ডিজিটাল কারেন্সি (বিটকয়েন) নামে পরিচিত তার ব্যবহার সম্পর্কে আপনার সম্মানিত মতামত কী? এটা কি জায়েজ? এবং এর উপর কি যাকাত ফরয।
বিটকয়েনের উপর যাকাত যদি ফরজ হয় তাইলে তো আমার অনেক সময় হিসেব নিকাশ করতে গেলে সমস্যা পরে যেতে হবে। যেমন বিটকয়েনের দাম সব সময় কম বেশি হয়ে থাকে আবার দেখা যায় সপ্তাহের শুরুতে ৪০ হাজার আবার শেষে ৪৪ হাজারে রয়েছে। যাকাত সম্পর্কে আপনাদের কি মনে হয়? কিভাবে বিটকয়েনের উপর যাকাত দিতে হবে?
যেহেতু আমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করিনি তাই আমার তেমন একটা ধারণা নেই যাকাত কিভাবে বন্টন করে।
স্বর্ণের এবং রুপার দাম ওঠানামা করে বর্তমান বাজারে। আমার মনে হয় যখন আপনি যাকাত দেবেন তখন বাজারে কি পরিমাণ মুল্য আছে স্বর্ণের ও রুপার ওই অনুযায়ী আপনি আপনার যাকাতের টাকা হিসাব করেন।
ঠিক তেমনি বিটকয়েনের বাজার উঠানামা করে। আপনি যখন যাকাতের হিসাব করবেন তখন বর্তমান বাজার কি রকম আছে সেই হিসেবে যাকাতের টাকা হিসাব করাটাই সবচেয়ে ভালো হয়।
অভিজ্ঞ ভাইয়েরা, যাদের কোরআন ও হাদীসের সম্পর্কে বিস্তর ধারণা আছে কেউ যদি থেকে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের এটা সম্পর্কে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
যাকাত সাধারণত সম্পদের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। ৭/½ তোলা স্বর্ণ এবং ৫২/½ বড়ি রুপার পরিমাণ সমান সম্পদ হলে যাকাত ওই ব্যক্তির উপর ফরজ। এখন কোথায় আসি বিটকয়েন নিয়ে ইতিমধ্যেই এই নিউজটি সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার হচ্ছে। বিষয়টি হচ্ছে এমন যেখানে লাভ লোকসান বিষয় রয়েছে সেখানে যদি আপনি ব্যবসা করেন তাহলে অবশ্যই সেটা হালাল হতে পারে(বাকিটা আল্লাহতালাই ভালো জানে)।
যেহেতু সারা বিশ্বের প্রায় সব মানুষ বিটকয়েনের সাথে কিছু না কিছু ভাবে জড়িত রয়েছে। যেমন আমাদের বাংলাদেশ ে ৯০% মুসলমান দেশে বিটকয়েন গোপনে ব্যবহৃত হচ্ছে, এবং সরকারিভাবেও বিটকয়েন বাংলাদেশের জন্য নিষিদ্ধ কিন্তু আমাদের কোনভাবেই সরকার চাপ দিচ্ছে না বললেই চলে। আমি যদি আমার কষ্টের জমানো টাকা বিটকয়েনে বিনিয়োগ করে রেখে ট্রেড করি অথবা দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগ করি সেটা ওই ব্যক্তির ওপর নির্ভর করবে এবং জায়েজ হতে পারে।
কিন্তু কেউ যদি এই বিটকয়েন দিয়ে জুয়া খেলে সেটা অবৈধ হবে কারণ ইসলামের দৃষ্টিতে জুয়া নিষিদ্ধ।