশের অন্য আরেকটি পণ্যকে চুজ করবেন। অনেকে দেখি আবার কোক খাওয়া শুরু করেছে যারা কিছুদিন আগে বয়কট করেছে, আরে ভাই মোজো ২ লিটার এর দাম নিচ্ছে ১০০ টাকা আর অন্যদিকে ১.২৫ লিটার কোকাকোলা এর দাম ৮০ টাকা।