ভোটাভুটি হইছে এমন যে পার্থি আমরা আর মামুরা আর ভোটার হলো নানি আর খালারা। USA, UK, Canadian সরকার টুইট করছে যে তাদের দেশ থেকে যারা নির্বাচন দেখতে এসেছিলো তারা এসেছিলো তাদের ব্যাক্তিগতভাবে সরকারিভাবে তারা কাউকে পাঠায়নি এর জন্যই বলি পশ্চিমা দেশগুলো কিভাবে এই নির্বাচনকে একটা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন বলতে পারে। আমি আওয়ামী লীগের বিপক্ষে না। আমি আওয়ামী লীগ সাপর্ট করি তবুও এমন কর্মকাণ্ড মেনে নিতে কষ্ট হয়। যাইহোক কে সরকার হলো এটা আমাদের দেখার বিষয় না। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে এটাই মিথ্যা না। দেশের অনেক উন্নতি হইছবে৷ তবে আরো উন্নয়ন করার আগে সরকারের এটার উপর নজর দেওয়া উচিৎ যে কিভানে ডলারের দাম কমানো যায়। কারন ডলারের দাম কমাইলেই পন্যের দাম কমানো সম্ভব। আর খাদ্য পন্যের দাম কমাইলের দেশের মানুষ খুশি।
মজার কথা হচ্ছে ভাইয়া লাখ লাখ কোটি টাকা অন্যের থেকে ঋণ নিয়ে এ ধরনের উন্নয়ন করাই যায় পাশাপাশি একটা বড় অংকের টাকা সুইচ ব্যাংক থেকে বেগম পাড়া সব জায়গায় পাঠানো যায়। যেখানে বাক স্বাধীনতা নেই শুধু আছে উন্নয়নের তসবি গাওয়া সেই খানের উন্নয়নকে আমি ধিক্কার জানাই। মুখ বেঁধে রেখে আমাদের সামনে পোলাও মাংস রাখার কোন মানেই হয় না।
এই যে 2024 সাল শুরু হল আর কদিন পর থেকে দেখতে পাবেন দিনের বোঝা কাকে বলে, তাছাড়া বর্তমান সরকারের যে ভাব দেখতেছি তাতে মনে হচ্ছে আমাদের শেষ সম্বল টেক্সটাইল খাত কেউ স্যাংশন লাগিয়ে তারপর বিদায় নিবে।
মানে আপনার আমার সন্তানেরা এখন লাখ টাকার উপরে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তারপর দুনিয়াতে আসবে। তাই ভাই এই উন্নয়ন ধুয়ে পানি খেলেও লাভ নাই।
মজার ব্যাপার হলো এমন ঘটনা কিন্তু এটাই প্রথম না। এর আগেও এমন একাউন্ট হ্যাক এর ঘটনা ঘটেছে। কয়েক মাস আগে মনে হয় একটা নিউজ ওয়েবসাইট ভুল টুইট করেছিলো যার ফলে বিটকয়েনের মার্কেটে দারুন একটা মুভমেন্ট আসে। তারপর তারা একটা ওয়েবসাইটে বেশ কিছু প্রফিট ক্যাশ করার পর আবার সেই টুইট ডিলেট করে দিয়ে সরি বলে। এছাড়া বেশ কিছু ইনফ্লুয়েন্সারের একাউন্ট হ্যাক করে হ্যাকাররা তাদের বিটকয়েন বা ইথেরিয়াম এড্রেস পোষ্ট করে সেই এড্রেস এ বিটকয়েন পাঠাতে বলে। আর তারা অফার করতো যে ১ ঘন্টা বা ২ ঘন্টা পর তারা দুই গুন ক্রিপ্টো ফেরত পাবে। পরে যানা যায় সেসব একাউন্ট আসলে হ্যাক হয়েছিলো। এর আগে বিল গেটস এর সাথে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিলো। তাই এই ধরনের নিউজ প্রথমেই বিশ্বাস করা ঠিক হবে না।
আরো মজার কাহিনী হলো গিয়ে শুধু বিল গেটস নয় আমার নিজের টুইটার একাউন্টে বছরখানেক আগে এরকম হয়েছিল। তা মূলত ঘটেছিল একটা ক্র্যাক ফাইল ডাউনলোড করেছিলাম আর তাতে কাজ হয়ে গিয়েছিল আমার ব্রাউজার এর সকল ডাটা সব কিছুর অ্যাক্সেস নিয়ে নিয়েছিল, মেটা মাস্ক এক্সটেনশনে কিছু টোকেন হোল্ডিং ছিল সেগুলো পুটুস পুটুস করে টেনে নিয়ে গিয়েছে।
তারপর পাঁচ হাজারের উপরে ফলোয়ার্স ছিল আমার ওই দুইটার একাউন্টে ওইটা সুন্দর করে এক্সেস নিয়ে ইলন মাস্ক এর নাম এবং প্রোফাইল পিক দিয়ে এ ধরনের ফিশিং শুরু করেছিল, যদিও পরবর্তীতে অ্যাকাউন্টটি সাসপেন্ডেড হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বড় বড় ইনফ্লুয়েন্সার দের ক্ষেত্রে এসব ঘটনা আমার কাছে অনেক সময় কেমন যেন সাজানো মনে হয়।