আপনার ঘটনা শুনে খুবই কষ্ট লাগলো। যে কোনো যায়গায় ইনভেস্ট করার আগে আপনাকে ভাবতে হবে যে রিটার্ন কিভাবে আসবে। সেই কোম্পানি যে আপনাকে কম দামে পন্য দেয়ার কথা বলছে, তারা তো নিজেদের লস করে পন্য দিবে না। তাহলে তারা এতো কমে কিভাবে অফার করছে? হিসাব সোজা, ওনারা প্রত্তেক ব্ল্যাক ফ্রাইডে, অমুক দিন তমুক দিন নানান অফার দিয়ে থাকে। ধরেন ব্ল্যাক ফ্রাইডে তে ওনারা ১০০ টি ইয়ামাহা বাইক এর অরডার পেলো যেটার বাজার মূল্য ২ লক্ষ টাকা। কিন্তু গ্রাহক দের কে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় অফার করলো। ওনারা ১০০ টি বাইক এর জন্য পেমেন্ট নিলো ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এদিকে ওনারা ইয়ামাহা থেকে ২০ টা বাইক নিলো যার মধ্যে ১০ টার জন্য ২০ লাখ টাকা পেমেন্ট করেছে এবং বাকি ১০ টা বাকিতে নিলো। এখন ইয়ামাহা কোম্পানিও অই কোম্পানির কাছে ২০ লাখ টাকা পাবে। তারা এবার এই ২০ টা বাইক ডেলিভারি দিবে এবং বাকি ৮০ জনকে একের পর এক তারিখ দিতে থাকবে। আবারো সামনের শুক্রবার একই অফার দিবে এবং এভাবে চলতেই থাকবে। এটা শুধু বাইকের হিসাব দিলাম প্রত্তেক টা পন্য নিয়ে এভাবে মারকেটিং করে বাজার দর থেকেও ২৫% বা ৫০% কম মূল্যে গ্রাহক দের কে পন্য দেয়ার অফার করে। যে ২০ জন পন্য ডেলিভারি পাচ্ছে, তারা মূলত আবার ইনভেস্ট করছে এবং আরো বন্ধু বান্ধব এবং অন্যান্য লোকজনদের কে তাদের পন্য দেখাচ্ছে। এতে করে ইভ্যালি বা এ ধরনের কোম্পানি সেই ২০ জনের কাছ থেকেই আরো ২০ জন গ্রাহক পাচ্ছে। এই সাইকেল টা চলতেই থাকবে যতোদিন এদের পালানোর মতো একটা এমাউন্ট না হয়। তারপর হুট করে একদিন সব গায়েব হয়ে যাবে।
সাধারণ মানুষ বুঝতেও পারবে না কিভাবে কি হলো। এসব বিজনেস এর প্রোটোটাইপ ব্ল্যাক মারকেট এ পাওয়া যায়। অনেকে এসব বিজনেজ করে বেড়াচ্ছে। সবাই একটু সতর্ক হলেই এসব স্ক্যাম থেকে বাচা সম্ভব। যে কোনো অফার দেখে যদি মনে হয় এটা কেমনে সম্ভব, জীবনেও সেই পন্য কিনবেন না। যদি দেখেন নতুন আইফোন ১৪ ম্যাক্স ২০ হাজার টাকায় পাচ্ছেন, ভাই সেটা কপি ফোন। কেউ আপনাকে লস করে প্রোডাক্ট দিবে না। কম দামে জিনিস খোজার চাইতে বেশি টাকা দিয়ে জেনুইন প্রোডাক্ট কিনে নিয়ে আসুন। দরকার হলে কিস্তি তে কিনেন। তবুও স্ক্যাম এ যাবেন না।